টক ঝাল মিষ্টি আমের রেসিপি
আপনারা কেমন আছেন? আশা করি, মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ' কে ভালোবেসে এবং সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপস্থিত হলাম মজাদার এক রেসিপি নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে সুস্বাদু আমের রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হলাম। এই রেসিপি আমের সময় তৈরি করেছিলাম। তবে আজকে সুযোগ হল আপনাদের মাঝে নিয়ে আসার। কিভাবে কাজ সম্পন্ন করেছিলাম তা ধাপে ধাপে উপস্থাপন করে দেখাবো। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কার্যপ্রণালী শুরু করি। |
---|
১. | আম | ২ টা |
২. | চিনি | ১০০ গ্রাম |
৩. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৪. | পাকা মরিচ | ৮টি |
৫. | পানি | হালকা একটু |
কড়াইটা চুলার উপর বসিয়ে চুলা অন করে দিলাম। এরপর কড়াইতে একটু তেল দিলাম। এবার তেলের মধ্যে পাকা ঝাল গুলো দিয়ে ভাজতে দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে পাকা ঝাল গুলো তেলে ভাজা হতে থাকলো আর রং পরিবর্তন হতে থাক। আমিও চামচ দিয়ে নেড়ে দিতে থাকলাম। আর এভাবে কিছুটা সময় পর পাকা ঝাল ভেজে একটি পাত্রের মধ্যে রাখলাম।
এরপর পাত্রের মধ্যে পাকা ঝাল আবারো তেল লবণের সাথে নিয়ে ভেঙে গুঁড়া গুঁড়া করতে হবে। তাই একটি নির্দিষ্ট পাত্রের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ লবণ ও তেল নিয়ে নিলাম।
এরপর হাতের আঙ্গুল দিয়ে ভালোভাবে ঝাল গুলো ভেঙে নিতে থাকলাম। একদম যেন ঝাল গুলো ভেঙে কুচি কুচি হয়ে যায়। ভাজা ঝাল ভেঙে গোড়া গুরা হতে সময় লাগলো না। এক কথায় বলতে গেলে মসলা আঁকার হয়ে যায়। আর তেল লবণ ঝালের পরিমাণটা যেন সমান হয়, সেটা মাথায় রাখলাম।
এখন আলাদা একটি পাত্রের মধ্যে আম দুইটা ভালোভাবে খোসা ছাড়িয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিলাম। আমের আটি বাদ দিয়ে আমের অংশগুলো প্লেটের মধ্যে রাখলাম।
এবার ঝাল লবণের মসলার মধ্যে আমের ফালি গুলো দিতে থাকলাম। এরপর তার উপরে চিনি ছিটিয়ে নিলাম।
হাতের মাধ্যমে চিনি ও ঝালের মসলা আমের সাথে খুব সুন্দর ভাবে মাখাতে থাকলাম। প্রত্যেকটা আমের ফালি যেন ভালোভাবে চিনি ও ঝালের মসলার সাথে ভালোভাবে মিক্সড হতে থাকে। আর এভাবেই আমের ফালি গুলো টক-ঝাল মিষ্টিতে রুপান্তরে করলাম।
পরিবেশন
ভালোলাগার এই টক ঝাল মিষ্টি আমের রেসিপি আমি আর আমার বাবু ও ছোট ভাই বোন একসাথে খেয়েছিলাম। এভাবেই আমের রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার মধ্য দিয়ে সুন্দর একটি মুহূর্ত পার করেছিলাম।
Photo device | Itel vision 1 |
---|---|
বিষয় | সুস্বাদু রেসিপি |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
এই ও সময় এতো লোভনীয় আমের রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো। জিভে তো পানি চলে আসলো আপু।এইরকম ভাবে আম মাখা খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে পুরো পোস্ট টি শেয়ার করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন
X--promotion
আজকের কাজ সম্পন্ন
আপু এই অসময় এ আম মাখা জিভে পানি চলে আসলো।এটি অনেক সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
একদম ভালোলাগার একটি রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। যদিও এখন আমের সময় নয় তবে আপনি উল্লেখ করেছেন আগের রেসিপি এখন শেয়ার করছেন। যদি এখন আম সত্যি পাওয়া যেত তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো। আমের সময় একটু মিষ্টি জাতীয় আমগুলো এভাবে খেতে আমারও ভালো লাগে।
হ্যাঁ ভাইয়া শেয়ার করার সুযোগ হয়নি তাই এতদিন পর।
আপনার রেসিপি দেখে তো প্রথমে চিনতাই পড়ে গেছি আসলে এই রেসিপিটি আপনি কোথায় পেলেন। এই অসময়ে আম কোথায় পেলেন সেটা ভাবছিলাম। কিন্তু পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম যে এই রেসিপিটি আপনি আগে তৈরি করেছিলেন। এ ধরনের আম মাখা খেতে খুবই মজার হয়। যদি আন সিজনে শেয়ার করলেন কিন্তু ইচ্ছে করছে আপনার রেসিপিটি দেখে আম মাখা খেতে।
হ্যাঁ আপু আগে তৈরি করেছিলাম কিন্তু দেওয়া হয়নি।
আসলে টক জাতীয় জিনিস গুলো ঝাল দিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে। আপনি দেখছি টক ঝাল মিষ্টি আমের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে আমার জিহ্বায় জল চলে এসেছে আপু। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
হ্যাঁ এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন আপনি
এই আনসিজনে আম পেলেন কিভাবে? যাই হোক আপনার রেসিপিটা একদম জিভে পানি আসার রেসিপি। আমি তো কমেন্টই করতে পারছি না এত খেতে ইচ্ছে করছে। কি আর করব আমরা পোস্ট দেখে চোখের ক্ষুধা মিটিয়ে নেই। এরকম আমাকে খেতে আসলেই মজা লাগে।
অপেক্ষা করা লাগবে
টক ঝাল মিষ্টি আমের রেসিপি দেখেই জিভে জল চলে আসলো। অসময়ে যদি এমন রেসিপি খাওয়া যায় তাহলে অনেক ভালো লাগে।
সময়কালে খেয়েছি
টক ঝাল মিষ্টি আমের রেসিপি শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে আপনার আমের রেসিপিটি অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনি সব উপাদান পরিমাণ মতো দিয়ে মিশ্রণ করেছেন এবং সেটা ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।সব মিলিয়ে দারুন হয়েছে আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া।