সামর্থ্য থাকলেই করতে হয় না!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আমার পরিবারে ছোটবেলা থেকে আমি একটা ব্যাপার একেবারে খুব দেখে বড় হয়েছি এবং সেটা আমি ছোটবেলা থাকতে যেমন দেখেছি এখন ও প্রায় একই রয়েছে বলা চলে। যাই হোক, সেটা হলো অর্থাৎ আমি যে ব্যাপারটা নিয়ে আজকে লিখতে এসেছি। সেটা হলো আমার পরিবারে আমি সবসময় দেখেছি যে যার যতোই টাকা থাকুক না কেনো। অর্থাৎ সে মধ্যবিত্ত হোক গরিব হোক কিংবা বড়লোক হোক, যে ই হোক না কেনো।ওনারা কখনোই নিজের ছেলেমেয়েদের হাতে টাকা দিতে পছন্দ করে না। কিংবা অনেক দামি জিনিস দিতেও পছন্দ করে না।

এমনকি এটা আমার ক্ষেত্রেও অর্থাৎ আমি স্কুল লাইফ এ পর্যন্ত খুব কম টাকা দেওয়া হতো এবং আমাকে কিন্তু সেই স্কুল লাইফ থেকে মা অর্থাৎ স্কুল লাইফ পর্যন্ত মা বাসা থেকেই টিফিন বানিয়ে দিতো। যাতে বাইরে থেকে টাকা দিয়ে কিনে খেতে না হয়। আর সাথে অল্প কিছু টাকা দিতো। যদি আমার কিছু খেতে ইচ্ছে করে তাহলে যেনো খেয়ে নিই।অর্থাৎ মূল কথা হলো আমার হাতে কখনোই বেশি কোনো টাকা দেওয়া হতো না অর্থাৎ কোনো বাড়তি কিংবা বেশি টাকা দেওয়া হতো না এবং এটা আমি আমার পরিবারের বেশিরভাগ মানুষের কাছেই দেখেছি যে, যাই হোক না কেনো সন্তানের হাতে অতিরিক্ত টাকা কখনোই দেওয়া হয় না।

কারন এই যে এখন দেখেন স্কুলের ছেলে মেয়েরা রেস্টুরেন্টে যায়, খেতে যায়, একসাথে ঘুরতে যায়। সেটা আমি কখনোই কিন্তু চিন্তাও করতে পারিনি এবং এখনো যে আমি বাইরে যাই। সেটাও অনেকটা কষ্ট করে বলা চলে। কারণ আমি আমার পরিবার এর ব্যাপারে যদি বলি। তাহলে সত্যিই আমার পরিবার খুব বেশি স্ট্রিক্ট বলা চলে।সত্যি কথা বলতে ছোটবেলায় এই ব্যাপারগুলো নিয়ে খুব রাগ হতো আমার। কারণ যখন দেখতাম যে বান্ধবীরা সকলে মিলে একসাথে রেস্টুরেন্টে যাচ্ছে এবং আমি যদি সেটা বাসায় বলি , তাহলে আমার মা আমাকে নিয়ে যেতে সাথে সাথে রাজি হয়। কিন্তু বান্ধবীদের সাথে যেতে দিতেন না।

যাইহোক এটাতে আশা করি বুঝতে পারছেন যে, আমার ছোটবেলা বেশ কঠোরতার মধ্যেই কেটেছে এবং সত্যি কথা বলতে তখন বিরক্ত লাগতো।কিন্তু এখন এটা আমি বুঝি যে এটা আমার জন্যে যথেষ্ট ভালো ছিলো।কারণ অনেক বান্ধবীকেই দেখেছি যে এতোটাই বেপথে চলে গিয়েছে যে বর্তমানে পড়ালেখাটাও ছেড়ে দিতে হয়েছে। তো সেটার এই এখনও কিন্তু চল আমাদের বাসায় রয়েছে এবং তার একটি উদাহরণ দিতেই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম।

সেটা হলো আমার ছোট ভাই কিন্তু কলেজে পড়ে এবং তার এখন বর্তমানে ফার্স্ট ইয়ারের হাফ ইয়ারলি এক্সাম চলছে এবং এখন এসে বাবা ওকে ফোন কিনে দিয়েছে।তাও অনেক request এর পরে। অর্থাৎ সে প্রায় দুই বছর ধরে রিকোয়েস্ট করার পরে বর্তমানে ফোন পেয়েছে। আর সে বাবাকে অনেক বলেছিলো অর্থাৎ বেশ কয়েকটা দামী ফোনের নাম বলেছিলো।কিন্তু বাবা একটাও দিতে রাজি হয়নি। এবং বর্তমানে ওকে যেটা কিনে দিয়েছে সেটা হলো Redmi Note 14 4g। আসলে ব্যাপারটি কিন্তু এমন নয় যে আমার বাবা তাকে একটা দামি ফোন কিংবা আইফোন কিনে দিতে পারতো না। আমাকে কিন্তু আইফোন দিয়েছে ইউনিভার্সিটিতে উঠার পরেই।কিন্তু আমার বাবার এটাই কথা যে, সে আসলে যখন দামি ফোন নিয়ে কলেজে যাবে। তখন স্বাভাবিকভাবে তার মধ্যে একটা অল্প হলেও অহংকার কাজ করবে যেহেতু বয়স কম। যেটা আমার বাবা একেবারেই পছন্দ করে না এবং সে কারণেই তাকে এই ফোনটি কিনে দিয়েছে। যাতে তার কাজ সব করা যায় এবং ফোনের যে একটা অহংকার থাকে, সেটা না করে। কারণ আমাদের আসলে একটা বয়স হয়ে যাওয়ার পরে আমরা এটা বুঝি যে মোবাইল কিনবা যে কোনো জড়বস্তু নিয়ে অহংকার করার কিছুই নেই। কিন্তু ছোটরা কিন্তু সেটা বুঝে না। ছোটদের কাছে এই ব্যাপারগুলোই অনেক অহংকারের হয়ে যায়। তাই আসলে আমার এটাই মতামত। অর্থাৎ আমার পরিবার থেকেই এটা আমি দেখেছি যে, সব সময় সামর্থ্য থাকলেই সব কিছু করতে হয় না সবকিছু কিনে দিতেও হয় না। এতে করে অভ্যাস ভালো হওয়ার চেয়ে খারাপ হয়ে যায়। অন্তত এটা আমি নিজে বুঝতে পেরেছি।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।