"মজাদার এগরোল রেসিপি"
নমস্কার
মজাদার এগরোল রেসিপি:
বেশ অনেকদিন ধরেই জমিয়ে শীত পড়ছে।তার উপরে সকাল হতেই ঘন কুয়াশার দেখা পাওয়া যায়, যতই বেলা বাড়ে ততই যেন কুয়াশা সাদা গাড় রঙের আকার ধারণ করে।আর এই শীতে শুধু ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেতে শুধু মন চায়।শীতে চায়ের সঙ্গে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেয়ে যেন আলাদা একটা তৃপ্তি অনুভূত হয়।আসলে এই এগরোল রেসিপি সবসময় দোকান থেকে কিনে খাওয়া হয়।কিন্তু অনেক সময় সেটা স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে।কারন বাসী তেল দিয়ে তৈরি করা থাকে কিন্তু এটি বাড়ি তৈরি করে খেলে কিন্তু অনেকটাই স্বাস্থ্যসম্মত হয়।যদিও এই এগরোল রেসিপিটি আগে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি।এই প্রথমবারের মতো তাই বাড়িতেই তৈরি করে ফেললাম দাদার আবদারে এগরোল রেসিপি।যাইহোক এটি তৈরির পর দেখতে যেমন অনেক সুন্দর ও লোভনীয় লাগছিলো তেমনি খেতেও দারুণ দারুণ মজার হয়েছিল।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
2.ডিম- 2 টি
3.পেঁয়াজ কুচি - 2 টি
4.লবণ- 1 টেবিল চামচ
5.শসা কুচি-1 টি
6.লেবু-1টি
7.কাঁচা মরিচ কুচি- 2 টি
8.টমেটো সস- 4 টেবিল চামচ
9.সাদা তেল- 5 টেবিল চামচ
10.জল
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি একটি বটির সাহায্যে লেবু,লঙ্কা, পেঁয়াজ ও শসা ছোট ছোট করে কুচি করে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর ময়দা নিয়ে নিলাম পরিমাণ মতো,তারপর ময়দার মধ্যে স্বাদ মতো লবণ ও সাদা তেল মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 3
এখন অল্প অল্প জল মিশিয়ে একটি নরম ডো তৈরি করে নিলাম।
ধাপঃ 4
এবার ডো টি 10 মিনিটের মতো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব।
ধাপঃ 5
এরপর ডোটিকে দুইভাগে ভাগ করে নিলাম ,তারপর একটি প্লাস্টিকের পাতলা পেপার নিলাম।
ধাপঃ 6
এখন ডো নিয়ে সুন্দর করে বেলে নেব গোল রুটির মতো করে।
ধাপঃ 7
এবারে রুটিটি গোল করে বেলে নিলাম ।
ধাপঃ 8
এরপর একটি পাত্রে দুটি ডিম নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 9
এখন ডিমের মধ্যে স্বাদ অনুযায়ী লবন দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 10
T
এরপর একটি কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হয়ে গেলে রুটিটি দিয়ে সেকে নিতে হবে।সেকে নেওয়া হয়ে গেলে কড়াইতে ডিম দিয়ে নেব।
ধাপঃ 11
এখন ডিমের পোজের উপর ওই রুটিটি দিয়ে ভালোভাবে সেকে নেব।
ধাপঃ 12
এবারে নামিয়ে নিলাম ডিম দেওয়া রুটিটি।
ধাপঃ 13
এরপর কুচিয়ে রাখা শসা ও পেঁয়াজের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 14
এবারে রুটির একপাশে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি।
ধাপঃ 15
এরপর পেঁয়াজের উপর শসা ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 16
এখন টমেটোর সস পরিমাণ মতো দিয়ে দিলাম শসা ও পেঁয়াজ কুচির উপর দিয়ে।
ধাপঃ 17
এবারে সব উপকরণ নেওয়া হয়ে গেলে রুটিটি আমি রোল করে নেব।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে রুটিটি রোল করে নিয়ে খেতে হবে।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার মজাদার এগরোল রেসিপি।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।এটি তৈরির পর দেখতে যেমন অনেক সুন্দর ও লোভনীয় লাগছিলো তেমনি খেতেও দারুণ দারুণ মজার হয়েছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
টাস্ক প্রুফ:
মজাদার এগরোল রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। সুস্বাদ এই রেসিপি তৈরি করেছেন আমার অনেক ভালো লেগেছে।
মজাদার এগরোল রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি রেসিপি পোষ্ট আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আমার। আপনি সব কিছু পরিমাণ মতো দিয়ে মিশ্রণ করেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন এবং পরিবেশন ও করেছেন অনেক সুন্দর করে।সব মিলিয়ে দারুন হয়েছে আপু।
ঠিক বলেছেন দিদি শীতে ফাস্টফুড জাতিয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে বেশি। দোকানে বাসি তেলে ভাজে এবং তা তেমনটা সাস্থ্যকর হয় না কিন্তুু বাড়িতে তৈরি করে খেলে খুব ভালো হয় স্বাস্থ্যের জন্য। আপনি চমৎকার সুন্দর লোভনীয় এগরোল বানিয়েছেন দেখেই তো লোভ লেগে গেলো।খেতে ভীষণ মজাদার এই এগরোল।ধাপে ধাপে এগ রোল তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
ঠিক বলেছেন শীতে চায়ের সঙ্গে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেয়ে আলাদা তৃপ্তি অনুভূত করে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছ থেকে আজকে অনেক মজাদার একটা রেসিপি শিখে নিলাম। আপনার তৈরি করা রেসিপি টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাই আমি ভাবছি এই রেসিপিটা একদিন তৈরি করবো। অনেক মজাদার ভাবে আপনি এটা তৈরি করেছেন। আমার তো দেখেই ইচ্ছে করছে এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলতে।
এগ রোল এভাবে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি খেতে খেতে মজা হয়েছে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন যে কেউ চাইলে এই রেসিপিটি সহজে তৈরি করে নিতে পারবে। ধন্যবাদ মজা এর রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য।
এগ রোল আমার ছেলের এত পছন্দের প্রতিদিন ওকে বানিয়ে দিতে হয় আপু। আমি অবশ্য বাসায় রুটি বানানো থাকে সেটা দিয়ে ওকে বানিয়ে দেই। এগ রোল গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এগ রোলের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন দিদি শীতের সময়ে ফাস্টফুড খাবার খেতে খুব ইচ্ছে করে। কিন্তু বাসায় খুব একটা তৈরি করা হয়না। আমার আবার বাহিরের খাবার খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে আপনি যেভাবে বাসায় তৈরি করেছেন তা খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। আমার তো দেখেই খুব খেতে ইচ্ছে করছে। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ দিদি মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।