নুসাইবার প্রথম জন্মদিন🎂🥳।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আমার মেয়ে নুসাইবার প্রথম জন্মদিন উপলক্ষে একটি অনুভূতি মূলক ব্লগ লিখবো।
প্রবাদ আছে "সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না" আমি তো দেখি কোন কিছুই কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সব কিছু প্রাকৃতিক নিয়মে চলতে আছে। দেখতে দেখতে সময় অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে। গত বছর দুপুরের দিকে অফিসে চেয়ারে বসেই কাজ করেছিলাম। বিকাল তিনটার দিকে বাবা হওয়ার সুসংবাদ পেয়েছিলাম।
২০২৪ সালে ২৫শে জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার সময় নুসাইবা পৃথিবীর আলো দেখে। সে হিসাবে ২৫শে জানুয়ারি ২০২৫ সালে নুসাইবার এক বছর পূর্ণ হয়েছে। একটি বছর কিভাবে যে কেটে গেলো বুঝতেই পারি নাই। ছোট্ট নুসাইবা এখান দাড়াতে পারে, এক দুইপা হাঁটতে পারে। তবে প্রচুর দুষ্টুমি করে। প্রতিদিন অফিস থেকে বাসায় গিয়ে নুসাইবার দুষ্টুমির চিহ্ন বা আলামত বাসার আনাচে-কানাচে দেখতে পায়। আমি ড্রেস চেইন্জ করার আগেই নুসাইবাকে কুলে নিয়ে সারা বাসায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খেলনা গুলো একত্রিত করি। গত কয়েদিন যাবত খেলনার সাথে পেঁয়াজ রসুন ও খুঁজে পাচ্ছি😅। কারন ইদানিং কালে খেলনা ফেলে পেঁয়াজ রসুন দিয়েও খেলা শুরু করছে। আর পানি দেখলে তো নতুন জীবন ফিরে পায়। গোসল করিয়ে পানি থেকে তুলে নিয়ে আসলে প্রচন্ড জোরে জোরে কান্না করে। যায়হোক ছোট মানুষ কখন কি দিয়ে খেলে ঠিক নেই।
২৫শে জানুয়ারি জন্মদিন হলেও কেক কাটা হয়েছে ৩০ তারিখ। তার কারন হলো আমি কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে একটি ব্লগ শেয়ার করে বলেছিলাম যে, নুসাইবার পক্স হয়েছে। ছোট বাচ্চাদের পক্স হলে তারা কি জালাতন করে সেটা তো আপনারা সবাই জানেন। নুসাইবার জন্মদিনেও সে অসুস্থ ছিল। পক্স গুলো ভালো ভাবে শুকাইনি। যার ফলে চিন্তা করলাম অসুস্থ শরীরে জন্মদিন পালন করার দরকার নেই। যার ফলে ২৫ তারিখের পরবর্তে ৫ দিন পিছিয়ে ৩০ তারিখ কেক অর্ডার দিলাম। আমি ইচ্ছে করেই কেকের মধ্যে নাম বা কোন কিছু লিখি নাই। এগুলো না লেখাটাই ভালো। ইসলাম ধর্মে এগুলো লেখা ঠিক না।
বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করে একটু তারাতারি বাসায় চলে গেলাম। অফিস থেকে যাওয়ার পথে কিছু গিফট নিয়ে গেলাম। বাসায় কোন অনুষ্ঠান করি নাই। আমরা নিজেরাই কেক কেটে খেয়ে ফেললাম। দিনটিকে স্মৃতিররপাতায় লিপিবদ্ধ করার জন্য কিছু ফটোগ্রাফি করে রেখে দিলাম।
দেখতে দেখতে ছোট নুসাইবা দ্বিতীয় বর্ষে পা দিয়েছে। ধরে ধরে হাটানোর চেষ্টা করছি। দুই একটি কথাও শিখেছে। দুষ্টুমিও বাড়ছে। চোখে চোখে রাখতে হচ্ছে, চোখের সামনে নুসাইবার দিন গুলো অতিক্রম হচ্ছে। আমাদের দাদা নানারা আমাদের বাবা মাকে এভাবে আদর সোহাগ দিয়ে ভালোবেসে বড় করেছে, আমাদের বাব মা আবার আমাদেরকে আদর সোহাগ দিয়ে ভালোবেসে বড় করেছেন। আমরা আমাদের সন্তানদের ভালোবেসে বড় করে তুলতেছি, তারা আবার তাদের ছেলে মেয়েদেরকে এভাবে পালন পালন করবে। তারা আবার তাদের ছেলে মেয়েদেরকে এভাবে পালন করবে, এভাবেই চলতে থাকবে,এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ৩০-১২-২০২৪ |
সময় | রাত-৮.০০ |
স্থান | নিজ বাসা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা। |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
প্রথমে বাবুর জন্য অনেক দোয়া করি। বাবুর সুস্থ অবস্থায় যেন হাসিখুশি রাখতে পারে সবাইকে। অসুস্থতার মধ্যে আনন্দ আসে না ভাইয়া। তাই আনন্দটা একটু দেরিতে হলেও সেখানে ভালোলাগার পূর্ণতা মেলে। অনেক সুন্দর ভাবে বাবুর জন্মদিনটা উদযাপন করার চেষ্টা করেছেন। ভালো লাগলো সুন্দর কে কেটে আয়োজন করতে দেখে। অনেক অনেক দোয়া রইল আমার পক্ষ থেকে।
জী অসুস্থতার জন্য তেমন কোন অনুষ্ঠান করি নাই,জাষ্ট কেক কাটা আর খাওয়া। ধন্যবাদ।
আপনার এই অনুভূতিটা সবচেয়ে বেস্ট। এই দিনে আপনার সেই অনুভূতি পুনরাবৃত্তি হলো নুসাইভাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই শুভ জন্মদিন। আগামী দিনগুলো ভালো কাটুক সেটাই প্রত্যাশা করি।
জী ভাই নুসাইবার জন্য দোয়া চাই। ধন্যবাদ।
PUSS Task এর স্ক্রিনশটগুলো শেয়ার করা হয় নাই এখনো।
প্রথমেই নুসাইবার জন্য জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। দেখতে দেখতে কি করে বছর কেটে যায়। এই বয়সটাই দুষ্টমি করার সময়।কতো কি ই যে ফেলে দিবে তার শেষ নেই।দোয়া করি ভালো মানুষ হয়ে বড় হয়ে উঠুক।ধন্যবাদ সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জী সে জন্যই প্রচুর দুষ্টুমি করে। ধন্যবাদ।
Task Done
দেরি করে হলেও আপনার ছোট্ট বাবুটাকে জানাই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। তবে নুসাইবার অসুস্থতার কথা শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। ছোট বাচ্চারা গুটিগুটি পায়ে আমাদের চোখের সামনেই বড় হয়। আর এই মুহূর্তগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। এত সুন্দর করে পোস্টটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জী ছোট ছোট পায়ে দুষ্টুমি গুলো ভালো লাগে, তবে জিনিসপত্রও নষ্ট হয়,হা হা হা।ধন্যবাদ।
প্রথমেই নুসাইবার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। নুসাইবা অসুস্থ থাকার কারণে একটু দেরিতে জন্মদিন সেলিব্রেট করেছেন। আশা করছি সে এখন সুস্থ রয়েছে। পক্স যারই হোক এটা খুব কষ্টকর আর ছোটদের জন্য এটা আরো বেশি কষ্টকর। খুব সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনাদের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
জী যতদিন পক্স ছিল খুবই কষ্ট হয়েছে। ধন্যবাদ।
আপনার মেয়ের জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। দেখতে দেখতে একটা বছর চলে গেলো। এভাবেই আস্তে আস্তে অনেক বড় হয়ে যাবে। বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো ভাই। দোয়া করি যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। বাচ্চারা এখন অনেক বেশি দুষ্টামি করে। তবে তাদের দুষ্টামি দেখতে অনেক ভালো লাগে।
জী ভাই দোয়া করবেন। যেন সুস্থ থাকে। ধন্যবাদ।
বাবুকে জানাই তার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। জন্মদিন দিনটি অনেক স্পেশাল হয়। সময় ও স্রোত কারোর জন্য অপেক্ষা করে না। দেখতে দেখতে বাবু এক বছরের হয়ে গিয়েছে। নুসাইবার সুস্থতা কামনা করি। অনেক অনেক ভালো থাকুক জীবনের প্রতিটি দিন আনন্দে ভরে উঠুক।
জী আপু দেখতে দেখতে একটি বছর কেটে গেছে। ধন্যবাদ।
নুসাইবা মামনির জন্য অনেক দোয়া ও ভালোবাসা ও অনেক শুভকামনা রইল। আশা করি সেই বড় হয়ে বাবার মত একজন ভালো মানুষ হবে। এই বয়সে বাচ্চারা দুষ্টামি করে সে তো দেখছি পেঁয়াজ রসুন নিয়ে খেলা করে। খুবই মজার একটি বিষয় ভাইয়া। মেয়ের জন্মদিনের কেকটি খুবই সুন্দর হয়েছে। পরিবারের সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জী আপু কত কিছু দিয়ে খেলা করে বুঝতেই পারি না,হা হা হা। ধন্যবাদ।