দারুণ একটি বিকেল।
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি অসুস্থতার কারনে অনেকদিন আগেই গ্রামে এসেছিলাম ঢাকা থেকে। গ্রামের পরিবেশ আমার এমনিতেই অনেক টানে। আর এই শীতের সময়টা আমার সবচেয়ে প্রিয়। গ্রামে কেমন একটা আমেজ পূর্ণ অবস্থা বিরাজ করে সব সময়। এ সময়টায় বিকেলের রোদ টাও দারুন লাগে। আমাদের বাড়ির পাশে মাঠে যখন আমি যাই, বিকেলে মাঠের পরিবেশ চেয়ে দেখলেও মন প্রশান্তিতে ভরে যায়।
আজ দুপুর বেলায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কিছুদিন যাবত হলো দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস হয়ে গেছে। হাই পাওয়ারের ওষুধ খেয়ে শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত থাকে তো সবসময়, এজন্য যখন শুই তখনই ঘুমিয়ে যাই। গোসল খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তো ঘুম থেকে উঠে ভালো লাগছিল না৷ ঘুম থেকে উঠার পর যেমন হয় আর কি। চিন্তা করলাম একটু মাঠের দিকে যাই চেয়ার টা নিয়ে। চেয়ার টা নিয়ে মাঠের দিকে আসলাম। সত্যিই মাঠের দিকে তাকিয়েই মনটা যেন ফ্রেশ হয়ে গেল৷ হালকা বাতাস, মিষ্টি মিষ্টি রোদ, সবুজ মাঠ। শীতের আমেজ আসবে আসবে ভাব। গ্রামের মধ্যে শীতের হাওয়া একটু আগেই লাগে৷ শহরে তো শীত পড়ে মাত্র এক মাস। গতকালকেও সন্ধ্যার সময় বাজারে গিয়েছিলাম গেঞ্জি পড়ে, শীত লাগতেছিল। যাহোক শীত আসবে এমন একটা জানান দিচ্ছে প্রকৃতি ৷
আজ মাঠের এখানে এসে শুধু শুধু বসে সময়টা কেন নষ্ট করবো। তাই একটু লেখালেখি করছিলাম। লেখালেখি শেষ, অনেকক্ষণ যাবৎ বসে ছিলাম। এরপর চেয়ার টা নিয়ে আবার ঘরের দিকে যাব ওই সময় আমার চোখে পড়ল আমাদের রান্না ঘরের দেয়ালের পাশ দিয়ে অনেকগুলো তালের আটি রেখে দেওয়া হয়েছে। আমিতো বাড়ি বেশি থাকিনি তাই ব্যাপারটা আমার মাথায় ছিলনা। তখনই মাথায় আসলো আমার যে কোনো মূল্যে এ ফুপড়া এখন কেটে খেতেই হবে। ঘর থেকে দা এনে প্রায় দশটা মতো কেটে ফেললাম।
প্রথমে দেখে ভাবছিলাম হয়তো ভিতরে নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু সারপ্রাইজলী একটাও নষ্ট ছিলো না। বেশ মজার সাথেই কাটলাম সবগুলো । এখানে আরেকটা মজার বিষয় বলি, ফুপড়া বের করার পর ভিতরে যে আকাশী কালারের অংশটুকু থাকে ওইটুকু খেতে আমার দারুন লাগে। আমি ছোটবেলায় এটা খেতাম আর বলতাম যে এটা হচ্ছে আকাশ। আকাশ খাচ্ছি আমি । হাহাহাহা।।
এই ফুপড়া আমার আপু খুবই পছন্দ করতো। আমরা যখন ছোট ছিলাম আমার মনে আছে আপু এগুলো কেটে কেটে দিত আর আমরা বসে বসে খেতাম। আমি ভিতরের ওই নীল রঙের অংশটুকুও চামিচ দিয়ে কুরে কুরে খেতাম। কিছুদিন আগেই আপুরা আমাদের এখান থেকে ঘুরে গেল তখন যদি আমি জানতাম এখানে তালের আটি আছে তাহলে আমি তখনই আপুদের সাথে মজা করে সবাই একসাথে খেতাম। যাইহোক দশ পিচ মত কেটেছিলাম। কেটে যেটা হলো সেটা পেয়েই খুশি।
কাটা শেষ হওয়ার পর একটু মজা করে বাটিতে এগুলো রেখে আমাদের নিজেদের ধানের জমি পিছনে রেখে কয়েকটি ছবি তুললাম। আসলে এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো আরও অনেক বেশি ভালো লাগে যখন আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যাইহোক এখন পোস্ট লিখতেছি ইতিমধ্যেই খাওয়া শেষ। এখন আবার এগুলো রেখে দিতে বলে কেউ দাওয়াত চাহিয়া লজ্জা দিবেন না। হাহাহা।। আরো কয়েকটা রেখে দিয়েছি। সেগুলো আরেকদিন কেটে খাব। এই সুন্দর বিকেলে সবাইকে এই ছোট্ট একটা পোস্ট উপহার দিয়ে বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

সন্ধ্যার পর বাইরে বের হলে শীতের আগমনী বার্তা বেশ ভালোভাবেই পাওয়া যাচ্ছে। আমি গতরাত্রে ফুল শার্ট পরে বাইক চালাচ্ছিলাম তবুও অনেক ঠান্ডা লেগেছিল।
যাইহোক ভাইয়া আপনার তালের বিচি কেটে খাওয়ার দৃশ্য দেখে আমারও ছোটবেলা মনে পড়ে গেল। হা হা হা আজকে অনেকগুলো আকাশ খেয়ে ফেললেন। তবে একথা সত্যি বিচির মাঝখানে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মনে হয় নীল আকাশ দেখছি। আসলে এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো না থাকলে আমাদের জীবনের আনন্দটাই হারিয়ে যেত। খুব দ্রুত আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
আমারও ঠিক একদম এরকমই মনে হয়।
Hello friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
হাহাহা! আপনি তাহলে অনেকগুলো আকাশ খেয়ে ফেললেন ভাইয়া 😁। তালের আটি তো ছোটবেলায় হাজার বার চেষ্টার পরেও ফাটাতে পারতাম না। বার বার যেন ব্যর্থ হতাম। গ্রামের ওয়েদার আসলেই অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। শীতের সময় যে এসে গেছে তারই জানান দিচ্ছে। আশা করি আপনার শরীরটা এখন ভালো আছে 🌼
আপনার পোস্টে অনেক দিন পর তালের আটি দেখতে পেলাম ভাইয়া। ছোটবেলায় আমি আমাদের বাসায় তালের আটি খেতাম। কিন্তু এটা খেতে দাঁত লেগে যেত। কারণ অনেক শক্ত থাকতো। তবে অনেক ভালো লাগতো। আপনার তালর আটি দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আজকে অনেক রোদ পড়েছে আর আবহাওয়াটা অনেক গরম ছিল। তবে গ্রামের প্রকৃতি পরিবেশ অনেক সুন্দর লাগে সবুজ শ্যামলে ভরা এবং শীতল বাতাস, আর গ্রামে শুনলাম একটু একটু ঠান্ডা পরেছে। যাই হোক আজকে আপনার ফটোগ্রাফি আমার দারুন লেগেছে এবং ছোটবেলায় কথা মনে পরছে। কারণ ছোটবেলা এই তালের আঁঠি খাওয়ার জন্য কত মারামারি করাকরি হত। ভিতরের আঁশ আসলে খুবই ভালো লাগছে খেতে।দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করছে।
ছোট্ট পোস্ট উপহার না দিয়ে এগুলো উপহার দিলে অন্তত টেস্টটা বুঝতে পারতাম ভাই।😛আমার ও একই অবস্থা,খালি ঘুম আসে।
ওগুলো খেতে হলে চলে আসতে হবে কুষ্টিয়া। 😜
খুবই সুন্দর একটি বিকাল উপভোগ করেছেন। বিকেলবেলা সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে তালের আঁটি খাওয়ার মুহূর্তটা অসাধারণ, ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
আপনার অসুস্থতার কথা শুনে আসলেই মনটা খারাপ হয়ে গেছিল 🥲, আপনি যে একদিন আমাকে কত বড় উপকারটাই করেছিলেন তার ঋণ আমি কখনোই শোধ করতে পারব না। ❤️😍, তালের আঁটির শ্বাসের আকাশি অংশটুকু খেতে আপনার মত আমার অনেক ভালো লাগে ছোটবেলায় এগুলো অনেক খেয়েছি এখনো সময় পেলে খাই 🥰 গ্রামের পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি চোখটা জুড়িয়ে গেল। সর্বোপরি দোয়া করি আমার সুমন ভাই যেন সব সময় সুস্থ থাকে ভালো থাকে ❤️💕🙏
আপনারও দেখছি বাড়িতে এসে আমার মত অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, আমারও দুপুরবেলায় পেট পুরে খাওয়ার শেষে ঘুম দিতে হয়। আর ঘুম থেকে ওঠার পরেই মনটা কেমন যেন করে আর প্রকৃতির সার নিতে গেলে সব মন খারাপ দূর হয়ে যায়। আপনার এই পোস্ট দেখে আমার ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল, আমাদের বাড়িতেও তালের গাছ আছে আর তালের আটি থেকে ফুকরা বের করে ছোটবেলায় চাচাতো ভাইদের সাথে একসাথে বসে খেতাম।
আর বলিয়েন না ঢাকাতে আজকে যা রোদ উঠেছে, ফ্যান চালিয়ে গরম লাগছে।আমার তো মনে হয় শীতকাল টা শহর থেকেই উঠে যাবে😉।গ্রামে একটু একটু ঠান্ডা পরেছে শুনলে, মনে হয় সব কিছু ছেড়ে দিয়ে গ্রামে চলে যাই। যাই হোক তালের বিচির এই ভিতরে ফুপড়া গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।নারিকেলের ফুলগুলো ও আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।ধন্যবাদ
যা বলেছেন আপু।।।
নারিকেলের ঐটাও আমার দারুন লাগে ।
শহরে লংটাইম স্টে করা আসলেই অনেক কষ্টের। দীর্ঘমেয়াদি প্লান করেন গ্রামে সেটেল হওয়ার জন্য।