১ম ম্যাচে বরিশালের দারুণ জয়
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকতে পারাটাই হচ্ছে মূল বিষয়। আপনারা যারা ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ আছেন। তারা নিশ্চয় জানেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বিপিএল জমে উঠেছে। আজকে আমি চলে এলাম আপনাদের সাথে বিপিএল এর প্রথম ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। এবারের বিপিএল টা টোটালি অন্যবারের চেয়ে ভিন্ন! কারণ উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সব জায়গায় নজর ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। এবার আয়োজনটাও বেশ জমকালো ছিল।
উদ্ধোধনী ম্যাচ শুরু হয়েছিল ফারচুন বরিশাল ও দূর্বার রাজশাহীর মধ্যে দিয়ে। ফারচুন বরিশাল অলটাইম সেরা। তাদের টিমে দেশীয় তারকা প্লেয়ার এবং বিদেশী তারকা প্লেয়ারে ভরপুর। সে হিসেবে দর্শকদের নজর থাকবে সেদিকে। সেদিন টসে জিতে শুরুতেই বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ফারচুন বরিশাল। ব্যাটিং এ নামে দূর্বার রাজশাহীর দুই ব্যাটার হারিস ও আলম। শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। দলীয় ৫ রানেই আলমকে হারায় রাজশাহী। তারপর মাঠে নামে ক্যাপ্টেন বিজয়। বিজয়ের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স বেশ ভালো। এনসিএলে সে ভালো পারফর্ম করেছে। সে হিসেবে তার দিকে সবার নজর থাকবে। বিজয় নামার পর হারিসকে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ বিল্ড আপ করার ট্রাই করে।
দলীয় সংগ্রহ যখন ২৫ রান তখন কাইল মায়ার্সের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় হারিসকে। তারপরে ব্যাটিং করতে আসে ইয়াসির আলী। তার পারফর্মেন্স ও বেশ ভালো যাচ্ছে। এনসিএলে সে ভালো পারফর্ম করেছে। তারপর বিজয় ও ইয়াসির আলী দুজন মিলে ১৪০ রানের অসাধারণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে দলীয় সংগ্রহ যখন ১৬৫ রান। আউট হওয়ার আগে বিজয় ব্যক্তিগত ৬৫ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে আউট হয়। তারপর মাঠে আসে রায়ান বার্ল নামে। নামার পর ইয়াসির আলীর আগুন ঝড়া ব্যাটিং এ ইয়াসির আলী শেষ অবধি ৯৭ রান সংগ্রহ করে। শেষ অবধি রাজশাহী সংগ্রহ করে ১৯৭ রান।
টি-টোয়েন্টিতে ১৯৭ রান একটা ভালো স্কোর! এটা চেইস করা কঠিন। তবে দেখার বিষয় ছিল রাজশাহী বোলিং কেমন করে। ১৯৭ রানের লক্ষ্য করে ব্যাটিং করতে নামে নাজমুল শান্ত ও তামিম ইকবাল। বরিশালের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ওভারের শুরুতেই শান্ত আউট হয়ে ব্যক্তিগত শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরে। তারপর ব্যাটিং করতে আসে তৌহিদ হৃদয়। হৃদয়ের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স বেশ ভালো। হৃদয় নামার পর তামিম ইকবাল দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে কাইল মায়ার্স। হৃদয় চেষ্টা করেছিল মায়ার্সকে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ বিল্ড আপ করার। কিন্তু দলীয় সংগ্রহ যখন ৩০ রান তখন মায়ার্স তাসকিনের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপরে মাঠে আসে মুশফিকুর রহিম।
মুশফিক নামার পর হৃদয় কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকে। কিন্তু মুশফিক তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি। তারপর মাঠে আসে মাহমুদুল্লাহ! মাহমুদুুল্লাহ নামার পরে তৌহিদ হৃদয় আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। ভেবেছিলাম হয়তো বরিশাল আর জিততে পারবে না। কারণ হৃদয়ের মতো ব্যাটার আউট হয়ে গিয়েছিল। তবে দেখার বিষয় ছিল মাহমুদুুল্লাহ কি করে। হৃদয় আউট হওয়ার পর শাহীন শাহ আফ্রিদি মাঠে নামে। আফ্রিদি আর মাহমুদুুল্লাহ মিলে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকে। চার ছক্কার ফুল ঝুরিতে দারুণ একটা পার্টনারশিপ বিল্ড আপ করে। তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে দলীয় সংগ্রহ যখন ১১২ রান। ওভার তখন ১৩ ওভার। তারপর পাকিস্তানেরই ব্যাটার ফাহিম আশরাফ! ফাহিম আশরাফ নামার পর চার ছক্কার হিড়িক পরে যায়। শেষে দুজনই ফাহিম আশরাফ ও মাহমুদুুল্লাহ হাফ সেঞ্চুরির সুবাধে জয় ছিনিয়ে আনে। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছিল মাহমুদুুল্লাহ।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
Puss tweet
বরিশাল প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয় লাভ করেছে এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। এবার যে বিপিএল খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে সেটা তো আমার জানাই ছিল না। তাহলে তো দেখছি এখন থেকে খেলা দেখা শুরু করে দিতে হবে।
হাহা! বলেন কি। বিপিএল তো জমে গেছে পুরো।
খেলাধুলাতে জয় বিজয় থাকবে এটা স্বাভাবিক। যেখানে দুইটা দল হারাজিতার লক্ষ্যে মাঠে নামে। সেখানে সুন্দর সুন্দর শর্টগুলো মানুষকে আনন্দ প্রদান করে। আমি মনে করি এখানে হারাজিতা টা বড় বিষয় নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় মানুষকে আনন্দ প্রদান করা। হারাজিতার মধ্য দিয়ে আনন্দের বিষয়গুলো বেশি প্রতিফলিত হয়।
প্রথম ম্যাচ হয়েছে তো সেই ৩০ ডিসেম্বর। আপনি এতো দেরিতে রিভিউ দিচ্ছেন। যাইহোক রাজশাহীর পাহাড় সমান রানের জবাব বেশ দারুণ ভাবে দিয়েছিল বরিশাল। ব্যাটারদের অসাধারণ নৈপুণ্যে তারা ম্যাচটা জিতে যায়।।
হুমম বরিশাল ভালো খেলেছিল, খেলাটা দেখার সময় স্ক্রিনশট রেখে দিয়ে রেখে দিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।