দুর্গাপূজা। পর্ব:- ১৩
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ দুর্গাপূজার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
যাইহোক সেদিনের মতো তো আমরা বাড়ি চলে গেলাম। আসলে বাড়ি গিয়ে এত ক্লান্তি লাগছিল যে পরের দিন রাতে আর কোথাও পুজো দেখার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু যেহেতু পূজো তো আর সারা বছর হয় না তাই নিজেকে একটু সতেজ করার জন্য বাড়ি গিয়ে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। আসলে পুজোর দিনগুলোতে মনে হয় যেন দিনের বেলা রাত আর এবং রাতের বেলা দিন। কেননা সারারাত পুজো দেখে সারাদিন ঘুমাই এবং আবার পুনরায় সারারাত পুজো দেখি। যাইহোক গিন্নিকে একটু রান্নার কাজে হেল্প করে আবার পুনরায় পরবর্তী রাতে পুজো দেখার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। কেননা বাড়িতে যেহেতু বাবা-মা থাকে তাই তাদের জন্য রান্না করে যেতে হবে। পরের দিন আমরা একটা নতুন প্যান্ডেল দেখতে গেলাম। প্যান্ডেল ঠিকঠাক না হলেও এর মধ্যে থিমটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আসলে এই প্যান্ডেলের থিম হল পুরনো আদিম কালে মানুষ যেভাবে বসবাস করত এবং মানুষের সাথে যে রকম আচরণ করতো। আমরা সর্বপ্রথম এই প্যান্ডেলের ভিতরে আস্তে আস্তে করে বিভিন্ন মানুষগুলোকে দেখতে লাগলাম যারা কিনা বিভিন্ন ধরনের প্রাচীন সভ্যতার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করছিল। এই মানুষগুলো সেই প্রাচীনকালের মানুষ যখন তাদের পোশাক আশাক সঠিক ছিল না এবং বিভিন্ন ধরনের বন্য প্রাণী শিকার করে তারা খেত। এই মানুষগুলো খুব সুন্দর ভাবে প্রাচীন সভ্যতা গুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে এবং তাদের অভিনয় কিন্তু এক কথায় অসাধারণ। কেননা আপনি যদি হঠাৎ করে তাদের দিকে তাকিয়ে পড়েন এবং তারা আপনার দিকে এমন অঙ্গভঙ্গি করবে যা দেখে আপনি ভয় পেয়ে যাবেন।
যাইহোক আমরা আস্তে আস্তে করে পুরো প্যান্ডেলটি ঘুরে দেখার চেষ্টা করলাম। যদিও একটা সমস্যা হল প্যান্ডেলের ভিতরে যেহেতু পুরনো থিম করা হয়েছে তাই আলোর পর্যাপ্ততা তেমন একটা রাখা হয়নি। অর্থাৎ তারা সেই প্রাচীনকালের মত একটু হালকা অন্ধকার টাইপের আলো রাখা হয়েছিল। এতে করে আমাদের ছবি তুলতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। কেননা এই অল্প আলোতে ছবি তুলতে সবার বেশি কষ্ট হয়। আসলে এই পরিবেশটা আমার ভীষণ ভালো লাগছিল এবং পরিবেশটা দেখে অনেকটা গা ছমছমে মনে হচ্ছিল। যাইহোক মাঝে মাঝে দু একটা লোক চিৎকার করে উঠছে এইসব লোকেদের অঙ্গভঙ্গি দেখে। কেননা হঠাৎ করে যদি কেউ আপনার সামনে লাফ দিয়ে করে তাহলে আপনার তো ভয় লাগবে।
আসলে প্যান্ডেলে প্রায় অনেক মানুষ খুব সুন্দর ভাবে অভিনয় করছিল। আসলে এই মানুষগুলোর একটা নির্দিষ্ট সময় অব্দি ডিউটি ছিল। অর্থাৎ প্যান্ডেলটি প্রায় রাত দশটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু মানুষ এখানে অভিনয় করছে তাই অভিনয় করতে করতে তাদের অনেকটা কষ্ট হয়ে যায়। আসলে মানুষ মানুষকে একটু সামান্য আনন্দ দেওয়ার জন্য যে কতটা কষ্ট করে তা এই মানুষগুলোকে দেখলে বোঝা যাচ্ছে। যদিও প্যান্ডেলের ভিতরে পরিবেশটা এক কথা অসাধারণ এবং সেই প্রাচীনকালের দিকগুলোকে তারা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। আসলে এই ধরনের প্যান্ডেলের লোক সংখ্যা একটু কম হয় তাই আমি খুব সুন্দর করে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করছি।
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
এমন ধরনের জীবন্ত প্যান্ডেল গুলি দেখতে খুব ভালো লাগে। এই অসময়ে দূর্গা পূজার পোস্ট দেখতে খুব ভালো লাগলো। দুর্গাপূজা এমন একটি সময়, যখন বাঙালি সবচেয়ে আনন্দে সময় কাটায়। আর এই অসময়ে যদি দুর্গাপূজার মতো আনন্দের পোস্ট ব্লগে ভেসে ওঠে তাহলে তো কথাই নেই। আপনার পোস্টে ধারাবাহিকভাবে পুজোর পোস্টগুলি পড়তে খুব ভালো লাগে। আদিম মানুষকে থিম করে বানানো এই প্যান্ডেলটি সব দিক থেকে দুর্দান্ত হয়েছে।।
নোমিনেশনে পাঠানো হয়েছে। টাস্ক গুলো অ্যাড করে নিন।