শীতের সকালে হাঁটাহাটি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার ,১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটি সকল সদস্যদের কে জানাই শীতের সকালের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজও আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শীতের সকালের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। যদিও খুব সকাল না হালকা রোদ উঠে গিয়েছিল। তাই কুয়াশা খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না। বাবু ছোট থাকার কারণে সকাল সকাল ঠান্ডার মধ্যে তেমন একটা বের হয় না। তবে কয়েকদিন ধরে আমার বড় বোন বলছে চলো আমরা একটু সকালে হাঁটতে যাই। যেহেতু আপুর ডায়াবেটিস তাই সকালে হাটার অভ্যাস। কিন্তু মায়ের বাসায় আসলে কেমন যেন সবকিছু আলসেমি বেশি হয়ে যায়। তাই কিছুদিন ধরে হাঁটতে পারছি না তারপরে আবার একা ছিল। যখন আমি আসলাম তখনই আমাকে বলল চলো সকাল সকাল হাঁটতে যাই। কিন্তু আবু রায়হানের জন্য আমি যেতে চাইছিলাম না। তবে খুব ইচ্ছে করছিল সকাল সকাল হাঁটার জন্য। এরপর একদিন ঠিক করলাম যে আমরা সকাল সকাল হাঁটতে যাব মাঠের দিকের রাস্তায়। কেননা ওই রাস্তায় বেশি গাড়ি চলাচল করে না সকালের দিকে তার ওপর আবার অনেক মানুষ হাঁটতে যায়।
যেমন ভাবনা তেমন কাজ গতকাল আমরা সকালে হাঁটতে গিয়েছিলাম। আমি, আপু আমার ছোট বোন আপুর মেয়ে সহ আরো দুজন। তবে খুব সকালে না হালকা হালকা রোদ উঠবে এমন টাইমে। খুব সকালে অনেক শীত পড়ে আর বাইরের ভীষণ কুয়াশা থাকে। তবে কয়েকদিন ধরে কুয়াশা টা একটু কম। কিন্তু শীতের পরিমাণটা আস্তে আস্তে বাড়তেই চলেছে। তাই সকালে উঠে নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ লেপের মধ্যে বসে ছিলাম। হালকা রোদ উঠলে আমরা হাঁটার জন্য বাহিরে চলে গেলাম। এরপর রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে অনেক গল্প আড্ডা দিচ্ছিলাম। গল্প করার মধ্যে আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি ধারণ করে নিলাম। গ্রাম থেকে মাঠের দিকে যাওয়ার পথে রাস্তার দুই ধারে ছিল অনেক খেজুর গাছ। খেজুর গাছে তখন রসের বোতলগুলো সব পারা হয়ে গিয়েছিল।। তাই আর রস ভর্তি বর্তন গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারলাম না। আমরা ভেবেছিলাম সকল সকল খেজুরের রস কিছু কিনব কিন্তু আমাদের যাওয়ার আগেই সব শেষ।
এরপর আমরা সামনের দিকে হাঁটতে থাকলাম। সামনে অনেক মানুষ ছিল এবং পিছনে অনেক মানুষ ছিল। তবে সবাই প্রায় বাড়ি ফেরার পথে। কেননা আমরা অনেক দেরি করেই গিয়েছিলাম। যাইহোক আমরা যখন গিয়েছিলাম তখনও কুয়াশা ছিল। শীতকালে সকাল সকাল এভাবে হাটার মজাটাই আলাদা। শীতকালে আমার তো ভীষণ ভালো লাগে খেজুরের রস খেতে। থেকে বেশি ভালো লাগে খেজুরের রস দিয়ে ভাপা পিঠা ,চিতই পিঠা এগুলো বানিয়ে খেতে। শীতে সকালে ঠান্ডা বাতাস ঘন কুয়াশা এর মধ্যে ফাঁকা রাস্তা দুই পাশে ফসলের মাঠ দারুন এক মুহূর্ত। এই মুহূর্তটা যেন ছেড়ে আসতে ইচ্ছে করে না। যদি এখন মাঠে তেমন একটা ফসল নেই। মাঠে সবাই ভুট্টা,গম, তামাক ইত্যাদি শীতকালীন মৌসুমীর ফসল চাষ করতে শুরু করেছে। তাই কুয়াশা গুলো এবং দূরের সব গাছপালা বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে।
আমরা যেহেতু প্রথম দিন হাঁটছিলাম তাই বেশিদূর যায়নি। এরপর আমরা আবার বাড়ির দিকে রওনা দি। তবে রাস্তার পাশে কৃষকদের বসার জন্য তিনটা সুন্দর জায়গা আছে ওখানে আমরা কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। একটি জায়গার ফটোগ্রাফি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। বাড়ি ফেরার পথে আমি এই খেজুর গাছের ফটোগ্রাফি দুইটা ধারণ করেছিলাম। তখন রসের ভার গুলো ছিল না তাই রস গুলো গাছের উপর পড়ছিল। শীতের সকালে এভাবে হাঁটাহাটি সহ ঘোরাঘুরি টা বেশ ভালোই লাগছিল আমার। আপনাদের কাছে শীতের সকাল টা কেমন লাগে সেটা অবশ্যই জানাবেন। আমার তো গত কালকের শীতের সকালের অনুভূতিটা দারুন ছিল। আজকে এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। শীতের মধ্যে সবাই সাবধানে থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে আমারও ইচ্ছা করে যে এই শীতের সকালে কোথাও হাঁটতে বের হই। যদিও কাজের চাপে আর সময় পাওয়া যায় না। আর এজন্য আপনার পোস্ট পড়ে আপনাকে দেখে আমার খুব হিংসা হচ্ছে। আসলে শীতের সকালে হাঁটা কিন্তু শরীরের জন্য সবথেকে ভালো।
আপনার হিংসে হচ্ছে এটা জেনে আমার ভীষণ হাসি পেল। তবে চেষ্টা করবেন সকালে একটু হাঁটাহাঁটি করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীতের সকালে হাঁটাহাঁটি করার মধ্যে অন্যরকমের একটা মজার রয়েছে। কুয়াশার মধ্যে হাঁটাহাঁটি করতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি হাঁটতে হাঁটতে অনেকদূর চলে এসেছিলেন।
ঠিক বলেছেন হাঁটতে হাঁটতে আমি অনেক দূর চলে গিয়েছিলাম আর কিছুটা হলে বাড়িতে চলে যেতাম 🙂🙂।
আপনারা বেশ কয়েকজন মিলে সকালবেলা হাঁটতে বের হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। শীতের সৌন্দর্য সত্যি অন্যরকম। কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতির ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। খেজুর গাছের ফটোগ্রাফি দারুন লাগলো। সুন্দর এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ ভীষণ ভালো লাগে ধন্যবাদ।
শীতকালের বেশ সুন্দর ছবি কিছু আপনি শেয়ার করেছেন। সাথে শীতকালে সকালবেলায় হাঁটাহাঁটির গল্প পড়ে বেশ ভালো লাগলো। খুব কুয়াশা থাকলে আমরাও বেরোতাম না একটু বেলার দিক করে বেরোতাম কারণ কুয়াশা মাথায় পড়লে তখন আবার ঠান্ডা লেগে যাবে। খেজুর গাছ গুলো দেখে খুব নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। আমাদের গ্রামে এসব এখন আর নেই। উন্নয়নের ঠেলায় কোথায় কবে যে উধাও হয়ে গেছে? কে জানে।
আপু আমাদের গ্রামে রাস্তার ধারে অনেক খেজুর গাছ আছে এবং সেখান থেকে আমরা তরতাজা খেজুরের রস এবং গুড় পেয়ে থাকি।
বেশি কুয়াশার মধ্যে হাঁটতে যেতে আমারও ভয় করতো।আপনার শীতের সকালে হাঁটাহাঁটি মুহূর্ত পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। আরও ভালো লাগলো সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বেশি কুয়াশার মধ্যে যাইনি আপু হালকা রোদ উঠেছিল এমন পরিবেশে গিয়েছি।
বড় বোন,ছোট বোনকে সাথে নিয়ে আর বোনের মেয়েসহ সবাই শীতের সকালে খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।শীতের কারনে বাইরে বের হতে ইচ্ছে না হলেও সকালে বের হলে সুন্দর পরিবেশে ঘোরাঘুরি ও চমৎকার প্রকৃতির দৃশ্য দুচোখ ভরে দেখা যায়। শীতের সৌন্দর্য কে এতো কাছ থেকে দেখতে পেয়ে আশাকরি ভালো লেগেছে আপনার।আমার কিন্তু ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ আপু আপনার মতামতটা সুন্দরভাবে প্রকাশ করার জন্য।
শীতের সকালে হাঁটলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয়। তবে আপনি দেখতেছি কয়েকজন মিলে হাঁটতে গেলেন। আর গ্রাম অঞ্চলের জায়গা গুলো এমনিতে সুন্দর। আপনি ঘুরতে গিয়ে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। খেজুর গাছের মধ্যে শীতকালে অনেক রস পড়ে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
শীতের সকালে খেজুরের রস খাওয়ার মজা আলাদা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সকালবেলায় হাঁটাহাঁটি করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর যদি একটু ঠান্ডা হয় তাহলে তো ভালোলাগাটা আরো বেড়ে যায়। আপু আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে হাঁটাহাঁটি করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ঠিক বলেছেন আপু কুয়াশার মধ্যে যখন জোরে জোরে হাঁটি এমনিতেই শরীর গরম হয়ে যায় ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।