সহজ ছিলো না!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আমাদের ইউনিভার্সিটি জীবন নিয়ে যদি বলতে চাই। তাহলে আসলে কথা বলা শেষ হবে না। তবে সবকিছু বলতে চাই ও না। অর্থাৎ বিশেষ একটি ব্যাপার নিয়ে লেখালেখি করতে এসেছি। যেটা আসলে আমার জন্য মোটেও সহজ ছিলো না। তো মনে হলো যে, ব্যাপারটা আপনাদের সাথেও শেয়ার করা যাক।

বর্তমানে আমার ইউনিভার্সিটি লাইফ বলা-চলা একেবারে শেষের দিকে। অর্থাৎ আর দু'বছর রয়েছে। তো মোটামুটি বলা চলে যে, এখন সিনিয়র তো। একেবারে যখন প্রথম ঢুকেছিলাম ইউনিভার্সিটিতে। তখন অনেক বড় একটি প্রবলেম সব সময় আমরা ফেস করতাম এবং সেই প্রবলেম এর কোনো সমাধান আমাদের হাতে ছিলো না। সেটা হলো, ধরুন কোন কোর্সে খুব বাজে শিক্ষক পরে গেলো। অর্থাৎ যিনি একেবারেই স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি না কিংবা একেবারে ফ্লেক্সিবল না, বোঝাতে পারেন না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, তিনি স্টুডেন্টদের কথাও শুনতে চাইতেন না। অর্থাৎ এমন কোনো শিক্ষক যদি আমাদের কোনো কোর্সে পরে যেতো। তখন কিন্তু আমাদের কিছুই করার থাকতো না।

এমনও অনেক কোর্সে আমাদের খারাপ রেজাল্ট এসেছে, যে কোর্সগুলো অত্যন্ত সহজ ছিলো। শুধুমাত্র উনাদের মারকিং কিংবা পরানোর স্টাইল এর কারণে আমাদের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। যাই হোক, তো প্রথম দু বছর আসলে এই বিষয়গুলো অনেক বেশি সাফার করেছি এবং এই বিষয়গুলো অনেক বেশি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো এবং একটা ব্যাপার রয়েছে অর্থাৎ শুরু থেকে ঢোকার পর থেকেই একটা ব্যাপার আমরা খুব ভালোভাবে শুনেছি যে, যদি কোনো টিচার কিংবা প্রফেসরকে চেঞ্জ করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন করা হয়। তখন সেই প্রফেসরকে কোনো ভাবে চেঞ্জ করা হয় না এবং সেটা প্রফেসরকে শুনানো হয় এবং এর পরে আসলে উনি আরো বেশি খারাপ ভাবে আচরণ করেন।

তো মোটামুটি সেই ভয়ে আসলে আমরা কখনই কোনো application কিংবা কমপ্লেইন করিনি। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু আমরা এখন সিনিয়র। সে ক্ষেত্রে আসলে একজন টিচারকে আমরা একেবারে কয়েক দিনের নোটিশে চেঞ্জ করে ফেলেছি। কারণ আসলে একটা চুয়েটের একজন ম্যাম আমাদের একটা কোর্স নিচ্ছিলো এবং সেটা আমাদের একেবারে কোর কোর্স বলা চলে। তো সে কারণে আমরা প্রথম তিন সপ্তাহ ক্লাস করলাম উনার এবং এতো বাজে বোঝায় এবং একটা লাইন পারেনা। এই ধরনের অবস্থা ছিলো ওনার।

এরপরে তাও আমরা চেয়ারম্যান স্যার কে জানালাম এবং তিনি বললেন যে উনার সাথে উনি বসেছেন এবং উনার সাথে উনি সবকিছু ঠিকঠাক করে নেওয়া চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা ওনার মধ্যে যেটা দেখতে পেলাম যে উনি তাও আসলে একটা দাম্ভিক আচরণ করছেন এবং একেবারেই আসলে স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি নয়। তো আমরা আসলে চেয়ারম্যান স্যারকে সোজা এটা জানিয়ে দিলাম যে, উনি যদি আমাদের ক্লাস করান। তাহলে আমরা কেউই এই কোর্স এনরোল করবো না। এবং আমরা কোনো ভাবেই উনার কোর্স করবো না। চেয়ারম্যান স্যার আমাদের অনেক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলেন এবং হুমকি পর্যন্ত দিলেন যে, যদি আমরা এই কোর্স না নেই। তাহলে পরবর্তীতে উনি কোনো ভাবেই এই কোর্স টিচার চেঞ্জ করবেন না। তো আমরা আসলে আমাদের কথাতেই একেবারে স্টিক করেছিলাম। যেটা আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিলো।

কারণ একজন চেয়ারম্যানের সামনে আসলে এভাবে করে একঘুয়ামি করা সত্যিই কষ্টকর ছিলো আমার জন্য। কারণ চেয়ারম্যান এর সাথে তর্ক করা কিন্তু সত্যিই খুব সহজ বিষয় নয়। কিন্তু তাও শেষ পর্যন্ত উনি আমাদের কাছে হার মানলেন এবং আমাদের কথা দিলেন যে, আমাদের কোর্স টিচার অবশ্যই চেঞ্জ করে দেবেন। যাইহোক এর পরে তো আসলে ওনাকে চেঞ্জ করা হলো। যদিও পরবর্তী প্রফেসর এখনো এনরোল করা হয়নি। তবে আশা করছি চেয়ারম্যান স্যার একজন ভালো শিক্ষক দিবেন। আসলে এটা একটা ব্যাপার শিখেছি যে, যতোক্ষণ পর্যন্ত আমরা রুখে দাঁড়াতে না পারি। ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের অধিকার কখনোই পাইনা।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।