গাব গাছের ভুত। আমার ছোট বেলা।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

আসসালামুয়ালাইকুম বাংলা ব্লগ কমিউনিটি বাসী। সকলকে জানাই শুভ সকাল। আপনারা ভালই আছেন আশাকরি। আমি আজকে আমার ছোটবেলার একটা মজার ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমি গত দিন একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে। আমার ওই পোস্টটি দেখে অনেকেই শৈশবে হারিয়ে গিয়েছিলেন। আমি বাচ্চাদের সাথে সময় কাটানোর সময় নিজেও শৈশবে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আমার তখন মাথায় আসলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার ছোটবেলার একটি মজার ঘটনা। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

Polish_20220404_113116564.png
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY

আমি তখন সম্ভবত ক্লাস থ্রি অথবা ফোরে পড়ি। সোনালী বয়স, সারাক্ষণ শুধু খেলাধুলা করে বেড়ানো, নেই কোনো টেনশন। নতুন নতুন কিছু খুঁজে বের করাটাই ছিল নেশা। আমি যেই প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম সেই স্কুল থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে বিশাল একটি জঙ্গল । এই আঁধা কিলোমিটার শুধু ফাঁকা মাঠ অর্থাৎ স্কুল থেকে ওই জঙ্গলটা সরাসরি দেখা যেত। ওই জঙ্গলে প্রচুর গাব আর বুনো কাঁঠালের গাছ ছিল। আমরা স্কুল শেষে মাঝেমধ্যেই ওই জঙ্গলে যেতাম দল বেঁধে গাব খাওয়ার জন্য। গাব খাওয়ায় কোন বাধা ছিল না। যার যখন ইচ্ছা এসে পেড়ে খেত। বড় বড় গাছ ছিল, কাঁচাপাকা সব রকমের গাব ই থাকতো। খুঁজে খুঁজে বের করে আনতে হতো। গাছে ওঠার জন্য দু'চারজন নির্ধারিত ছিল । ওরাই সবসময় গাছে উঠতো। এজন্য অবশ্য দু'তিনটে গাব বেশি দিতে হতো।

বছরের এই সময়টাতে আমরা মাঝেমধ্যেই স্কুল ফাঁকি দিয়ে গাব খেতে চলে যেতাম। আর স্যারের ঠ্যাঙানি ও খেতে হতো। কিন্তু শৈশবের দুরন্তপনা স্যারদের চোখে সব সময় বাধতো না। এমনই একদিনের একটি ঘটনা, যেদিন স্কুল কোনো কারণে বন্ধ ছিল। সম্ভবত দিনটি ছিল সোমবার । বাড়িতে এলাকার ছোট ছেলে পেলে আমরা সবাই একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আমার তিনটি চাচাতো ভাই ছিল সাথে। একজনের নাম ছিল সাইদুল, একজনের নাম ছিল রাশিদুল, আরেকজনের নাম ছিল শামীম। আমরা চারজন সিদ্ধান্ত নিলাম স্কুলের পাশের জঙ্গলে গিয়ে গাব পেড়ে খাব। তখন ঘড়িতে তিনটা অথবা চারটে বাজে, এরকমই হবে। আমাদের বাসা থেকে ওই জঙ্গলটি বেশী দুরে ছিল না। স্কুল আমাদের বাসা থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হেঁটেই যেতাম আমরা প্রতিদিন স্কুলে। বইগুলো মাথায় নিয়ে দলবেঁধে স্কুলে যাওয়া ও ছিলো প্রতিদিনের রুটিন।

যাইহোক, সেদিন আমরা চারজন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম যে গাব খেতেই হবে আজ আমাদের। আমার ছিল একটি চায়না ফনিক্স সাইকেল। উপরে উঠে চালাতে পারতাম না। নিচে চালাইতাম। যেহেতু চারজন গিয়েছিলাম তাই সাইকেল ঠেলে নিয়েই যেতে হয়েছিল। আমাদের চারজনের মধ্যে গাছে উঠতে পারত সাইদুল। আমার এখনো মনে আছে ও খালি গায়েই গিয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা যখন জঙ্গলে পৌঁছে গেলাম, তখন দেখেশুনে একটা ছোট গাছ বাছাই করলাম। যেখানে মোটামুটি ভালই গাব ধরে আছে আর উঠতেও সহজ হবে। আমরা যেই গাছটি পছন্দ করেছিলাম সেই গাছটি ছিল মাঠের একদম পাশে অর্থাৎ ওখান থেকেই মাঠ শুরু । আমাদের স্কুলটাও দেখা যেত। ওখানে আমি শামীম আর রাশিদুল নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম আর সাইদুলকে উঠিয়ে দিয়েছিলাম গাছে। আমার সাইকেলটি ধরেছিল রাশেদুল। আমি আর শামীম এক সাইডে দাঁড়িয়েছিলাম। আর গাছের উপরে সাইদুল পাকা গাব খুজছিল। এর পরেই ঘটল সেই ভয়ঙ্কর মজার ঘটনা।

garden-up-close-5-1497188.jpg
image source & credit: copyright & royalty free FREEimage

চাচাতো ভাই শামীম হঠাৎ বলে উঠলো "ওরে,,, গাছের উপরে একটা ছোট পুতুল বসে আছে রে" । এই কথা বলে অমনি শামীম মাঠ দিয়ে দিল এক ছুট...।।। এদিক ওদিক তাকানো নেই। এক দৌড়ে পগারপার। রাশিদুলের কাছে ছিলো আমার সাইকেল। আমি সাইকেল রেখে দিলাম দৌড়। যেহেতু রাশিদুল এর কাছে আমার সাইকেল ছিল, যদি সাইকেল ও রেখে চলে আসে এই ভেবে আমি ওই জঙ্গলের পাশের রাস্তা দিয়েই দৌড়ানো শুরু করলাম, যেন রাশিদুল আমার পিছে পিছে আসে। প্লান ছিল ভালো রাস্তায় গেলেই দুইজন সাইকেল নিয়ে দ্রুত সরে পড়বো। আর এদিকে বেচারা সাইদুল ওই মুহূর্তে রয়েগেছে গাছে। ও কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। এমন সময় দেখলাম গাছ থেকে হুরমুড়িয়ে লাফ দিয়ে মাঠের আইলের ওপর পরল। একবার পিছন ফিরে তাকিয়ে শুধু এটাই দেখলাম যে ও নিচে লাফ দিয়ে এদিক ওদিক কোথাও না তাকিয়ে শামীমের মতোই মাঠ দিয়ে দিলো ছুট।

আর এদিকে আমরা পড়লাম আরেক বিপদে। রাশিদুল এর কাছে ছিলো আমার সাইকেল। সাইকেলে উঠতে গিয়ে ফেলে দিলো চেইন। আবার আমি এদিকে বেশিদূর যেতেও পারছিনা। একা একা ভয় করছিল প্রচন্ড। আশেপাশে কেউ নেই। গভীর জঙ্গলে দুজন ফেসে রইলাম। তখন আমি রাশিদুলকে বললাম তাড়াতাড়ি সাইকেলের চেইন লাগা। এমন সময় হঠাৎ দেখি একটা লোক রাশিদুল এর দিকে এগিয়ে আসলো জঙ্গলের অন্য সাইড থেকে। ওই লোকটা এসে রাশিদুলের মাথায় হাত দিয়ে বললো মুনি তোমরা এখানে কি করতে এসেছো? রাশিদুল ভয়ে ভয়ে উত্তর দিলো "আমরা গাব খাতি আইছিলাম, এহুন চলে যাচ্চি"। তারপর ওই লোকটা তার নিজের পথ ধরে সোজা হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল। আর ততক্ষণে রাশিদুল এর চেইন লাগানো শেষ। এরপর আমি আর রাশিদুল সাইকেল চালিয়ে সোজা বাড়িতে চলে এলাম।

peach-1326775.jpg
image source & credit: copyright & royalty free FREEimage

বাড়িতে এসে সাইদুল আর শামীমের সাথে দেখা। আমরা সবাই তখন ওই বিষয় টা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। কয়েকটা চাচী ছিল সেখানে। চাচীদের কাছে সব ঘটনা খুলে বললাম। আর আমি বলছিলাম আজকে সোমবার, আজকে মনে হয় জঙ্গলে গেলে সমস্যা হয়। তখন চাচী বললো "না সোমবার বলে কোন সমস্যা নাই"।

তখন আমরা শামীমের বক্তব্য শুনতে চাইলাম। আমরা জিজ্ঞেস করলাম তুই কি দেখেছিলি ওইখানে? শামীম বলল "সাদা ছোট্ট একটা পুতুল মনে হলো ডালের উপর বসে পা নাচাচ্ছে, এটা দেখে আমি দৌড় মারছি।

আসলে যা ঘটেছিলোঃ-

আসলে গাছের ডালে কোন পুতুল ছিলো না। কোথাও থেকে তুলা বা ওই টাইপের কিছু উড়ে এসে গাব গাছের ডালে আটকে ছিলো। দেখতে পুতুলের মতো লাগছিলো। আর বাতাসে হালকা নড়াচড়া করছিল। এটা ছিলো প্রথম ব্যপারটা। এরপর লম্বা যেই লোকটাকে দেখে ভয় পেয়েছিলাম, তিনি সাধারণ মানুষ-ই ছিলো। পরে একদিন দেখা হয়েছিল ওনার সাথে। তখন বুঝতে পারছিলাম। দিনগুলো মনে পড়লে এখনো হাসি পায়। শামীম এখন বাংলাদেশ আর্মিতে জব করে। ছুটিতে বাড়ি এসেছে। গতকাল সন্ধায় ওর সাথে এই গল্পগুলো নিয়ে হাসাহাসি করছিলাম। যাইহোক, আজকের গল্প এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সবাই । আল্লাহ্ হাফেজ।



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago 

"সাদা ছোট্ট একটা পুতুল মনে হলো ডালের উপর বসে পা নাচাচ্ছে, এটা দেখে আমি দৌড় মারছি।

আসলে আমাদের কল্পনাশক্তি সামান্য জিনিসকেউ বহুদূর পর্যন্ত নিয়ে যায়। সামান্য তুলার টুকরো দেখেই সকলে ভয় পেয়েছেন। এরকমটা আমাদের ক্ষেত্রেও হতো ছোটবেলা গুলোতে। যখন বুকের ভিতর ভয় ভয় কাজ করত তখন যদি কেউ বলতো ওই দেখ কি আসছে অমনি দৌড়। কোন কিছু দেখার সময় নাই। আপনার লেখাগুলো পড়ে ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়ছে। অনেক ভাল ছিল ভাইয়া আপনার লেখনি। অনেক সুন্দর একটি গল্প সকলের মাঝে উপহার দিয়েছেন ভাইয়া। আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু। মনের ভয় ই বড় ভয়।

 3 years ago (edited)

বছরের এই সময়টাতে আমরা মাঝেমধ্যেই স্কুল ফাঁকি দিয়ে গাব খেতে চলে যেতাম। আর স্যারের ঠ্যাঙানি ও খেতে হতো

পুনরায় নিজের ছোট স্মৃতিকে মনে করতে পারলাম আপনার পোষ্টের মধ্য দিয়ে। আর এই ছোটকালে অনেক মধুময় স্মৃতি রয়েছে, যেগুলো স্মরণ করা হয়ে উঠে না। আপনার এই পোস্টটি দেখে আজকে সেই মুছে যাওয়া স্মৃতি গুলো থেকে কিছুটা স্মরণ করতে পেরেছি। কিছুটা আনন্দ বোধ করতেছি।

আসলে ভাইয়া আমি আপনার পোস্টটি সম্পূর্ণভাবে পড়ছিলাম না, তবে যথেষ্ট পড়েছিলাম ক্লাসে বাচ্চাদের পড়ানোর সময়। এক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে চেষ্টা করি পোস্ট পরে রিপ্লাই দেওয়ার, তবে সর্বদা বুঝেশুনে রিপ্লাই দেওয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে সেটা ঘটেছে।

আপনি আর আপনার চাচাতো ভাইয়েরা সাইদুল রাশিদুল এবং শামীম মোট চারজন মিলে ক্লাস থ্রি অথবা ফোরে পড়াকালীন সময়ে কোন এক সোমবার আপনাদের স্কুলের আধা কিলোমিটার দূর একটি বুনো কাঁঠাল এবং গাব গাছের বাগানে পাকা গাব খাওয়ার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন বিকাল আনুমানিক তিন/ চারটির সময়। আপনাদের মধ্য থেকে একজন গাছে উঠে পরল। একজন গাছের একটি পুতুল দেখতে পেল সে ভয়ে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পালানো শুরু করলেন। আপনার মনের মধ্যে শুধু আপনার সাইকেল নিয়ে চিন্তা হচ্ছিল বেশি। অচেনা একটি লোক এসে আপনার এক ভাইকে কিছু প্রশ্ন করল এবং চলে গেল ইত্যাদি এই সমস্ত বিষয়ে কাহিনী লিখেছেন। তবে আপনার এই সুন্দর গল্পটি আমার খুবই ভালো লেগেছে যার জন্য আমি বলেছিলাম যে আমার অতীত স্মরণ করিয়ে দিলে। জানিনা কতটুকু বুঝাতে পারছি। তবে আমি যথেষ্ট পড়ে কমেন্ট করেছিলাম, হয়তো মানসম্মত ভাবে কমেন্ট করতে পারি নাই। তার জন্য দুঃখিত। আর আমি ওই লেখাটা কোট করেছিলাম এই জন্য যে,ওই মুহূর্তে আমি ক্লাস নিছিলাম বাচ্চাদের, ক্লাস টু এর।

 3 years ago 

আপনি পোস্ট না পড়ে মন্তব্য করেছেন। ১০০%

 3 years ago 

ভাইয়া গাব গাছের ভুত মজার গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ভূত বলতে কিছু আছে কিনা জানি না তবে সবই আমাদের কল্পনা। আসলে যখন মনের মধ্যে ভয় কাজ করে তখন ছোট্ট জিনিস দেখলেও ভয় কাজ করে। তাই সাধারণ তুলা দেখেই সবাই ভয় পেয়েছিলেন। এটা আসলে মস্তিষ্কের মধ্যে গেঁথে ছিল ভয়ঙ্কর কিছু। তবে আপনার এই গল্প পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক মজা পেলাম ভাইয়া। এরকম মজার মজার গল্প আরো পড়তে চাই। দারুন গল্প শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।💓💓💓

 3 years ago 

জি ভাই, এরকম আরো গল্প শেয়ার করব আপনাদের সাথে।

 3 years ago 

আমরা স্কুল শেষে মাঝেমধ্যেই ওই জঙ্গলে যেতাম দল বেঁধে গাব খাওয়ার জন্য। গাব খাওয়ায় কোন বাধা ছিল না। যার যখন ইচ্ছা এসে পেড়ে খেত। বড় বড় গাছ ছিল, কাঁচাপাকা সব রকমের গাব ই থাকতো। খুঁজে খুঁজে বের করে আনতে হতো।>

আপনার গাবের পোষ্টটি পড়ে অতীতের কথা মনে পড়ে গেল।আমাদের বাড়ীতে অগণিত গাব গাছ ছিলো তাই প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় ঘনিয়ে এলে আমাদের বাড়ীতে বাদুড়ের সমাগোম হত।বাদুড়ে আওয়াজ পুরো বাড়ী গরম হয়ে যেত।সবচেয়ে বড় কথা হলো গাব গাছগুল। ছিলো অনেক অনেক বড় আমরা কেউই গাছে উঠতে পারতাম না সকাল হলে আমরা হালকা বাদুড়ে নষ্টা করা ও ভালো গাব গাছের নিচে পেতাম।আর গাব গাছে অনেক পিঁপড়ে থাকার কারণে অনেক গাছে উঠার সাহস ও করতো না।
তবে মাঝে মধ্যে আমার আম্মু ও জৈঠি মা বড় লাঠি দিয়ে গাছ থেকে গাব নিয়ে এর সাথে শুটকি মাছ দিয়ে গাব রান্না করতো তা খেতে ভীষণ সুস্বাদু ছিলো।

 3 years ago 

ভাই বলেন কি!!
গাব খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। এখন আমাদের বাড়ির আশেপাশে কোন গাব গাছ নেই। আপনাদের বাড়িতে চলে যেতাম যদি আসে পাশে বাড়ি হত।

 3 years ago 

আমি ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছি নোয়াখালী

 3 years ago 

বাহ বেশ মজা পেলাম।আসলে ছোট বেলায় সামান্য জিনিষ দেখলেও কল্পনা করে তাকে অন্য কিছুই বানিয়ে ফেলতাম।😅😅

 3 years ago 

ভাই কথায় আছে বনের বাঘে খায় না মনের বাঘে খায়। আপনাদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তুলোকে ভুত ভেবে কি ভয় টাইনা পেয়েছেন আপনারা। আসলে ছোটবেলার এই ঘটনাগুলো তখন হয়তো ভয়ের ছিল কিন্তু এখন চিন্তা করলে নিঃসন্দেহে আপনার ভীষণ হাসি আসে। যাদের শৈশব গ্রামে কেটেছে তারাই বুঝবে শুধু এই দুরন্তপনার আনন্দ। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য

 3 years ago 

যাদের শৈশব গ্রামে কেটেছে তারাই বুঝবে শুধু এই দুরন্তপনার আনন্দ।

একদম ঠিক বলেছেন ভাই।

ভাইয়া, আমি প্রথমে মনে করেছিলাম,ভুতের কবলে পড়েছিলেন আপনারা সবাই। কিন্তু না শেষ পর্যন্ত পড়ে বুঝলাম ভূত না ভূতের মত উড়ে আসা তুলোই ছিল ভূত। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া গল্পটা। ভাইয়া এরকম মজার মজার আরো দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া গল্প গুলো শেয়ার করবেন আমাদের সাথে। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।

 3 years ago 

ঠিক আছে ভাই। এরকম গল্প আরো আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

ভাইয়া গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।

 3 years ago 

ভাইয়া আসলেই ঘটনাটা বেশ মজার ছিলো। প্রথমের কাহিনীটি ছিলো ভয়ংকর সেই পুতু,সেই লোকটি😐😐
পরে পুরো গল্প পড়ে বুজলাম তুলা আর সাধারণ মানুষ,, 😆😆

যাইহোক আমাদের ছোটবেলায় এমন অনেক কাহিনি আছে যা মাঝে মাঝে মনে পড়লে মনের অজান্তেই হেসে উঠি।

 3 years ago 

🤣🤣🤣🤣

এরকম ঘটনা জে কত ঘটেছে আমার সাথে।তবে আমার সাথে এরকম ঘটনা ঘটেছিল আমাকে ভাউ দেখানোর জন্য😺।

আর বেচারা তুলো দেখে পুতুল মনে করলো,এটা কোনো হইল।খালি খালি গাব খাওয়া টা মিস করলেন😁

 3 years ago 

কেপশনটা কিন্তু দারুন হয়েছে দাদা। হাহাহা। অনেক ইন্টারেস্টিং লেগেছে আমার কাছে। তুলোকে ভূত ভেবে নিয়েছিলেন। ছোটবেলার এরকম আরও মজার কাহিনী আপনার থেকে শুনতে চাই দাদা। ভালোবাসা অবিরাম আপনার জন্য

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.23
JST 0.032
BTC 83764.46
ETH 2094.28
USDT 1.00
SBD 0.63