নারিকেল চিংড়ি রেসিপি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে আরো একটা সুন্দর রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। যেটা আমার খুবই পছন্দের একটা রেসিপি।আজ আমি আপনাদের সাথে যে রেসিপিটা শেয়ার করবো সেটা হলো নারিকেল চিংড়ি।মানে পানির পরিবর্তে নারিকেলের দুধ দিয়ে চিংড়ি মাছের ভুনা। অনেকেই এভাবে নারিকেলে দুধ দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করে খেয়েছে আবার অনেকে খায়নি। আর যারা খায়নি তারা অবশ্যই আমার এই সুন্দর রেসিপি ফলো করে একবার হলেও বাসায় ট্রাই করবেন।
এটা মূলত নদীর চিংড়ি মাছ।মাছ গুলো মাঝারি সাইজের। নদীর চিংড়ি মাছ এমনিতেই অনেক মজা।আর সেই চিংড়ি মাছ গুলো যদি রান্না হয় নারিকেলের দুধ দিয়ে তাহলে তো কথাই নেই, স্বাদ আরো দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাবে।আর কোনো কথা নয়, এখন রেসিপিটা শুরু করি।
উপকরণ সমূহ :
১.চিংড়ি মাছ
২.নারিকেলের দুধ
৩.শুকনা মরিচ বাটা
৪.পেঁয়াজ বাটা
৫.রসুন বাটা
৬.জিরা বাটা
৭.লবণ
৮.হলুদ
৯.ধনিয়ার গুড়া
১০.গরম মশলা
১১.সরিষার তেল
প্রস্ততপ্রাণালী:
প্রথম স্টেপে একটি নারিকেল কুরানি দিয়ে খুব আস্তে আস্তে এবং সাবধানে নারিকেল কুরিয়ে নিতে হবে।
তারপর নারিকেলের ভিতর সামান্য পানি মিক্সড করে ভালো করে চটকে নারিকেলের দুধ বের করে নিতে হবে।
এরপর একটা ছাকনির সাহায্যে ছেঁকে নিতে হবে। যাতে ফ্রেশ নারিকেলের দুধ পাওয়া যায়।
বাকি যে নারিকেলের ছাবা গুলা থাকে এগুলা আপনারা অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করতে পারেন।
এখন একটা কড়াই গরম করে কড়াইয়ে সরিষার তেল দিয়ে দিতে হবে। তেলের মধ্যে তেজপাতা,লবঙ্গ,দারুচিনি ফোড়ন দিতে হবে।
তারপর বাটা মশলা(শুকনো মরিচ,পেঁয়াজ, রসুন এবং জিরা বাটা) এবং গুড়া মশলা ( লবণ,হলুদ এবং ধনিয়ার গুঁড়া) দিয়ে ভালো ভাবে কষাতে হবে।
মশলা গুলা যাতে পুড়ে না যায় তাই অল্প অল্প নারিকেলের দুধ দিয়ে মশলা গুলো খুব সুন্দর করে কষাতে হবে। আর একটা কথা আমি এই চিংড়ি মাছ রান্নাতে কোনো পানি ব্যবহার করবো না। পানির পরিবর্তে নারিকেলের দুধ ব্যবহার করবো।
মশলাগুলো কষানো শেষ হলে তার মধ্যে ধুয়ে রাখা চিংড়ি মাছ দিয়ে আরেকটু নেড়ে চেড়ে কষাতে হবে।
এরপর নারিকেলের দুধ পুরাটায় দিয়ে দিতে হবে।
এরপর কিছুক্ষণ জাল করার পর যখন গা মাখা মাখা হয়ে আসবে তখন গরম মশলার গুড়ো দিয়ে নামিয়ে নিলেই রেডি হয়ে যাবে নারিকেল চিংড়ি।
নারিকেল চিংড়ি এমন সুস্বাদু খাবার যা একবার খেলে বার বার খেতে মন চাইবে। আপনারা বাড়িতে অবশ্যই ট্রাই করবেন। ধন্যবাদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

ওয়াও! আপনার রেসিপিটি একদমই ইউনিক ছিলো আমার জন্য৷ কারণ আমি চিংড়ি মাছ অনেক খেয়েছি তবে চিংড়ি মাছ নারিকেলের দুধ দিয়ে কখনো খাই নাই। কেমন লাগে স্বাদ সম্পর্কেও তেমন ধারণা নেই। তবে আমার দেখেই খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। আমার আনকমন খাবার খেতে বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ ভাই, চিংড়ির সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার নারিকেল চিংড়ি রেসিপিটি খুবই সুস্বাদু হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এমনিতেই নারিকেল চিংড়ি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আর আপনি দারুণভাবে রান্না করেছেন।এমনিতে নদীর চিংড়ি তো বেশ সুস্বাদু, আর তাতে যদি নারিকেলের দুধ দেওয়া হয় তাহলে তার স্বাদ আরো বহু গুনে বেড়ে যায় ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ি মাছ তাও আবার নারিকেলের দুধ দিয়ে উফ ভাবতেই মুখের ভেতর কি যেন চলছে। একা একা হয়তো এই রেসিপিটা তৈরি করা আমার পক্ষে সম্ভব না এখন, তবে মাথায় রেখে দিলাম ভাই, কোন একদিন অবশ্যই চেষ্টা করব যেদিন দোখা হব 😉। সবশেষে এত চমৎকার এসেছে তরকারির রংটা 👌👌👌। আজকের দেখা সারা রেসিপি।
সত্যি বলতে এই প্রথম আমি এমন রেসিপি দেখলাম। এটি একটি ইউনিক পোস্ট ছিল ভাইয়া। নারিকেল দিয়ে আমি বিভিন্ন তরকারি রান্না করেছি। কিন্তু এভাবে চিংড়ি মাছ ভুনা করেনি। আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে তা শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
নারিকেল দিয়ে চিংড়িমাছ আসলেই খুবই সুস্বাদু খাবার। এটা আসলে আমি ছোটবেলা থেকেই অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনার আজকের রেসিপি দেখে সত্যি ভাই খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। আরও অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে আপনার রেসিপিটি। মায়ের হাতের এই রেসিপিটি আসলে আমার কাছে খুবই ভাল লাগত, আর আপনার রেসিপি দেখে সেই রেসিপির কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকেই মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আজ। বহুদিন নারকেল চিংড়ি খাই না। খুলনা এলাকায় এ ধরনের নারকেল দিয়ে রান্নার প্রবণতা অনেক বেশি। অনেকদিন খুলনা থাকার কারণে সেখানেই এ ধরনের রেসিপির সঙ্গে পরিচিত হই। খুবই সুস্বাদু হয় এই খাবার। অভিজ্ঞতা থেকে জানি। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার তৈরি নারিকেল চিংড়ি রেসিপি দেখেই তো জিভে জল চলে আসছে। ভীষণ লোভ হচ্ছে খাওয়ার জন্য। রেসিপির কালার টা দারুন এসেছে। আমি এই নারিকেল চিংড়ি রেসিপি ঢাকায় আমার এক আত্মীয়ের বাসায় খেয়েছিলাম। আর তখন থেকেই এই রেসিপিটি আমার কাছে খুবই প্রিয়। এখনো আমি ওই আত্মীয়ের বাসায় গেলে আমার প্রিয় খাবার জেনে এই সুস্বাদু রেসিপিটি তৈরি করে খাওয়ায়। সত্যিই ভাইয়া, নারিকেল চিংড়ি রেসিপি দুর্দান্ত রেসিপি। যে খাইনি সে হয়তো কখনো এই রেসিপির স্বাদ বুঝতে পারবে না। অনেক অনেক দিন পর আপনার তৈরি নারিকেল চিংড়ি রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করেছেন এবং রন্ধন প্রণালীর প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি আজকে ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন নারিকেল চিংড়ি রেসিপি বাহ দারুন। এর আগে এভাবে কখনো খাইনি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
চিংড়ি মাছ আমার খুবই প্রিয়। চিংড়ি মাছের যেকোনো তরকারি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখতে যে রকম সুস্বাদু দেখাচ্ছে খেতেও নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খুবই অনেক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। নারিকেল বাটা দিয়ে চিংড়ি মাছ ভুনা খেয়েছি। কিন্তু নারকেলের দুধ দিয়ে এরকম রান্না করে খাওয়া হয়নি। অবশ্যই বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখব। আপনার কাছ থেকে রান্নার পদ্ধতিটা শিখে নিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
নারিকেল চিংড়ি রেসিপি দারুন হয়েছে ভাইয়া। নারিকেল চিংড়ি রেসিপির স্বাদের কথা অনেক শুনেছি এবং ইউটিউবে এই রেসিপির অনেক ভিডিও দেখেছি। তবে কখনো খাওয়া হয়নি। আমার খুব ইচ্ছা ছিল এই রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার জন্য। আজকে যখন আপনার রেসিপি দেখলাম তখন একেবারেই মনস্থির করে নিলাম এই রেসিপি দেখে দেখে নারিকেল চিংড়ি রেসিপি তৈরি করবো। লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরির সম্পূর্ণ প্রসেস সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।♥️♥️♥️♥️