প্রকৃতির ফটোগ্রাফি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি তবে গরমের অত্যাচারে বেশ কষ্ট করছি। বিগত দুই দিনের অপ্রত্যাশিত গরমে হৃদয় বেশ নির্জীব হয়ে গেছে, আকাশ মেঘলা থাকছে কিন্তু গরমের মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে না, এ এক অন্য রকম পরিস্থিতি। টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতের পরও পরিস্থিতি পুনরায় এমন হয়ে যাবে এটা সত্যি অপ্রত্যাশিত। বৃষ্টিপাতের পর অন্তত কয়েক দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে এমনটা আশা করেছিলাম আমরা কিন্তু সেই আশাতে এখন গুড়ে বালি।
যাইহোক, পরিবেশ কিংবা পরিস্থিতিও তার নিজস্ব রীতি অনুসরণ করবে, হয়তো সেখানে আমাদের কোন হাত থাকবে না। তবে হ্যা, আমাদের কার্যকলাপের কিছু প্রভাব সেখানে অবশ্যই থাকবে। যেমন আমরা প্রকৃতি নষ্ট করছি, সবুজ বনায়ন উজাড় করছি, এগুলোর একটা বিরূপ প্রভাব প্রকৃতির ভারসাম্যের উপর পড়ছে এবং যার কারনে প্রকৃতির স্বাভাবিক অবস্থা নষ্ট হচ্ছে, এটা আমরা সবাই জানি এবং বেশ ভালোভাবেই বুঝি কিন্তু তবুও কি আমরা এসব হতে বেরিয়ে আসছি, একদমই না। সুতরাং এই বিষয়গুলোর একটা প্রভাব অবশ্যই পুনরায় আমাদের উপর নির্মম কিছু হয়ে ফিরে আসবে, সেটা হয়তো আমরা মনে রাখার চেষ্টা করছি না।
বাস্তবতা হলো আমরা সুবিধা চাই, নিজেদের স্বার্থে এবং নিজেদের প্রয়োজনে আমরা সব কিছু চাই কিন্তু তারপর? তারপরের বিষয়টি নিয়ে আমরা আর চিন্তা করতে চাই না। দেখুন একটু ভিন্নভাবে বিষয়টি বলছি, দুই ভাইয়ের বিশাল বাড়ি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। এখন ছোট ভাই বাড়ি ভাগ করতে চাইছেন তবে একদম মাঝ বরাবর ভাগ যাকে বলে। বাড়ি দুই ভাগ হয়ে গেলো ছোট ভাই চালাকি করে বড় ভাইয়ের সীমানার পাশে পুকুর কাটলেন, উদ্দেশ্য তাকে জব্দ করা। কিন্তু বছর দুই-এক এর পর যখন পুকুরের কারনে নিজের বাড়ির অংশ ভাঙতে শুরু করবে তখন কি করবে? এই বিষয়টি কিন্তু ছোট ভাই চিন্তা করেন নাই। পরের জন্য কুয়া খুঁড়লে সেই কুয়ায় নিজেকে পড়তে হয় একটা সময়, এটা আমরা বার বার ভুলে যাই।
যেহেতু পুকুরের প্রসঙ্গ চলে আসছে সেহেতু চলেন আজকে প্রকৃতির কিছু সুন্দর ও সবুজ দৃশ্য এবং তার সাথে সাথে গ্রাম বাংলার পুকুর দেখে আছি। যদিও আমি বরাবরের মতো ফটোগ্রাফি করি, খুব একটা উন্নত নই এই ক্ষেত্রে। তবুও গ্রামীন পরিবেশে গেলেই চেষ্টা করি প্রকৃতির সুন্দর রূপ ফুটিয়ে তোলার জন্য। একটা সময় গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পুকুর থাকতো, সেই পুকুরে আমার মাছও থাকতো। পরিবারের সদস্যরা ফিরে সেই মাছ বেশ আনন্দের সাথে ধরার চেষ্টা করতো। দারুণ একটা আনন্দময় পরিবেশ তৈরী হতো। আমি নিজেও গ্রামের বাড়িতে গিয়ে নিজেদের পুকুর হতে মাছ ধরেছি।
কিন্তু সেগুলো এখন শুধুমাত্র ইতিহাস আর অতীত। এখন আর আগের মতো পুকুর নেই গ্রামে, অধিকাংশই ভরাট হয়ে গেছে। মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হয়েছে, পুকুরের পানি এখন আর কেউ ব্যবহার করতে চায় না। আমাদের এই মানসিকতার পরিবর্তন পুরো প্রাকৃতিক পরিবেশই পরিবর্তন করে দিয়েছে। যদিও দুই একটা বড় বাড়িতে এখনো পুকুর আছে কিন্তু সেখানেও তেমন পানি নেই। প্রকৃতির এই জলাধার হ্রাস পাওয়ার একটা বিরূপ প্রভাবও কিন্তু প্রকৃতির উপর পড়ছে সেই বিষয়টি ভুলে গেলেও চলবে না আমাদের। সুস্থ্য কিংবা নিরাপদ থাকতে চাইলে প্রকৃতির সুন্দর পরিবেশের প্রতিও আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তবেই প্রকৃতির ভারসাম্য যেমন স্বাভাবিক থাকবে ঠিক তেমনি নিরাপদ ও সুন্দর থাকবে আমাদের চারপাশ।
তারিখঃ এপ্রিল ০৪, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি করেছেন। আর এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপনার গল্পটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো, এরকম ঘটনা যেন আমাদের প্রতিনিয়ত হচ্,ছে দুভাইয়ের উত্তরাধিকার সূত্রের বাড়ি পেয়েছে, সেই বাড়ি বড় ভাইয়ের জন্য বিপদ তৈরি করতে গিয়ে নিজের অংশই ভেঙ্গে যাচ্ছিল। আসলে আমরা এরকম ঘটনা সমাজে অনেক দেখতে পায়।অন্য কে বিপদে ফেলতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনি,তাই আমাদের উচিত সহজ এবং সরল মন নিয়ে চলাফেরা করা।
বাস্তবতা হলো আমাদের সম্পর্কগুলো আজ প্রকৃতির মতোই নষ্ট হয়ে গেছে, হৃদয়ের সজীবতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে, যার প্রভাবে সম্পর্কগুলো আর সম্পর্ক থাকছে না বরং শত্রুতে পরিণত হচ্ছে। ধন্যবাদ
আস্তে আস্তে যত বর্ষার মৌসুম এগিয়ে আসছে ততই তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। গ্রামীণ প্রাকৃতিক সবুজে ভরা দৃশ্য দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। এরকম সুন্দর দৃশ্য চোখের সামনে আসলে মুহূর্তেই মনে হয় গ্রামে ফিরে যাই। আপনি সত্যি বলেছেন ভাই একটা সময় ছিল যখন গ্রামের প্রতিটি বাড়ির সামনে একটি করে পুকুর থাকতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষের বসবাসসহ অন্যান্য চাহিদার জন্য এসব পুকুরগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এখন নিজের সুস্থ থাকতে হলে প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হতে হবে আমাদের। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সময়ের সাথে সাথে আমাদের চাহিদা এবং বসবাসের পরিবেশ পরিবর্তন জনিত কারনে পুকুর হারিয়ে যেতে বসেছে। ধন্যবাদ
হুম ভাই সেই আগের দিন আর এখন নেই।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কিছু প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে বেশ চমৎকার লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলোর বেশ দারুন বর্ণনা দিয়েছেন আপনি। আসলে গ্রাম বাংলার পুকুরের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ঠিক বলেছেন ভাই আপনি আসলে এখন গ্রাম অঞ্চলের অধিকাংশ পুকুর ভরাট করে ফেলছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং প্রাণ ধরে রাখতো এই পুকুর গুলো এবং সর্বোপরি বৃষ্টির পানির আসল ঠিকানা হতো এগুলো। কিন্তু এখন আর পুকুর নেই তাই অল্প বৃষ্টিপাত হলেই সড়কগুলো ডুবে যায়।
তা অবশ্য ঠিক বলছেন প্রকৃতি প্রকৃতির নিয়মই থাকবে। সেখানে আমাদের কোন হাত থাকে না। তবে কিছু জিনিস আমাদের কার্যকলাপের ভিত্তিতেই প্রভাব পড়ে যায়। যেমন আমরা পরিবেশ ধ্বংস করি গাছ পালা কেটে ফেলি। এছাড়াও কোন সুন্দর একটি পুকুরে যখন ময়লা ফেলি কিংবা নদীর ধারে ময়লা ফেলি তাহলে দেখতে কেমন লাগে বলেন? পানি গুলো নষ্ট হয়ে যাবে গন্ধ হয়ে যাবে এবং দেখতেও বাজে লাগবে। তাছাড়া পানি গুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে। মানুষের এমন কর্মকাণ্ড পরিবেশকে দিন দিন ধ্বংস করে দিচ্ছে। আপনার শেয়ার করা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো লেগেছে দেখে।
আশ্চার্যজনকভাবে সত্য যে আমাদের নদীগুলোতে এখন ব্যাপকবাবে ক্যান্সারের জীবানু যাচ্ছে, বুঝতেই পারছেন কতটা দুষণমুখর জাতি হয়ে উঠেছি আমরা।
আমিও এই জিনিসটা বুঝিনা ভাইয়া পুকুরের পানি ব্যবহার করতে চাইনা গ্রামের মানুষ।অথচ পুকুরের পানি ব্যবহার করলে সেটা ভালো আমাদের জন্যই।বিশেষ করে মেয়েদের চুল পড়েনা😁।প্রকৃতি তো আমরাই নষ্ট করছি এজন্যই আমাদের নিজেদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এবং বাস্তবিক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ঐ যে বললাম না, মানসিকতার পরিবর্তন, সময়ের সাথে সাথে আমরাও পাল্টে গেছি।
গরমের তীব্রতা যাতে কমে, সেজন্য সবাই মনেপ্রাণে চায় যে খুব ভালোভাবে বৃষ্টি হোক। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পরেও আবহাওয়া তেমন শীতল থাকছে না। মানে গরমকে কোনোভাবেই হার মানানো যাচ্ছে না। যাইহোক প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি ভাই। কতো সুন্দর পুকুর, দেখেই মনটা ভরে গিয়েছে। এমন পুকুর এখন দেখাই যায় না। সব পুকুর, জলাশয় ভরাট করে এখন ঘরবাড়ি এবং কলকারখানা নির্মাণ করা হয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের হৃদয়ের খোরাক যোগায়। তাইতো একটু সময় পেলেই এই ব্যস্ত জীবন থেকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে আমরা সময় দিয়ে থাকি।অন্যের ক্ষতি চিন্তা করলে সেই ক্ষতির স্বীকার একদিন নিজেকেই হতে হয়।পাপ কখনো বাপকেও ছাড়ে না।প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে চোখ জুড়িয়ে গেলো এরকম পরিবেশে কিছু সময় কাটাতে পারলেও বেশ ভালো লাগে।সুন্দর কিছু কথা আর সুন্দর কিছু প্রকৃতির দৃশ্য তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।