আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস।।

হ্যালো প্রিয় স্টিমিটবাসি বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আবারও আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি নতুন বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করবো। ব্লগটি পড়ে হয়তো অনেকই মনে মনে হাসঁবেন। চলুন তাহলে দেখা যাক কি সেই বিষয়।

আজ ১১ই নভেম্বর বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস বা বিশ্ব সিঙ্গেল দিবস। মূলত দিবসটি সিঙ্গেল দিবস হিসাবেই যাত্রা শুরু হয়েছিল। তবে সেটা পরিবর্তিত হয়ে ব্যাচেলর দিবসে রুপান্তরিত হয়েছে। ১৯৯০ সালে চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চার জন শিক্ষার্থীর উদ্যোগে দিবসটি চালু হয়। নভেম্বর মাস হলো ইংরেজি বর্ষের ১১তম মাস। আর এই মাসের মধ্যেই রয়েছে সব থেকে বেশি সিঙ্গেল শব্দ। সব মিলিয়ে এতে রয়েছে চারটি এক, ১১-১১। আর চারটি একই সিঙ্গেল যা একেকজন সিঙ্গেল মানুষের প্রতিনিধিস্বরূপ। ব্যাচেলর শব্দটা আমাদের জীবনে খুবই পরিচিত। যারা পড়াশোনা করে বা যারা করে না সবাই এক সময় ব্যাচেলর জীবন অতিবাহিত করে। এখন ব্যাচেলর বলতে মূলত কাদেরকে বুঝায়। ব্যাচেলর শব্দটা শুনলে সর্বপ্রথম আমাদের মাথায় কোন বিষয়টা আসে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাবে ব্যাচেলরের সংঙ্গা দেন। কেউ কেউ বলে থাকে সাধারনত ব্যাচেলর বলতে অবিবাহিত পুরুষদের বোঝানো হয়।

পৃথিবীতে বিয়ে পাগল মানুষ যেমন আছে তেমনি বিয়ে বিমুখ মানুষও রয়েছে। সবার মন-মানুষিকাত এক নয়। যারা প্রেম ভালবাসা করে,রিলেশনে জড়ায় তারা তো চকলেট ডে,রোজ ডে,প্রপোজ ডে,হাগ ডে সহ অনেক ডে পালন করে থাকে। কিন্তুু যারা রিলেশন করে না,সব সময় সিঙ্গেল থাকতে চাই তাদের জন্য কোন না কোন ডে দরকার। আর সেই চিন্তা থেকে চীনের চারজন শিক্ষার্থী এই “সিঙ্গেল ডে বা ব্যাচেলর ডে” শুরু করেন। ধীরে ধীরে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও দিবসটি ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সারা বিশ্বের সিঙ্গেল মানুষেরা নানা আয়োজনে এই দিবসটি পালন করে থাকেন।

এখন কারো কারো মনে প্রশ্ন আসতে পারে সিঙ্গেলরা আবার একা একা কিভাবে দিসব পালন করবে। সেটা বিভিন্ন ভাবে করা যায়। শুধু একটু চিন্তা করতে হবে। অনেকেই বলে থাকেন অন্যকে ভালোবাসতে হলে আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে। আগে নিজের যত্ন নিতে হবে,নিজের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কাপলরা কিভাবে তাদের বিভিন্ন দিবস গুলো পালন করে। সেই ভাবেই এই সিঙ্গেল ডে ও পালন করা যাবে। বিশ্বের সব থেকে বড় অনলাইন মার্কেট আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাকমা একবার এই দিনটিকে সারাদিন শপিং করে কাটিয়ে দিয়েছেন। আপনি বাসায় ভালো কিছু রান্না করে খেতে পারেন। রেস্টুরেন্টে যেতে পারেন,কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। কাপলরা অনেক সময় যেটা না করে আপনি সেটা করেও দিবসটি উপভোগ করতে পারেন।

মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়তে পারেন। কারন আপনার কোন টেনশন নাই,কোথায় গেছেন,কি করছেন,কি খাচ্ছেন এসব বিষয়ে কাউকে কৈয়ফিয়ত দেওয়ার চিন্তা নেই। রাত বিরাতে নদীর পাড়ে বা সমুদ্র পাড়ে পার্টি করতে পারেন,মজা করতে পারেন। আপনার কোন বন্ধুকে কোন কিছু গিফট করতে পারেন। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এতিম অসহায় শিশুদের পাশে দাড়াতে পারেন। চিন্তা করলে আরো অনেক কিছু করা যায়। কাপলরা যা করে সিঙ্গেল হয়ে তা করা যাবে না এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আপনার যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন।

কেউ মনে করে যারা মেসে থাকে শুধু তারাই ব্যাচেলর। আবার কেউ মনে করে বিবাহিত বা অবিবাহিত যারা একা একা থাকে তারাও ব্যাচেলর। যেমন ধরেন অনেক প্রবাসি ভাইয়া আছে যাদের বউ বাচ্ছা ছেলে মেয়ে সবই আছে। কিন্তুু তাদেরকে ফেলে বছরের পর বছর প্রবাসে ব্যাচেলর অবস্থায় জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। তারাও কিন্তুু ব্যাচেলর। আমাদের শহরেও অনেক মানুষ আছে যারা বউ বাচ্ছা গ্রামে রেখে শহরে একা একা থাকেন। তারাও ব্যাচেলর।

সব থেকে বড় কথা হলো নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। আগে নিজেকে ভালোবাসতে হবে। কারন কার কখন কি হয় কেউ বলতে পারে না। মানুষ পরিবর্তন হতে বেশি সময় লাগে না। কাপল হোক আর ব্যাচেলর দিন শেষে আপনার পাশে কেউ না থাকলেও আপনার শরীর আপনার সাথে থাকবে। আপনার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনাকে আমাকে সঙ্গ দিয়ে যাবে। সুতরাং সবার আগে নিজেকে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে হবে। যদি ব্যাচেলর হয়ে থাকেন,তাহলে দিনটি উপভোগ করুন। সবাইকে ধন্যবাদ।।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।