নাটক রিভিউ :- " স্কুল গ্যাং সিজন ২ " ( পর্ব ৭ )❤️
ABB 17.12.24✅
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি নাটক রিভিউ। নাটকের নাম হচ্ছে স্কুল গ্যাং সিজন ২ । নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে । বেশি দিন ধরে আমি এই নাটকটি দেখছিলাম। যদি এটা অনেক আগেই বের হয়েছে। তবে যেহেতু এই নাটকটি বেশ কিছুটা পর্ব তৈরি করা হয়েছে, তাই জন্য ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা একটা করে পর্ব শেয়ার করবো। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নাটকের ৭ তম পর্ব টা শেয়ার করবো। আশা করি রিভিউটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | স্কুল গ্যাং সিজন ২ |
---|---|
কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা | আর্থিক সজীব। |
অভিনয়ে | শহিদুল আলম সাচ্চু, আব্দুল্লাহ রানা, তামিম খন্দকার, শায়লা সাথী, সিয়াম মৃধা , আরোহী মিম, মিরাজ খান, আদর আহমেদ , নাজিয়া বর্ষা, সাকিব সিদ্দিকি, অনন্যা ইসলাম, শোয়েব শান্ত , রকি খান, ফারুক আল ফারুকী সহ আরো অনেকে। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | মামুন অর রশিদ |
সম্পাদনা | সাইদুর রহমান সবুজ |
মিউজিক | বি এইচ পারভেজ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা সিয়ামের বাবাকে দেখতে পাই কারো সাথে কথা বলছিল। তখনই ওখানে সিয়াম এসে বসে। তারপরে আমরা দেখি সিয়ামের বাবাকে আরোহীর বাবা ফোন দিয়েছে। আরোহীর বাবা সিয়ামের বাবাকে জানায় আরোহী যেভাবেই হোক না কেন ক্লাস ক্যাপ্টেন হতে চায়। যেন এই বিষয়টা সে দেখে। তাদের কথা বলা শেষে সিয়ামের বাবা সিয়াম কে বিষয়টা হ্যান্ডেল করার জন্য বলে। কিন্তু সিয়াম বিষয়টা মানতে চায় না।
কিছুক্ষণ পর্যন্ত তারা বাবা ছেলে কথা বলে। তারপর সিয়ামের বাবা কাউকে ফোন দিয়ে বিষয়টা হ্যান্ডেল করার জন্য বলে। অন্যদিকে আবার শান্ত আর ফারুক মিলে স্কুলের মেন গেটে তালা মেরে ভেতরে চলে যায়। তারপরে শান্ত ফারুকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে যায়। বাহিরে তখন তামিমের লোকজন অনেক বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করছিল। কিছুক্ষণ পর শান্ত ক্লাসে এসে সবাইকে বিষয়টা বলে। তারা যখন বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছিল তখন আরোহী তাদেরকে বিভিন্ন রকম কথা বলছিল।
কিছুক্ষণ পর ক্লাসের মধ্যে হেড স্যার আর আদর স্যার আসে। এরপর আদর স্যার নির্বাচনের বিষয়গুলো ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বুঝিয়ে বলে। কিন্তু আরোহী মিম এগুলো কিছুই বলতে চাই না। যে চায় ভোট যেন আগামীকাল হয়। অন্যদিকে আরোহী মিম এর কথা স্যার না মানায় সে স্যারকে বিভিন্ন কথা শোনায় এমন কি মামলা করার থ্রেট দেয়। কিন্তু আদর স্যার এগুলো কিছুই মানে না। আর ভোট এর কাজ শুরু করে দেয়। এক এক করে প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট ভোট দিচ্ছিল কাগজের মধ্যে নাম লিখে।
তামিমের লোকজন স্কুলের বাহিরে যখন এরকম করছিল তখনই ওখানে সিয়াম আসে। তখন সিয়াম তাদেরকে বলে দেয় এখান থেকে যেন চলে যায়। কারণ স্টুডেন্টদের নির্বাচন তারাই করবে, এখানে এদের কোনো কাজে নেই। অন্যদিকে তামিল সিয়াম কে থ্রেট দেওয়া শুরু করে। আর সব লোকজন তার দিকে তেড়ে আসে। আজ স্কুলের মধ্যে এক এক করে প্রত্যেকটা স্টুডেন্ট ভোট দেয়। আরোহী নিজের ভোট দিয়ে সবাইকে থ্রেট দিয়ে বাইরে চলে যায়।
সে চলে যাওয়ার সময় শান্ত নিচে একটা কলার খোসা ফেলে দেয়। যার কারনে আরোহী পড়ে যায়। আর এটা দেখে সবাই অনেক হাসাহাসি করতে থাকে। যার কারণে আরোহীর মাথা আরো বেশি গরম হয়ে যায়। আরোহী চলে আসার পর আদর স্যার ক্লাস ক্যান্টিন ঘোষণা করে দেয় ভোট গণনা শেষে। আরোহী মিম শূন্যটা ভোট পেয়েছিল আর সাথী ৫৪ টা ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। আরোহী স্কুলের গেটের কাছে এসে এটা বলে, সে এই স্কুলটাকে অবশ্যই দেখে নেবে। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
এই পর্বে অনেক সুন্দর একটা ঘটনা ঘটেছে। আর আমার কাছে এই পর্বটা অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আরোহী সবাইকে থ্রেট দিলেও কেউই তাকে ভোট দেয়নি। বরং সে ভোট পেয়েছিল শূন্যটা। অন্যদিকে সাথী ৫৪ টা ভোট পেয়েছে। আর ক্লাস ক্যাপ্টেন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। সবার এরকম ব্যবহারে আরোহী অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে যায়। আর সবার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সাথে আবার তামিম আর সিয়ামের মধ্যে আবারো এটা ঝামেলা হয়েছে এই বিষয়টা নিয়ে। তামিম ঝামেলা করার জন্য এসেছিল, কিন্তু সিয়াম এটা হতে দেয়নি। তাই তাদের মধ্যে আবারো ঝামেলা হয়। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হবে। আশা করি সেই পর্যন্ত আপনারা অপেক্ষায় থাকবেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
স্কুল গ্যাং নাটকের বেশ কয়েকটি পর্ব আমিও দেখেছিলাম।স্কুল গ্যাং নাটকের মধ্যে সব থেকে মজা দিয়েছিলেন আরোহী মিম। এছাড়া ও সাকিব এবং মিরাজ বেশ ভালো পারফরমেন্স করেছিল। আজকে আপনি খুবই সুন্দর করে স্কুল গ্যাং নাটকের একটি নতুন পর্ব শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
চেষ্টা করেছি স্কুল গ্যাং নাটকের আরেকটা পর্ব আপনাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
দেখতে দেখতে তুমি অনেক সুন্দর করে স্কুল গ্যাং নাটকের সাতটি পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করে নিয়েছো। আর আমার কাছে প্রতিটা পর্বের রিভিউ খুব ভালো লেগেছে। এই নাটকটা দেখেছিলাম। নাটকের কাহিনীটা সত্যি খুব সুন্দর ছিল। আরোহী দেখছি শূন্যটা ভোট পেয়েছে মাত্র। অন্যদিকে সাথী ৫৪ টা ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। এটা দেখে খুব ভালো লাগলো।
সাথী জয়ী হয়েছে দেখে আমার নিজের কাছেও খুব ভালো লেগেছিল।
স্কুল গ্যাং নাটকটা আসলেই অনেক সুন্দর। এই নাটকটা আমি সবগুলোই দেখেছি খুবই ভালো লেগেছিল আমার কাছে। আপনিও অনেক সুন্দর ভাবে নাটকের রিভিউগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নাটকের অভিনেতা গুলা বয়সে কম হলেও অনেক সুন্দর ভাবে অভিনয় করেছে।
হ্যাঁ তারা এখন অনেক সুন্দর সুন্দর নাটক করে থাকে। তেমনি এই নাটকেও অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে।
ভাইয়া আপনি দেখতে দেখতে স্কুল গ্যাং নাটকের সাতটি পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করে নিয়েছেন।স্কুল গ্যাং নাটকের বেশ কিছু পর্ব আমি দেখেছি। নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। নাটকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
নাটকের এই পর্ব টাও সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তুলে ধরতে পারে ভালো লাগলো।
অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার আজকের চমৎকার নাটক রিভিউ দেখে। আমি এই নাটকের বেশ কিছু পর্ব দেখেছি এবং ভালো লাগে। অনেক সুন্দর হবে রিভিউ এর কাজ সম্পন্ন করেছেন দেখে ভালো লাগলো আরো।
আপনি নাটকটার আর বেশ কিছু পর্ব দেখেছেন শুনে ভালো লাগলো।