চাল বাদাম এবং গমের ছাতু রেসিপি 🥣🥣(১০%shy fox)
ছাতু রেসিপি 🍚🍚
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি ভালোই আছেন। আমি বাসায় আর মাত্র কিছুদিন আছি। ভার্সিটি খুব দ্রুতই খুলে দিবে আমাদের। তাই হোস্টেলে চলে যেতে হবে আমাকে। তাই এখন থেকেই তোড় জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ওখানে গিয়ে রান্না করায় একটু অসুবিধা হয়। তাই বাসা থেকে ছাতু বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। খুব পছন্দের একটি খাবার আমার। এবং খুব পুস্টিকর। তাই এটা আমার খুবখুব পছন্দের। খেতেও খুবই মজার। আপনারা একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন। আশা করছি হতাশ হবেন না।
তাহলে চলুন দেখে নি উপকরণ লিস্ট :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মুড়ির চাল | ২ কেজি |
বাদাম | পরিমাণ মতো |
গম | ১ কেজি |
লবন | পরিমাণ মতো |
এবার দেখে নি বানানোর প্রসেস :
ধাপ _১
প্রথমে চুলাই লবণ ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ _২
এরপর এর ভেতর চাল গুলো দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ _৩
এভাবে চাল ভাজতে থাকলে কিছুক্ষণ পর মুড়ির মতো ফুটতে থাকবে। তখন চুলা থেকে নামিয়ে ভালো করে ছেকে নিতে হবে।
ধাপ _৪
এরপর আবার এভাবে গম গুলোকে ভেজে নিতে হবে। সাথে বাদাম গুলোকেও।
ধাপ _৫
চাল এবং গম গুলো ভালো করে ঠান্ডা করে নিয়ে ব্লিনডারে দিয়ে গুড়া করে নিতে হবে।
ধাপ _৬
এরপর সব মিলিয়ে নিলেই তৈরি হইয়ে যাবে মজাদার ছাতু।
এবার ছাতু তো বানানো শেষ হলো। কিন্তু এটা আরও মজাদার করার জন্য একটি রেসিপি ফলো করতে হবে। চলুন জেনে নি তা কি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চিনি | ১ চামচ |
ছাতু | ২ চামচ |
গুড়া দুধ | ১চামচ |
পানি | পরিমাণ মতো |
চাল বাদাম এবং গমের ছাতু রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ছোটবেলায় এই ধরনের ছাতু অনেক হয়েছে কিন্তু বড় হয়ে যাবার পরে এটা খাবার সৌভাগ্য আর হয় না। অনেকদিন পর এই খাবারটি আপনার মাধ্যমে দেখতে পেলাম যা দেখে অনেক ভালো লাগলো।
ছাতু অনেক দিন পর দেখলাম। ছোট বেলায় মা অনেক বানাতো।এভাবে চিনি দিয়েও খেতে। আবার কখনো কখনো পেয়াজ মরিচ দিয়েও খেতো।আমার কাছে চিনি দিয়ে খেতে ভালো লাগতো।আপনার রেসিপি দেখে আবার খেতে ইচ্ছে করছে।ধন্যবাদ আপু মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আমি কখনো পিয়াজ মরিচ দিয়ে খাইনি। জানিনা এভাবে খেলে কেমন লাগে তবে চিনি দিয়ে আসলেই খুব মজা লাগে। ধন্যবাদ।
ছাতু নিয়ে একটা ভয়ংকর কাহিনী আছে আমার। তখন ছোট ছিলাম, ছাতু খেতে গিয়ে গলায় আটকে গেছিলো বাসার লোকজন অনেক ভয় পেয়ে গেছিলো। পরে পানি খেয়ে ঠিক হইছি।
আপনার রেসিপি দেখে সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ভাইয়া আপনার ছোটবেলার ঘটনার মতো ঠিক আমারও একটা ছোটবেলার ঘটনা আছে অনেকটাই আপনার ঘটনার সাথে মিলে যায়।
আমার তো আপনার ছাতুগুলো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে ।ছাতু আমার কাছে অনেক ভালো লাগে সেই ছোটবেলায় খেয়েছি আর কখনো খাওয়া হয়নি। আর আপনি কত সুন্দর করে ছাতু বানানোর রেসিপি শেয়ার করেছেন আমিও একদিন ট্রাই করবো। গম ছাড়া কি হয় ছাতু হয় আপু? খুব ভালো একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
জি আপু। গম ছাড়াও হয়। সুধু চাল ভেজে গুড়া করে নিলেও হবে। কিন্তু গম দিলে বেশি পুস্টিকর হবে। এছাড়াও বাদাম মেশালে খুবই ভালো হবে। ধন্যবাদ আপু ❤️❤️
আমার মনে আছে আমি যখন খুব ছোট তখন আমার দাদী ঢেঁকি পাড় দিয়ে ছাতু তৈরি করত। ছোটবেলায় অনেক ছাতু খেয়েছি, আপনার পোস্ট দেখে যেন সেই অতীতের কথা মনে পড়ে গেল। যদিও বর্তমানে এই রেসিপির তেমন একটা দেখা পাই না। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু। পারলে আমার জন্য একটু পাঠিয়ে দিয়েন।
ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন ছোটবেলায় আমরা সবাই কমবেশি এই খাবার গুলো খেয়েছি কিন্তু এখন এগুলো আর সেরকম আর দেখা যায় না। ভাইয়া আপনি আপনার বাসার ঠিকানা দিয়েন কুরিয়ারে সেন্ড করে দিব। 😅😅 ধন্যবাদ।
ঠিক আছে আপু 😄
অনেক অসাধারণ একটি রেসিপি করেছেন। সত্যিই এই উপকরণগুলো কিন্তু অনেক বেশি পুষ্টিকর। আর আপনি এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলে আমার কাছে তো দেখেই ভাল লাগল। শেষের ছবিটা দেখে ইচ্ছে করছিল আমি নিজেই মেখে খেয়ে নি। অসম্ভব মজাদার এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
ছোটবেলায় আমি ছাতু খুব পছন্দ করতাম। তবে সেটা সম্ভব ছিল যবের ছাতু বা মুড়ির ছাতু। চিনি দিয়ে আর সামান্য একটু পানি মিশিয়ে সেই ছাতু খেতাম। কিন্তু ছাতুর ভেতর যে বাদাম আর গম দেয়া হয় এটা আমি জানতাম না। সম্ভবত আপনার এই ছাতু একটু ভিন্ন ধর্মী হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া যব অনেক খুজেছি কিন্তু আমাদের এইদিকে যব পাওয়া যায় না তেমন। যব এর পরিবর্তে গম দিয়েছি। যব এর ছাতুর মতো এতো স্বাদ আর হয় না। কিন্তু এইটিও মুড়ির চাল ভেজে মুড়ি তৈরি করে নিয়ে তারপর করা। আর বাদাম এবং গম দেওয়া হয়েছে যাতে পুস্টিকর হয়। তবে এভাবে বানালেও খেতে খারাপ লাগে না। এছাড়াও এর সাথে ছোলার ডাল ভেজে এড করে দিলেও খেতে খুবই ভালো লাগে।
দারুন ছিল আপনার রেসিপিটি। নিঃসন্দেহে রেসিপি সুস্বাদু পাশাপাশি পুষ্টিকর ও বটে। চালভাজা অনেক খেয়েছি কিন্তু এত কিছু সংমিশ্রণে কখনো খাওয়া হয়নি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে ব্যাপারটি। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
জি ভাইয়া এভাবে আপনিও ছাতু বানিয়ে খেয়ে দেখবেন খুবই মজা হয়। এটি অনেক পুষ্টিকর এবং চালভাজার ছাতু তো আরো অনেক বেশি মজাদার।