জেনারেল রাইটিং :- হঠাৎ বিপদ
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
জেনারেল রাইটিং :- হঠাৎ বিপদ
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আসলে বিপদ কখন কিভাবে আসে বুঝা মুশকিল। সত্যি বলতে আমরা যতই সতর্ক থাকি না কেন বিপদ আসলে ঠেকানো মুশকিল। আরো দুই দিন আগে আমার ভাজতির জন্মদিন ছিল। আর আমাদের দুপুরে সবার দাওয়াত ছিল। তাই আমরা সকালে তেমন নাস্তা করেছি কিন্তু দুপুরের জন্য কিছু করিনি।আসলে দুপুরে দাওয়াত খাব তাই অপেক্ষা করছি।
যাইহোক আমার ছোট মেয়ে দুপুরে সেজেগুজে রেডি হয়ে বসে আছে খাবার খাওয়ার জন্য। তবে তার আম্মার রান্না দেরি হয়ে গিয়েছে। আম্মা মানে তার মেজ চাচিকে আম্মা বলে। তারপর দেখে রান্না হয়নি তখন ঘরে এসে আমাকে বলল আম্মু ক্ষুদা লেগেছে। তখন আমি বললাম তুমি এখন কলা রুটি খাও তারপর বিরিয়ানি খাবে। আর এখন ভাত খেলে আর বিরিয়ানি খেতে পারবে না।তারপর মেয়েটা একটা কলা খেয়ে আস্তে আস্তে আমাদের বাড়ির পাশে নদী আছে সেখানে চলে গিয়েছে। আসলে সেখানে তার সমবয়সী লোকজন আছে।
এদিকে আমি অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তারপর বড় মেয়ে এসে বললো আম্মু আম্মার রান্না শেষ হয়েছে রিমিকে ডাকে খেতে।আমি বললাম ওতো ওখানেই। তবে সে যে রাস্তায় গিয়েছে আমরা কেউ জানি না। তারপর তাকে আমি খুঁজে লাগলাম। তবে পাচ্ছিলাম না।হঠাৎ দেখে কান্নার শব্দ। তারপর আমরা সবাই চলে গিয়েছে সেনদীর পাড়ে ব্রিজের কাজে।গিয়ে দেখি মেয়ে আমার কান্না করতে করতে অস্হির। তারপর জিজ্ঞাসা করলে কিছু বলছে না শুধু কান্না করছে।আর হাত ঘাড় চুলকাচ্ছে।
তারপর আমার জা বললো দেখ হাতে কি হয়েছে এভাবে চুলকাচ্ছে। হাত দেখতে দেখতে দেখি হাত ও ঘাড় ফুলে যাচ্ছে। তারপর পুরো হাত ও ঘাড় মূহুর্তে ফুলে গিয়েছে। আসলে কোন বিষাক্ত পোকায় কামড় দিয়েছে। অনেকে বলেছে বিষমাইজালি কামড় দিয়েছে। আসলে এদিকে হাত ফুলে যাচ্ছে আর অন্য দিকে হাতে অনেক ব্যথা। তারপর মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে এসেছি। হেক্সিসল দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে দিয়েছি।তারপর হাতে একটু মলম লাগিয়ে দিয়েছি। আসলে হেক্সিসল দেওয়ার পরে তার হাত আরো বেশি ব্যথা করতে লাগলো।ছোট মানুষ এভাবে কান্না করা দেখে অনেক খারাপ লাগছে। তবে কি আর করার আছে তখন। তার কিছু সময় পরে ব্যথা একটু কমেছিল।
তারপর কিছু বিরিয়ানি খেল। তারপর ডাক্তার এসে কিছু ঔষধ দিল ব্যথা কমার জন্য। আসলে এমন বিপদ হবে তা কখনো ভাবিনি। সব কিছু শেষ এখন শুধু খাওয়া দাওয়া করে দুপুরে রেস্ট নেবে। তারমধ্যে ঘটল কেমন বিপদ। সত্যি বিপদ কখনো বলে কয়ে আসে না। যাইহোক এখন হাত ফুলা রয়েছে তবে ব্যথা অনেকটাই কমেছে।তাই আমাদের সবার উচিত বাচ্চাদের চোখে চোখে রাখা। সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1880977956547490112?t=CdZc-pbr9Gdtqle1Pxqe3Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই আপু বিপদ বলে কয়ে আসেনা। যেকোনো সময় হয়ে যেতে পারে যেকোনো ধরনের বিপদ। যেমন আপনার মেয়ে নাস্তা করে খেলতে গেছে বাইরে ঠিক সে মুহূর্তেই কি এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে। যাইহোক আপনার মে এখন মোটামুটি সুস্থ আছে এটা জেনে ভালো লাগলো। তার জন্য সুস্থতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এমন বিষাক্ত প্রকার কামড়ে হাত তো অনেক ফুলে গেছে আপু। ও নিশ্চয়ই এই কারণে অনেক কষ্ট পেয়েছে সেই জন্যই এত কান্নাকাটি করেছে। হঠাৎ করে এমন বিপদ সত্যিই বলে কয়ে আসেনা। আর এই কারণে অনেক ভুগতে হল। আশা করি এখন সব ঠিক হয়ে গেছে এবং ফোলা কমে গেছে।
জি ভাইয়া আজ ফুলা কমে গিয়েছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
কোথাও কিছু নেই অথচ অদ্ভুত ভাবেই একা বিপদ ঘটে গেল। সত্যি বলতে কি বাচ্চাদের কিছু ঘটলে একেবারেই ভালো লাগেনা। আমাদের কিছু হোক সেটা আমরা অতটা আমল দেই না। কিন্তু ছেলে মেয়েদের হলে আঘাতটা যেন আমাদেরই বেশি লাগে। যাইহোক ও যে কান্না থামিয়ে পরে এসে খাওয়া-দাওয়া করেছে এটাই অনেক। কোন পোকা কামড়ে দিলে বা চলে গেলে এরকমটা হয় আপনি কিছুদিন একটু সাবধানে রাখুন ওকে।
পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপু এমন জায়গায় বাচ্চাদেরকে না যেতে দাওয়াই ভালো। যেহেতু আপনার মেয়ে আরও অন্য ধরনের বিপদ হতে পারে নদীর পাড়ে। নদীর পাড়, পাহাড় নিরিবিলি জায়গা খুবই জঘন্য জায়গা খারাপ জায়গা। এখানে পোকামাকড় থাকতে পারে। তাছাড়া কিছু মিলিয়ে দেখছি বেশ বড় বিপদের হাত থেকে বেঁচে গেলেন। পরবর্তীতে কেমন হয়েছে জানাবেন।
আসলে আপু বাচ্চারা কথা শোনে না, ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সাবধানতা অবলম্বন করলে ও বিপদ চলে আসে।তবে মেয়েদের একা দূরে বিশেষ করে নদীর পাড়ে না পাঠানোই ভালো। সুন্দর অনুষ্ঠান খাবে তার মধ্যে কি বিপদ ঘটলো।দোয়া করি আল্লাহ সুস্থতা দান করবেন।
ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ার জন্য।
আমারও মনে হচ্ছে আপনার ছোট মেয়েকে বিষাক্ত পোকায় কামড় দিয়েছে। আর সেজন্যই হাত এমন ফুলে গিয়েছে। আসলেই বিপদ বলে কয়ে আসে না। তবে ছোট বাচ্চাদেরকে চোখে চোখে রাখতে হয়। আশা করি পরবর্তীতে বাচ্চাদের দিকে আরও খেয়াল রাখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া অবশ্যই চোখে চোখে রাখতে হয়, আসলে বাচ্চারা কথা শোনতে চাই না। ধন্যবাদ আপনাকে।