"মজাদার চুষি পিঠার পায়েস রেসিপি"
নমস্কার
মজাদার চুষি পিঠার পায়েস রেসিপি:
পিঠা খেতে আমরা সকলেই পছন্দ করি।আর সেটা যদি হয় সম্পূর্ণ ইউনিক পদ্ধতিতে তাহলে তো আর কথায় নেই।তার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।তেমনি আমি আজ তৈরি করেছি ময়দা দিয়ে চুষি পিঠার পায়েস রেসিপি।যেটা তৈরি করা বেশ সময় সাপেক্ষ ও কষ্টকর।আমার প্রায় দুই ঘণ্টার মতো লেগে গিয়েছে এইটুকু চুষি পিঠার লেচিগুলি কেচি দিয়ে কাটতে এবং হাতও অনেকখানি ব্যথা হয়ে গিয়েছিলো।যদিও অনেকেই এটি চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি করে।তবে এটি তৈরির পর দেখতে যেমন দারুণ লাগছিলো,খেতেও তেমনি মজাদার হয়েছিলো।ফলে সকলেই বেশ খুশি হয়েছিলো, তখন কষ্টটা কোথায় যেন মিলিয়ে গিয়েছিলো। যাইহোক আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
1 | ময়দা | 1.5 কাপ |
2 | গুঁড়া আমূল দুধ | 1 প্যাকেট |
3 | আমূল কনডেন্সড মিল্ক | 2 টেবিল চামচ |
4 | চিনি | 1 কাপ |
5 | লবণ | 1/3 টেবিল চামচ |
6 | এলাচ,লবঙ্গ ও তেজপাতা | 1 টি করে |
7 | জল |
(এছাড়া লেচি কাটার জন্য একটি পরিষ্কার কেচি নিতে হবে)
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি ময়দা ও লবণ নিয়ে নেব।এরপর হাত দিয়ে উপকরণ দুটি ভালোভাবে মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 2
এরপর মেশানো ময়দার মধ্যে অল্প অল্প করে গরম কিংবা ঠান্ডা জল মিশিয়ে নিতে হবে।
ধাপঃ 3
এবারে একটি শক্ত ডো তৈরি করে নেব হাত দিয়ে।
ধাপঃ 4
এখন একটি কেঁচির সাহায্য নিয়ে ডো টি থেকে সরু সরু লেচি কেটে নেব।যেটা ভীষণই কষ্টকর ও সময়ের কাজ।
ধাপঃ 5
এইভাবে লেচিগুলি কেটে নিয়ে উপর থেকে অল্প অল্প শুকনো ময়দা ছড়িয়ে নেব।
ধাপঃ 6
তো এখানে আমার সবগুলো লেচি কেটে নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
ধাপঃ 7
এখন পরিমাণ মতো জল নিয়ে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে নেব ভালোভাবে।
ধাপঃ 8
এরপর একটি পরিষ্কার কড়াইতে দুধের মধ্যে এলাচ,তেজপাতা ও লবঙ্গ ফাটিয়ে দিয়ে দেব।
ধাপঃ 9
এবারে মিডিয়াম আঁচে দুধটি হালকা ফুটে উঠলে তার মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে মিশিয়ে নেব,তারপর দুধটি ভালোভাবে ফুটে উঠলে চুষি পিঠার লেচিগুলি দিয়ে দেব।
ধাপঃ 10
এখন পিঠাগুলি ভালোভাবে দুধের সঙ্গে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে সেদ্ধ করে নেব।তারপর দুধের ঘনত্ব আনার জন্য কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে দেব কয়েক চামচ।
ধাপঃ 11
এরপর চুষি পিঠার পায়েসটি ঘন হয়ে এলে ও হালকা লাল রঙের হয়ে এলে নামিয়ে নেব একটি পাত্রে।
শেষ ধাপঃ
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "মজাদার চুষি পিঠার পায়েস রেসিপি"।এখন এটি খাওয়ার জন্য একেবারেই রেডি।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম কিংবা ঠান্ডা যেকোনো অবস্থায় পরিবেশন করতে হবে।এটি দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছিলো, খেতেও অনেক মজাদার হয়েছিলো।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টাস্ক প্রুফ:
যখন ছোট ছিলাম তখন আমার মা আমাদের দিয়ে এই চুসি গুলো করাতেন। মানে আমরা তো পুলি পিঠে বানাতে পারতাম না কিন্তু পিঠে বানানোর বিরাট ইচ্ছে। সে বায়না ধরতাম। তখন মা কি করতেন এইভাবে চালের গুড়ি দিয়ে ডো বানিয়ে আমাদের ধরিয়ে দিতেন। সারাদিন বসে বসে চুসি বানাতাম। হে হে হে।
তবে তুমি এখানে ময়দার চুসি পিঠের পায়েস বানিয়েছ। ময়দার কাঁচা লুচির পায়েস আমার ঠাকুমা বানিয়ে দিতেন আমাদের জন্য। তাই মনে হচ্ছে এই চুসি পিঠেও খেতে বেশ ভালই হবে। এখন দেখে নিলাম খাব না। তিন চার মাস পরে বানিয়ে খাবো।
মজাদার চুষি পিঠার পায়েস দেখে আমার তো খুবই লোভ লাগলো। দেখে তো মনে হচ্ছে রেসিপিটা অনেক মজাদার ছিল। কেন যে এই রোজার সময় রেসিপি টা দেখলাম। আমার কিন্তু আপনার রেসিপিটা খুব পছন্দ হয়েছে। তাই জন্য ভাবছি রেসিপিটা একদিন ট্রাই করবো বাড়িতে।
মজার মজার খাবার গুলো খেতে আমি একটু বেশি ভালোবাসি। আর যদি এরকম খাবার হয় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। অনেক বেশি সুস্বাদু মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটা। এরকম লোভনীয় খাবারগুলো দেখলে আমার অনেক লোভ লাগে। মাঝেমধ্যে এই খাবারগুলো আমার খাওয়া হয়ে থাকে। এত মজাদার রেসিপি নিয়ে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চুষি পিঠার পায়েস দেখে তো বেশ লোভনীয় লাগছে। এগুলো হাত দিয়ে কেটে কেটে নাওয়া আসলেই কষ্টকর। তবে এই পায়েস টা খেতে দারুন হয়। আপনি খুব সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আমরা চুষি পিঠাগুলোকে চুটকি পিঠা বলি। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে চুষি পিঠার পায়েস রেসিপি করেছেন। তবে এই পিঠার রেসিপি খেতে বেশ মজাই লাগে। যদিও এই পিঠাগুলো বানাতে খুব কষ্ট হয়। তবে আমাদের এই দিকে চাউলের গুড়া দিয়ে এই পিঠাগুলো বানানো হয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে চুষি পিঠার পায়ের রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পিঠা খেতে সবাই ভালোবাসে, আর যদি তা হয় ইউনিক পদ্ধতিতে, তবে স্বাদ আরও বেড়ে যায়। আপনি চুষি পিঠার পায়েস তৈরি করেছেন অনেক কষ্ট করে । দুই ঘণ্টা ধরে ছোট লেচিগুলো কেটে হাত ব্যথা হয়ে গেলেও, দারুণ স্বাদ ও পরিবারের আনন্দ দেখে আশা করি সব কষ্ট দূর হয়ে গেছে আপু। যাইহোক পরিশ্রমের পর প্রশংসা পেলে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চুষি পিঠা অনেক আগে খেয়েছি ছোট বেলায় হাতের তৈরি টি তবে এখন কিনতে পাওয়া যায় চুষি পিঠা মেশিনের তৈরি। আপনি দেখছি কাচি দিয়ে কেটে কেটে চমৎকার সুন্দর করে চুষি পিঠার রেসিপি করেছেন। খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার চুষি পিঠার রেসিপি।খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে নিশ্চয়ই। ধাপে ধাপে চুষি পিঠা বানানো পদ্ধতি ও রান্না পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই চুসি পিঠা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যদি আপনি যেভাবে এই পিঠা তৈরি করেছেন সেই ভাবে কিন্তু আমাদের বাড়িতে তৈরি করা হয়। অর্থাৎ এই পিঠা তৈরীর পদ্ধতি একটু আলাদা হয়ে থাকে। যদিও পিঠার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে এই পিঠাটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হবে।