আমরা মানুষ!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মনটা খুব একটা ভালো নেই। গতকাল স্যোসাল মিডিয়ায় বেশ কিছু নিউজ দেখে কিছুই ভালো লাগছে না আর। মানুষ হিসেবে নিজের উপরে ঘৃণা হচ্ছে। হুমায়ুন আহমেদ এর একটা নাটকে একটা সংলাপ শুনেছিলাম যেখানে একজন বলছিল "মাঝে মাঝে পশুদের আমার কাছে মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে হয়। মানুষ কখনও কখনও নিকৃষ্টতায় পশুকেও ছাড়িয়ে যায় "। কথাটা যেন একেবারে বাস্তব হয়ে উঠেছে এখন। প্রথম ঘটনা টা দিয়ে শুরু করি। পৃথিবীতে মানুষের জন্য সৃষ্টিকর্তার দেওয়া সবচাইতে সুন্দর উপহার হলো মা। এটা যে কেউ কোন দ্বিধা ছাড়া মেনে নেবে। অথচ একটা ছেলে নিজের মা কে হত্যা করে ডিপ ফ্রীজে রেখে দিয়েছিল। প্রথম অবস্থায় ডাকাতি বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে জানা যায় তার ছেলেই মা কে ঐভাবে হত্যা করেছে।
কী নৃশংস ব্যাপার টা। জানা যায় ছেলেটা তার মায়ের কাছে নিজের খরচের জন্য টাকা চাই। এবং মা অতিরিক্ত টাকা দিতে না চাওয়ায় সে এমনটা করেছে। ঐ ছেলের আচরণ দেখে আমার একটা কথায় বলতে ইচ্ছা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা সন্তানহীন রাখুক তবুও এইরকম সন্তান কাউকে না দিক। বাচ্চা মেয়ে মুনতাহার ঘটনা টা ইতিমধ্যে সবাই দেখেছেন। টিউশনি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ায় গৃহশিক্ষক এবং তার মা ঐরকম একটা শিশুকে হত্যা করে। সৃষ্টিকর্তা কী এদের মধ্যে একটুও দূর্বলতা দেয়নি। একটা ক্ষুদার্ত হিংস্র পশুও তো মনে হয় না ঐরকম একটা শিশুকে কিছু করত। মানুষের এমন আচরণে নিজেকে মানুষ বলতে লজ্জা হয়। আমরা নাকী সৃষ্টির সেরা জীব। অথচ আমাদের এমন আচরণ।
প্রেম ভালোবাসা রিলেশন এখন তো একটা সাধারণ বিষয়। যতই সময় যাচ্ছে এগুলো আমাদের কাছে সাধারণ বিষয় হয়ে যাচ্ছে। এবং এগুলোর আসল জায়গা থেকে আমরা সরে যাচ্ছি। ভালোবাসা এমন একটা অনূভুতি। কোন মানুষের উপর যদি আপনার একবার এই অনূভুতি তৈরি হয়ে যায়। সে আপনাকে যতই অবহেলা করুক যতই ঘৃণা করুক আপনি চাইলেও তো তাকে ভুলতে পারবেন না। তার ক্ষতি করতে পারবেন না। অথচ গতকাল দেখলাম বিয়ে করার কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে নিজের প্রথম প্রেমিক কে দিয়ে দ্বিতীয় প্রেমিক কে খুন করিয়েছে এক মেয়ে। এরপরে আর কিছু বলার ইচ্ছা থাকে না। চিন্তা করেন এখন ব্যাপার টা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে । একসঙ্গে একাধিক রিলেশন করা তো এখন ট্রেন্ড। আর এর বাইরে গিয়ে যারা লয়্যাল থাকে তাদের সবাই বোকা বলে।
মোটামুটি তিনটা ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আরও কয়েকটা ঘটনা আছে। সেগুলো আর বলতে ইচ্ছা হচ্ছে না আমার। দিনে দিনে পৃথিবী থেকে মানুষের মনুষ্যত্ব হারিয়ে যাচ্ছে। নিজের স্বার্থ অর্থের কথা হার মানছে সব। নিজের ভালো থাকার জন্য মানুষ এখন সব করতে পারে। কিন্তু আমাদের বোঝা উচিত নিজের ভালো থাকাটাই সবকিছু না। আমরা যদি এমন নৃশংস আচরণ করি পশুর চরিত্র ধারণ করি তাহলে তো আমাদের সমাজে থাকার প্রয়োজন নেই। জঙ্গলই আমাদের আদর্শ স্থান। কী বলেন আপনারা। স্যোসাল মিডিয়া থেকে অনেক দিন দূরে ছিলাম। কয়েকদিন হলো আবার একটিভ হয়েছি। কিন্তু তারপর যা সব দেখলাম। আর ভালো লাগছে না। রীতিমতো হাঁফিয়ে উঠেছি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই বিষয় টি আমার কাছে অনেক টা খারাপ লেগেছে।সে কিভাবে পারছে তার নিজের জন্মদাতা মাতা কে মেরে ফ্রিজের মধ্যে রাখতে। আসলে, আমাদের মাঝে থেকে দিন দিন মনুষ্যত্ব উঠে যাচ্ছে। এখন আর মানুষ মানুষের প্রতি কোন সহনশীলতা নেই। মানুষ চাইলে আরেকজন মানুষ কে নেকড়ের মতো খেয়ে দিচ্ছে। এটা আসলেই আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি ব্যাপার।
ভাই প্রথমেই বলবো বেশ কিছু টাইপ মিসটেক আছে একবার পড়ে নেবেন পরে।
এবার আসি ঘটনায়, আপনি বেশ কিছু নৃশংস ঘটনার কথা লিখেছেন আজ। আপনার খুব কষ্ট হয়েছে সেটা বুঝতে পেরেছি কিন্তু আপনি একটা জিনিস ভেবে দেখুন মানুষ যখন আদিম ছিল তখন কিন্তু মানুষ এতটাই নৃশংস ছিল। কোন পশুকে মেরে তাকে কাঁচা খেতো প্রয়োজনে মানুষ মানুষকে মারতো। তাই না? সেই জায়গা থেকে সামান্য বিচার করে ভাবুন মনুষ্য জাতিকে কিন্তু জোর করে সামাজিক করার চেষ্টা করা হয়েছে। কারণ মানুষ যদি সমাজবদ্ধ জীব না হত তাহলে পৃথিবীর উন্নয়ন কখনোই সম্ভব হতো না। একতা সে বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন হোক বা অন্য কিছু। এখন উন্নয়ন বলতে আমরা যেটা ভাবছি সেটা কি আবার অবনতি বলছি। কিন্তু এই সিভিলাইজেশন এর বাইরে গিয়ে ভাবুন মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তিই কিন্তু পাশবিক। এমনকি রিলেশনশিপ এর ক্ষেত্রেও আমি বলব সমাজ যাতে নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে শৃংখল থাকে সে কারণেই মানুষকে জোর করে একটা নিয়ম যা কোন একজন মানুষের দ্বারাই তৈরি করা তার মধ্যে বেঁধে রেখেছে। এই নিয়মকানুন গুলো যদি না থাকতো তাহলে মানুষও কিন্তু যা আদিমকালে করতো সেরকমই কারোর ওপর বিরাট কোন অনুভূতি নিয়ে কমিটমেন্ট নিয়ে আজীবন কাটিয়ে দিত না।
আসলে জোর করে সিভিলাইজড করে রাখা মানুষ বর্তমানে তার আসল শেকড়ের দিকে হাঁটছে। সে কারণেই আমাদের পাশবিকতাগুলো চোখে লাগে।
এই এত কিছু বললাম মানে আমি ঘটনাগুলোকে সাপোর্ট করছি তা নয় আমি জাস্ট ওদের মানসিকতা এবং চারিত্রিক গুলো ভাবছি এবং খানিকটা বিচার করার চেষ্টা করলাম।
মানুষের মানবিকতা এবং মনুষ্যত্ববোধ দিন দিন লোপ পাচ্ছে। আমি নিজেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব কম ঢুকি তবে খবরে যতটুকু দেখি সেটাই সামলাতে পারি না। যাইহোক এগুলো দেখতে দেখতেই হয়তো আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, তবে নিজের অবস্থান থেকে এধরনের কাজগুলো ঘৃণা করতে হবে।