গল্প:-ভুতুড়ে রাজবাড়ি।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। ভুতুড়ে রাজবাড়ী গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আমি হাজির হলাম আরও একটি নতুন গল্প নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি গল্প শেয়ার করব। গল্প করতে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে গল্প করতে সবথেকে বেশি পছন্দ করি লেখালেখি কম করা হয়। তাছাড়া আমাদের কমিউনিটিতে সবাই খুবই সুন্দর লেখালেখি করে সেগুলো পড়তেও বেশ ভালো লাগে। আমি গল্পের মধ্যে ভূতের গল্প গুলো পড়তে বেশ পছন্দ করি কারণ সেই গল্পগুলোর মধ্যে অনেক কৌতুহল কাজ করে। অনেক ভালো লাগে সেই ধরনের গল্পগুলো পড়তে।আগে প্রতিদিনই একটা না একটা ভূতের গল্প পড়তাম। বই থেকে না পড়তে পারলেও মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের গল্প রয়েছে যেগুলো আমি মোবাইলে বসে বসে পড়তাম। আর ভূতের গল্পগুলো পড়তে বেশ ভালো লাগতো। আজকে আমি সেরকমই একটা ভূতের গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আমার আজকের গল্পটির নাম হচ্ছে ভুতুড়ে রাজবাড়ী।
আগেকার দিনে অনেক অনেক রাজবাড়ী জমিদার বাড়ি ছিল। যেগুলো বর্তমানে এসে বন জঙ্গলে এবং ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। আসলে আগেকার দিনের রাজবাড়ী জমিদার বাড়িগুলোতে অনেক অনেক বছর ধরে মানুষ বসবাস করছে না বলতে গেলে যুগ যুগ ধরে বসবাস করছে না। সে বাড়িগুলো বন জঙ্গলে ময়লা আবর্জনা একেবারে পরিত্যক্ত বাড়িতে পরিণত হয়েছে। আর এরকম বন জঙ্গলে ঘেরা ভয়ানক বাড়িতে দেখতে ভূতের বাড়ির মতই মনে হয় বর্তমানে। আর সব বাড়িতে ভূত না থাকলেও আশেপাশের এলাকার মানুষজন বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ায়। বলা হয় সেখানে ভূত আছে আত্মা আছে সেখানে যেতে ভয় পায়।
অনেকে দেখেছে এরকমের কথাবার্তাও বলে। ঠিক তেমনি একটি গ্রামে একটা রাজবাড়ী ছিল। সেই গ্রামের মানুষজন সেই বাড়িতে সেরকম যেত না। অনেক অনেক বছর ধরে সেই বাড়ি বন্ধ করে রয়েছে। সেই বাড়ির বংশধররা বর্তমানে থাকে শহরে। আর সেই এলাকায় একটা খারাপ লোক ছিল বলতে গেলে গুন্ডা বলা যায়। সে বাড়িতে গিয়ে আস্তানা তৈরি করে। আসি বাড়িতে যাতে অন্য কেউ না যেতে পারে এবং পুলিশ বা কোন কিছু যাতে তাদেরকে সেখানে গিয়ে ধরতে না পারে সেজন্য প্রায়ই মানুষদেরকে ভয় দেখাতো। তার সাথে থাকা মানুষজন মানুষকে ভয় দেখাতো। যদিও কেউ সেখানে যেত না কিন্তু সেই বাড়ির পাশ দিয়ে হেটে আসার সময় রাত্রিবেলা মাঝেমধ্যেই তারা মানুষ দেখলে ভয় দেখাতে যাতে ভয় মানুষ এখানে না যায়।
সেই গ্রামে খুন খারাপিই করেছে সেজন্য সে সেখানেই পালিয়ে থাকে। আর মানুষ জনও যায় না সেখানে ভূতের ভয়। ভালোই আস্তানা গেড়ে বসে ছিল সেই রাজবাড়ির মধ্যে। একদিন সেখানে সেই একা তার সাথে থাকার ছেলেপেলেরা বাজারে গিয়েছিল কিছু কেনাকাটা করতে রাতের অন্ধকারে। তখনই সে হঠাৎ বুঝতে পারে যে তার আশেপাশে অস্বাভাবিক কিছু রয়েছে। প্রথমে সে এটাতে কান দেয়নি পরবর্তীতে সে বুঝতে পারে যে না আসলে এখানে কিছু অস্বাভাবিক আছে। কিছুক্ষণ পর সে যখন এটা বুঝতে পেরে গেল এবং তার সাথে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে থাকলো তখন সে ভয়ে চিৎকার করে সেই রাজবাড়ী থেকে বেরিয়ে আসে।
আশেপাশের লোকজনকে যখন সে চিৎকার করে বলতে থাকে যেখানে ভূত আছে এখানে ভূত আছে। তখন লোকজন কিন্তু সেভাবে তার কথায় কান দেয়নি কারণ লোকজনকে তো আগেই ভয় দেখিয়ে বলা হয়েছে যে সেখানে ভূত রয়েছে। লোকজন তো সেখানে যেতে এমনিতেই আগে থেকে ভয় পায়। এখন সেই লোকটি সত্যিকারের ভূত দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। পরবর্তীতে অনেক দিনের খুনি আসামিকে পুলিশ পেয়ে যায় এবং তারও সঠিক বিচার হয়। এই ছিল আমার আজকের গল্প। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://x.com/APatwary88409/status/1892264540286419258?t=BsX3Zhmwy01JZ24r2EKMDQ&s=19
ওই লোকটা ভূতের ভয় দেখিয়ে ওখানে থাকতো। শেষ পর্যন্ত তার সাথেই এরকম অস্বাভাবিক একটা ঘটনা ঘটেছে। একেবারে ভালো হয়েছে এটা। আর এটার মাধ্যমে তাকে পুলিশ ধরতেও পেরেছে। গল্পটা অনেক সুন্দর ছিল, আর আমার কাছে পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
ভুতুড়ে রাজবাড়ির কথা শুনে তো আমার নিজেরই ভয় লেগে গিয়েছে। তবে লোকটার সাথে একেবারে ভালোই হয়েছে। তার উচিত শিক্ষা হলো। এতদিন নিজেই ভূতের ভয় দেখাতো। আর এখন নিজেই সত্যি কারের ভূত দেখে ভয় পেল। আর এটার মাধ্যমে পুলিশে তাকে ধরে নিল আর তার শাস্তি হয়েছে। এই সব মিলিয়ে গল্পটা পড়তে যেমন একটু ভয় লেগেছে, তেমনই ভালোও লেগেছে।