দেশি কৈ মাছ ভাজি রেসিপি।
সবাই কেমন আছেন?
আশাকরি আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও তার রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। রেসিপিটি হলো দেশি কৈ মাছ ভাজির মজাদার রেসিপি😋। রেসিপিটি খেতে বেশ সুস্বাদু ছিলো৷ এই মাছের রেসিপি ভুনা ভুনা হলে বেশ ভালো লাগে আমার। কিন্তু মাঝে মাঝে এভাবে ভাজি করে খেলেও গরম ভাতের সাথে বেশ ভালো লাগে। আর তাছাড়া বেশি কই মাছ বলে কথা। যাই হোক কৈ মাছ ভাজির রেসিপিটি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিতে যাওয়া যাক।
| আমি নিচে রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছি। আশা করি এটি আপনাদের ও ভালো লাগবে। |
|---|
- কৈ মাছ
- পেঁয়াজকুচি
- কাঁচা মরিচ কুচি
- হলুদের গুঁড়ো
- রসুন বাটা
- লবণ
- সয়াবিন তেল
- প্রথমে আমি মাছগুলোকে হলুদের ও লবণ দিয়ে মেখে নিলাম।
- এখন চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে দিলাম এবং পাতিল এর মধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম।
- তেল ভালোভাবে গরম হয়ে আসলে এর মধ্যে মেখে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিলাম এবং ভালোভাবে ভেজে নিলাম।
- তারপর বাতিলের মধ্যে পেঁয়াজকুচি ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
- এখন লবণ ও রসুন বাটা দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ সামান্য নেড়েচেড়ে দিলাম।
- তারপর মসলার উপকরণগুলো দিয়ে দিলাম। সবগুলো মসলা ভালোভাবে মিক্সড করে নিলাম এবং ভেজে রাখা কৈ মাছগুলো দিয়ে দিলাম।
- মসলার সাথে মাছগুলোকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম তারপর চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
| আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই রেসিপির পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
|---|
কই মাছগুলোকে ভাজি করে পরবর্তীতে মসলার সাথে ভালোভাবে মিক্স করে পরিবেশন করেছেন যেটা দেখতে আরো বেশী লোভনীয় লাগছে। মন চাইছে কৈ মাছ ভাজি গুলো নিয়ে গরম ভাতের সাথে একটু টেস্ট করে দেখি।
ঠিকানা দিন ভাইয়া আবার তৈরি করে পাঠিয়ে দিবো।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দেশী কই মাছে বেশ শক্ত কাঁটা থাকে বিধায়, এভাবে ভাঁজলে কাঁটাগুলো মুচমুচে হয়ে যায়। তখন খেতে আর ভয় লাগে না। আর এভাবে যে কোন মাছে ভাঁজি করে খেতে দারুন লাগে। আমার খুব পছন্দ এভাবে ভাজি করা মাছ।মজাদার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন এভাবে ভাজি করলে কাঁটা গুলো শক্ত হয়ে যায় তখন খেতে খুবই মুচমুচে হয়। আর ভুনা করলে মুখে কাটা লাগে।
কৈই মাছ আমার খুব পছন্দ। খেতে আমার কাছে ভালো লাগে। ভাজি করলে তো কথাই নেই। আপনার রেসিপিটা দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে মনে হয়। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার এই চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি সব সময় উৎসাহমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকবেন।
মচমচে কই মাছ ভাজি খাওয়ার অনুভূতিটা সত্যি খুব অন্যরকম । আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে দেশি কৈ মাছ ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কৈ মাছ ভাজি দেখে খুব ভালো লাগলো । আপনার মাছ ভাজি প্রক্রিয়া দুর্দান্ত হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার অসাধারণ মন্তব্য পরিবেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া আশা রাখার জন্য।
যে কোন মাছ আপনি গরম ভেজে খাবেন খেতে খুব দারুণ লাগবে। তবে কেন জানি ওই কৈ মাছ ভেজে খেতে বেশি ভালো লাগে। আমার কাছে মনে হয় আল্লাহ এই মাছের মধ্যে একটু স্বাদ বেশি দিয়ে দিছে। আপনি খুব চমৎকার ভাবে দেশী কৈ মাছ ভাজে রেসিপি তৈরি করেছেন। এবং মাছ ভাজির প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই দুর্দান্ত বলেছেন আল্লাহ এই মাছের মধ্যে টেস্ট একটু বেশি দিয়েছেন।
আপু আপনার রেসিপির উপস্থাপনা দেখেই তো খিদা লেগে গিয়েছে। এভাবে কড়া করে কৈ মাছ ভাজা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। গরম ভাতের সাথে এভাবে মাছ ভাজা খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দাওয়াত করলাম আপু খিদে মিটিয়ে যাবেন। সবকিছু দেশি জিনিস দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে।
কি আর বলবো আপু দেশি কৈ মাছ খেতে যে এত সুন্দর লাগে তা ধারণার বাইরে। অনেকদিন পর কৈ মাছের ভাজি রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। কৈ মাছ ভাজি খেতে খুবই অসাধারণ লাগে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে আপনার তৈরি কৈ মাছ ভাজি খেতে খুবই মজাদার হবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
সু স্বাগতম আপু
কৈ মাছ আমার অনেক পছন্দ।আপনার রেসিপিটি দেখেই জিভে জল চলে এসেছে।আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আগেকার সময় প্রচুর কই মাছ ধরা হতো। তবে এখন আর এরকম কোন কৈ মাছ ধরা হয় না। আর আজকে আপনি যেভাবে এই কৈ মাছের রেসিপিটি শেয়ার করেছেন এটি একদমই সুন্দর হয়েছে৷ এই রেসিপিটির যে ডেকোরেশনটি আপনি শেয়ার করেছেন সেটি দেখে আমার এখনি এই মাছ খেতে ইচ্ছা করছে।
গ্রামে ছেলেমেয়েরা কৈ মাছ ধরে। বেশ সুন্দর লাগে আর সেই মাছ খেতে আরো ভীষণ ভালো লাগে।