আমরা সবাই ক্ষণিকের অতিথি মাত্র।
"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
হ্যালো বন্ধুরা 💞
আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আয়োজন শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমরা সবাই ক্ষণিকের অতিথি মাত্র। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।
দুনিয়াতে আমরা সবাই ক্ষণিকের অতিথি মাত্র। বর্তমান মানুষের গড় আয়ু অনেক কম। এখন মানুষ খুব কম সময়ে মারা যাচ্ছে। দুনিয়ার মায়ায় পরে আমরা কত কিছুই না করছি তা বলা মুশকিল। কখন কার কিভাবে মৃত্যু হবে আমরা কেউ বলতে পারিনা। কিছু কিছু মানুষের মৃত্যু আসলে মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর। আমাদের অফিসের একজন কর্মকর্তা তিনি ম্যাকানিজ ইনচার্জ। ১৫ তারিখ সারাদিন অফিসে ডিউটি করেন। এর পরে রাত ১১ টা পর্যন্ত ডিউটি করে অফিস থেকে বাসায় যায়। একজন সুস্থ মানুষ। সারাদিন আমাদের সবার সাথে হাসি ঠাট্টা এবং দুষ্টামি করে। অনেক ভালো মনের একজন মানুষ। কোন সময় মন খারাপ করে থাকতে পারে না।
এর পরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমায়। সকাল বেলায় নাকি ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ করে ব্রেন্ড স্ট্রোক করেন। এর পরে হাসপাতালে নিবে এমন সময় বাসার মধ্যে মারা যান। লোকটির বাড়ি হচ্ছে রংপুর পিরোজপুর জেলায়। এর পরে এখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার পরে মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে গ্রামে যাওয়া হয়। সারাদিন তো অনেক ব্যস্ত ছিলাম। সন্ধ্যার পর যখন বাসায় থেকে বের হয়ে অফিস এর সামনে গেলাম। তখন আমি ঘটনাটি শুনতে পাই। তখন তো ভীষণ খারাপ লাগে। গতকাল লোকটির সাথে আমরা সকলেই মিলে গল্প করতে করতে চা খেলাম। আর আজকে লোকটি দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিয়ে চলে গেলো। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন) আজকে অফিসে মুনাজাত হলো আল্লাহ তায়ালা যেনো ওনাকে জান্নাত বাসী করেন। (আমিন)
দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে আমাদের সকলকেই চলে যেতে হবে। হয়তো দুদিন আগে আর পরে। এখন বেশিরভাগ মানুষ ব্রেন্ডন স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছেন। আমাদের সব সময়ই মন ভালো রাখতে হবে। বেশিরভাগ সময় মানসিক চাপ এর ফলে ও বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। গতকাল পোস্ট করতে পারিনি পারিবারিক বেশ কিছু ঝামেলার মধ্যে ছিলাম। আজকে পোস্ট করতে করতে অনেক দেরি হয়ে গেলো। আপনারা সকলেই দোয়া করবেন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইস | realme 9 |
বিষয় | আমরা সবাই ক্ষণিকের অতিথি মাত্র। |
লোকেশন | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @limon88 |
আমি মোঃ লিমন হক। আমার স্টিমিট একাউন্ট @limon88. আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। আমি এখন বর্তমানে জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা উত্তরায় থাকি। আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছি এবং পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করে আসছি। আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার তিন বছর। এখন আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আমি সত্যিই গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সাথে থাকতে পেরে। স্টিমিট আর আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে, তাই যতদিন স্টিমিট রয়েছে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথেই থাকবো। ভালোবাসি পড়তে ও লিখতে ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, মিউজিক, রেসিপি, ডাই, আর্ট আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি। আমি আমার মতো। আল্লাহ হাফেজ 💞
খুবই বাস্তব একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন ভাই। আমরা আসলেই ক্ষনিকের বাসিন্দা এখানে। কিন্তু এটা আমরা ভুলে যেতেই ভালবাসি।
উনার মতই একদিন আমাদেরও ডাক আসবে। চলে যেতে হবে। অন্য কোন উপায় নাই।
সুন্দর একটা রিমাইন্ডার মুলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দুই ধরণের ব্যায়ামের ( exercise) সাথে আমরা পরিচিতঃ এরোবিক (aerobic exercise) এবং এনএরোবিক (anaerobic exercise)! সহজভাবে বললে, জিমে (Gym) বাইচেপ্স বানাতে (Muscle build-up) বা ৬ প্যাক (6-Pack abdomen) বানাতে যে ব্যায়াম করা হয় তাকে বলে এনএরোবিক এক্সারসাইজ। আর বাইরে মুক্ত পরিবেশে হাটা, দৌড়ানো, জগিং করা, সাইকেল চালানো, সাতার কাটা ইত্যাদি কে বলে এরোবিক এক্সারসাইজ। দুই ধরনের ব্যায়ামেরই উপকারীতা আছে। তবে যদি টার্গেট হয় উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension), রক্তের সুগার (DM), রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ (blood lipids), তাহলে এরোবিক এক্সারসাইজই বেশী উপকারী এনএরোবিক এক্সারসাইজ এর তুলনায়। দুইটায় পাশাপাশি করলে তো সোনায় সোহাগা!
দুই ধরণের ব্যায়ামের মধ্যে আরো পার্থক্য জানতে এই লেখাটি পড়তে পারেন।
আসলে এমন ঘটনা শুনলে খুবই খারাপ লাগে ভাইয়া। দুনিয়াটা আমাদের ক্ষণিকের জায়গা। বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিনকাল শেষ হয়ে যাবে। তবে মানুষের এমন মৃত্যু প্রায় হতে চলেছে এটাই আমাদের কানে আসছে এবং চোখেও দেখি। তবে এর মধ্যে আমি নিজেদের সুন্দরভাবে চলার চেষ্টা করতে হবে।
শুনে বেশ খারাপ লাগলো আসলে মানুষের মৃত্যু কোন নিশ্চিত নেই। কখন যে মৃত্যু আমাদেরকে পিছন থেকে টানে সেটা আমরা কিছুতে বুঝতে পারি না। যদি মানুষই জানতো তার মৃত্যু কখন হবে তাহলে মানুষ প্রস্তুত হয়ে থাকতো। বেশ খারাপ লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।এই ক্ষণিকের দুনিয়ায় আমরা কতই না কিছু করি।তবে এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে একদিন সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।কখন কি হবে এটা বলাই মুশকিল।যাইহোক আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই দুই দিনের দুনিয়ায় কে কখন চলে যাবে তা আমরা কেউই জানিনা। তবে মানুষের মধ্যে অনেক বেশি অহংকার থাকে। এসব বাদ দিয়ে ভালোভাবে বাঁচার চেষ্টা করা উচিত। আমরা এই আছি এই না ও থাকতে পারে। এই ক্ষণিকের দুনিয়ায় আমরা কিছুই না। এরকম ঘটনা গুলো দেখলে বা শুনলে অথবা পড়লে অনেক খারাপ লাগে। লোকটার কথা শুনে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে।
আসলেই ভাই, মানসিক চাপের কারণেই এমন স্ট্রোক গুলো বেশি হয়। ঘুমের মাঝে বা যে কোন সময়েই ব্রেইন স্ট্রোক বা হার্ট এটাক এখন খুবই কমন বিষয়। যাই হোক, এমন মৃত্যু কারোর ই কাম্য নয়। উনার আত্মার শান্তি কামনা করি ভাই।
আমরা সবাই এই পৃথিবীতে দুদিনের অতিথি কখন চলে যাবো তা কেউ জানি না। প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এইটাই প্রকৃত সত্য। যে জন্মগ্রহণ করেছে তার মৃত্যু হবে আসলে এটা মেনে নিতে হবে প্রকৃতির নিয়মে।
আমাদের সকলকেই একদিন দুনিয়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে ভাই। আসলে মানুষের জীবনের সবথেকে বড় সত্য হলো মৃত্যু। আপনার পোস্টে আপনি সেই কথাগুলোই গুছিয়ে বললেন। মৃত্যুকে যে মেনে নিতে পারে তার জীবন তত সুখময় হয়ে ওঠে। কিন্তু যখন আমরা মৃত্যুকে মানতে পারিনা তখন ধীরে ধীরে এক চাপ আমাদের উপর বসতে শুরু করে। তাই এই ক্ষণিকের অতিথি বিষয়টিকে মেনে নেওয়াই একজন বুদ্ধিমান মানুষের কর্তব্য।