ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না (দশম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের নবম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দশম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন সীমার মা বাবা সীমার কাছে গিয়ে অনুরোধ করার পরেও সীমা রতনের সংসারে ফিরে আসে না। সে তার পরকীয়া প্রেমিক অর্থাৎ তার দ্বিতীয় স্বামীর ভালোবাসায় একেবারে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাইতো সীমা তার ছোট্ট মেয়েটার কথাও একবার ভাবলো না। যাইহোক সীমার মা বাবা নিজেদের বাসায় ফিরে আসে। এদিকে রতনের মেয়ে তো সারাক্ষণ কান্নাকাটি করতে থাকে। খাওয়া দাওয়াও করতে চায় না। রতনের মা যথেষ্ট চেষ্টা করছে রতনের মেয়েকে শান্ত রাখার জন্য।
কিন্তু কোনোভাবেই পেরে উঠছে না। আশেপাশের মানুষজন বলাবলি করতে থাকে,এতো ছোট্ট মেয়েকে তার দাদী বড় করতে পারবে না মনে হচ্ছে। রতন সবমিলিয়ে একেবারে ভেঙে পড়ে। কারণ সীমা রতনকে ধোঁকা দিয়ে অন্যের হাত ধরে চলে গেলো। রতন সত্যিই তার ওয়াইফ অর্থাৎ সীমাকে খুব ভালোবাসতো। তাছাড়া রতন তার ছোট্ট মেয়েটার কথা ভেবে আরও বেশি ভেঙে পড়েছে। এদিকে সীমা তো দ্বিতীয় বিয়ে করার পর বেশ সুখের সংসার করছে। যদিও সীমার দ্বিতীয় হাসবেন্ড সীমার টাকা দিয়ে সংসার চালাচ্ছে। তাছাড়া সীমা তো অনেক স্বর্ণ নিয়ে বাসা থেকে পালিয়েছিল,সেগুলো বিক্রি করে করে সীমার হাসবেন্ড ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করছে। যদিও সীমা প্রথম দিকে বাঁধা দিয়েছিল স্বর্ণ বিক্রি করার সময়। কিন্তু সীমাকে তার স্বামী বুঝানোর পর সে আর কিছু বলেনি।
এভাবেই বেশ কয়েকমাস অতিবাহিত হয়ে গেলো। এদিকে রতন ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে সৌদি আরব থেকে ইতালি চলে যায়। ইতালি যাওয়ার পর রতন মোটামুটি ভালোই ছিলো। তবে মাঝেমধ্যে সীমার কথা ভেবে মন খারাপ করতো। তাছাড়া তার ছোট্ট মেয়েটার কথা ভেবে মন খারাপ করতো। একটা পর্যায়ে রতনের মেয়েও অনেকটা স্বাভাবিক ভাবেই তার দাদীর কাছে থাকতে লাগলো। রতনের পরিবার ভাবছে যে,রতনকে দ্বিতীয় বিয়ে করাবে। কারণ রতনের সারাজীবন পড়ে রয়েছে। তাছাড়া রতনের ছোট্ট মেয়েটার জন্যও একজন মা দরকার। যদিও সবকিছু জেনে রতন এবং তার মেয়েকে গ্রহণ করে নিবে,এমন মেয়ে পাওয়াটা মুশকিল-ই বলা যায়। তবে রতনের মা ভালো মেয়ের খোঁজ করতে থাকে। রতনের মা চিন্তা ভাবনা করে রাখে,ভালো মেয়ে পেলে রতনকে দেশে আসতে বলবে ছুটিতে এবং বিয়ে করিয়ে দিবে।
এদিকে সীমার দ্বিতীয় হাসবেন্ড সীমার সব স্বর্ণ বিক্রি করেও ভালো কোনো ব্যবসা করতে পারে না। ব্যবসায় লস খেতে খেতে সে সর্বশান্ত হয়ে যায়। আর সীমার টাকা তো সংসারের পিছনে ব্যয় করে ফেলে। সীমার দ্বিতীয় হাসবেন্ড সীমাকে প্রায়ই বলে তার বাসা থেকে টাকা নিয়ে আসতে। কিন্তু সীমা তো তার বাসার কারো সাথেই যোগাযোগ করতে পারে না। কারণ সীমা তার মা বাবাকে সমাজের সবার কাছ অপমানিত করেছে। তাই সীমা তাদের বাড়িতে যেতে পারে না। কিন্তু সীমার স্বামী এসবকিছু শুনতে চায় না। সে বলে যে বাসায় গিয়ে তার মা বাবাকে ম্যানেজ করে টাকা নিয়ে আসতে। তাহলে সে নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করবে। এসব নিয়ে সীমা এবং তার স্বামীর মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকে। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প) |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২০.১২.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
কিছু নারীর এটাই হলো সব থেকে জঘন্যতম অভ্যাস যে সুখে থাকতে ভুতে কিলাই। রতনের কাছে কতই না ভালো ছিল সুখের সংসার ছোট্ট একটি মেয়ে সবকিছুকে বিসর্জন দিয়ে এক অসাণ্ডাল ছেলের পাল্লায় পড়ে চলে গেছে। এতকিছু কে অবমাননা করে চলে যাওয়ার ফল কখনোই ভালো হতে পারে না। যার পরিণাম ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সীমার জীবনে। প্রার্থনা করছি এরকম মেয়ের জীবন যেন নরকে পরিণত হয়। যেমন কর্ম তেমন ফল অবশ্যই পাবে। প্রার্থনা করছি রতন এবং রতনের মেয়ে যেন ভালই থাকে।
সীমা অবশ্যই তার কর্মফল ভোগ করবে। যাইহোক গল্পটা পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।