ফার্মগেটের পাগলা হালিম
রাত নয়টা বাজলেই ইলেকট্রিসিটি চলে যাই আমাদের এখানে। এটা নতুন কিছু না, প্রতিদিন একই সময়ে ইলেক্ট্রিসিটি চলে যাবে এটা সবার কাছেই যেন মুখস্ত। তাই রাতের রান্নাবান্না খাবার দাবার নয়টার আগেই শেষ করে ফেলি আমরা। এরপর প্রতিদিন মামার নতুন বাইকে করে ব্যাস্ত ঢাকার আনাচে কানাচে, এখান থেকে সেখানে ঘুরে বেড়ায় আমরা। মামা আমি আর আমাদের সাথে আরো দুজন।
কাল রাতে বের হয়ে সোজা চলে গেলাম ফার্মগেইটের নামকরা পাগলা হালিম খেতে। যদিও আমি সেখানে প্রথম তবে ওরা সবাই আগে বেশ কয়েকবার এখানে এসেছে। আমি যদিও প্রথমে ভেবেছিলাম এটা মনে হয় কোনো পাগলের দোকান, পরে বুঝতে পারলাম দোকানের নাম করন করা হয়েছে পাগলা হালিম নামে।
এই হালিমের নাম যেমন পাগলা হালিম এর স্বাদও ঠিক যেন পাগলের মতো। আমি জীবনে অনেক জায়গায় হালিম খেয়েছি তবে এই পাগলা হালিমের স্বাদ হয়তো আর কোথাও পাইনি। ফার্মগেইটের মোড়ের ঠিক পাশেই নাম করা এই পাগলা হালিমের দোকান। রাস্তার পাশে হওয়ার কারণে মানুষেরও বেশ ভিড় রয়েছে এখন। আগে টাকা দিয়ে টুকেন নিতে হয় এরপর সিরিয়াল কেটে হালিম নিতে হয়। ত্রিশ টাকা থেকে শুরু করে একশত টাকা পর্যন্ত এখানে হালিম নেওয়া যায়।
আপনারা যদি কেউ ঢাকার ফার্মগেটের আশেপাশে থাকেন কিংবা কখনো এখানে আসেন তাহলে এই পাগলা হালিম ট্রাই করতে পারেন আশাকরি আপনাদের কাছেও ভালো লাগেব। আমরা একশত বিশ টাকা দিয়ে চারটি ত্রিশ টাকার পাগলা হালিম অর্ডার করি ও বেশ মজা করে উপভোগ করি।
এরপর সেখানে আরো বেশ কিছুক্ষন সময় কাটায় ও সুন্দর সময় পার করে দুই ঘন্টা পর বাসায় চলে আসি। ইলেক্ট্রিসিটি যদিও একঘন্টা পরেই চলে আসে তবুও আমরা একটু দেরি করেই বাসায় ফিরি।
আজকে আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে ফার্মগেইটের পাগলা হালিমের সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম ও সুন্দর মুহূর্তটাকে আপনাদের সকলের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আশাকরি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। আজকে আমি এখানে শেষ করলাম আগামীতে আরো সুন্দর কোনো জায়গা কিংবা সুন্দর কোনো মুহূর্ত শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
ফার্মগেইটের নামকরা পাগলা হালিম খাওয়ার অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। হালিম খেতে আমার কাছেও ভীষণ মজা লাগে। তবে এদের হালিম দেখেও বোঝা যাচ্ছে বেশ জমিয়ে খেয়েছেন। এক কথা খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট ভিজিট করে।
হালিম খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ইচ্ছা করছে এক্ষুনি খেয়ে নি। দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। পাগলা হালিম খেতে গিয়ে আপনারা দুই ঘন্টা অতিক্রম করেছেন । অনেক সুন্দর একটি সময় অতিক্রম করেছেন মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
পাগলা হালিম নামটি শুনতে যেন কিরকম লাগছিল। তবে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম, হালিমের স্বাদ এতটাই বেশি যা কাস্টমারকে পাগল করে ফেলে। যেহেতু আপনি এই পাগলা হালিম খেয়ে বেশ প্রশংসা করলেন, সেহেতু নিঃসন্দেহে এই হালিম সকলের কাছে ভীষণ ভালো লাগবে। আর ফটোগ্রাফিতে হালিম দেখেও বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ স্বাদ হবে। যাইহোক ভাই, পাগলা হালিম খেয়ে আপনারা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং সেই সুন্দর মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মামার সাথে ঘুরাঘুরি ফাঁকে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া হয়েছে দেখছি। ভাই আপনি নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এছাড়া এই শীতের সময় হালিম খেতে অনেক ভালো লাগে।