ওয়েভার ২০% থেকে ৩০%!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

গত একটি পোস্টে আমি উল্লেখ করেছিলাম যে ভার্সিটিতে আসলে অনেক প্রেসার ক্রিয়েট করা হচ্ছে স্টুডেন্টদের উপরে যেনো তারা যথাসময়ে টাকা দিয়ে দেয়। অর্থাৎ খুব কম সময় দিয়েছে। আর এটা আপনারা সকলেই জানেন যে, অল্প কিছু মাস আগে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা কতোটা ভয়াবহ ছিলো এবং এটাও সকলেই অবগত রয়েছেন আশা করি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ ছিলো সেই সমস্যাতে।

যাইহোক, সমস্যা কেটে গেলো। তার পরে তো বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সাথে সাথেই আমরা যে চমক পেয়েছি। সেটা হলো মাত্র তিন মাস এর মধ্যেই তারা সেমিস্টার শেষ করিয়ে দিবে। আসলে এটার উদ্দেশ্য কি সেটা আমরা সকলেই খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছি এবং সেটা হলো তারা যেনো সময়ের মধ্যে টাকা নিয়ে নিতে পারে। সেই কারণেই সেমিস্টার শেষ করাতে চায়।যাই হোক, সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই।

এরপরে তারা চাপ প্রয়োগ করেছিলো শিক্ষার্থীদের উপরে, যে টাকা শিক্ষার্থীরা ছয় মাসের মধ্যে দিতো। সেই টাকা তাদের তিন মাস এর মধ্যে দিতে হবে। যেটা অনেক শিক্ষার্থীদের জন্য আসলে অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছিলো। কারণ অনেকেই টিউশনি করিয়ে নিজের খরচ চালায়। অথবা অনেকের বাবার ব্যবসাতেও অনেক লস হয়েছে বাংলাদেশের ভয়ংকর দুঃসময় এর কারণে। তো সবকিছু মিলিয়ে আসলে তিন মাসের মধ্যে এক লক্ষ টাকার মতোন দেওয়া অনেকের কাছেই অনেক অসম্ভব এবং বড় একটি ব্যাপার।

তাই ভার্সিটির স্টুডেন্টরা একটা আবেদন করেছিলো যে, স্টুডেন্টদের যেনো ৩০% ওয়েভার দেওয়া হয়। যেটা কর্তৃপক্ষ থেকে প্রথমে ২০% দেওয়া হয়েছিলো। কারণ প্রায় চট্টগ্রামের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এ ই ২০% করে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু যেহেতু আমাদের ইউনিভার্সিটি একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় এবং এখানে অনেক শ্রেণীর স্টুডেন্ট রয়েছে। অর্থাৎ ধনী, গরীব, মধ্যবিত্ত। তাই সকলের কথা চিন্তা করে যখন শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের উপরে প্রেসার ক্রিয়েট করলো, তখন তারা ৩০% ও ওয়েভার দিলো। যদিও আমি তার আগেই টাকা পেমেন্ট করে দিয়েছিলাম ইউনিভার্সিটির। তাই আমি এই ওয়েভারটি পাবো পরবর্তীতে। কারন যেহেতু আমি এইবার টাকা দিয়ে দিয়েছি। সে কারণে আমি এখন আর এটার মধ্যে পরছি না। তবে আমার ওয়েভারটি অবশ্যই থেকে যাবে অর্থাৎ পরের সেমিস্টার এর জন্য।

আসলে কিছু কিছু ব্যাপার খুব অবাক লাগে। কারণ যে কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষার্থীদের মনের কথাগুলো তারা বুঝে নেওয়া। কারণ তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক শুধু কিন্তু টাকা লেনদেন এর নয় তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক গুরুশিক্ষক এর তাই তারা যখন আসলে এরকম অবুঝ এর মতোন কাজ করে এবং তাদেরকে জোর প্রয়োগ করতে হয়। তখন সেটা সত্যিই খারাপ লাগে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।