আমার শহর!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমার ছোট থেকে বড় হওয়া সব পাওয়া না পাওয়ার স্বাক্ষী আমার শহর। নিজের জন্মস্থান না নিজের শহরের প্রতি সবসময় একটা অন্যরকম অনূভুতি একটা অন্যরকম ভালোবাসা কাজ করে থাকে। আজ থেকে ছয় মাস আগে তখন বেশ কঠিন সময় অতিবাহিত করছিলাম আমি। বাড়িতে থাকতেও দম টা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। তখন মনে হতো নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারলে বাঁচা যায়। খুব করে চাইতাম বাড়ি ছেড়ে কোথাও চলে যেতে। এর ঠিক কয়েকদিন পরেই আমার জব হয়ে যায়। কর্মজীবনে প্রবেশ করি। বাড়ি ছেড়ে চলে যায় নতুন ঠিকানায়। কিন্তু তারপর থেকেই যেন বাস্তবতা টা বুঝতে শিখেছি আমি। নতুন জায়গা গিয়ে প্রথমদিকে মনটা অনেক খারাপ থাকত।
এরপর সময় কেটে গিয়েছে। দেখতে দেখতে ছয় মাস কেটে গিয়েছে। সময় যতই এগিয়ে গিয়েছে বাড়ির আমার শহরের প্রতি আমার শূন্যতা টা ততই বৃদ্ধি পেয়েছে। একটা সময় গিয়ে আমি আমার শহর কুষ্টিয়া কে অনেক মিস করেছি। সত্যি বলতে পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দরতম জায়গা আমার এই শহর। এই শহরের বাতাসে যেন একটা সিগ্ধতা আছে একটা ভালোলাগা আছে। ছয়মাস পরে ছুটি নিয়ে যখন বাড়িতে আসি তখন অনেক রাত প্রায় ৩ টা বাজে। বাড়িতে এসেই একটা প্রশান্তির নিঃশ্বাস নেয়। এরপর
একে একে পুরো শহর ঘুরে দেখতে থাকি। আমার পছন্দের জায়গা গুলো চলে যায়। যেটার শুরু করেছিলাম আমার কলেজ ক্যাম্পাস দিয়ে।
এই রাস্তা এই ক্যাম্পাস আমার অনেক পছন্দের। দীর্ঘ চার বছরের বেশি সময় এই হাইওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেছি। সৃষ্টিকর্তার রহমতে একবারও দূর্ঘটনার কবলে পড়িনি। এই রাস্তাগুলো আশপাশের গাছপালা গুলোর প্রতিও একটা ভালোবাসা তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর ক্যাম্পাস সেটার কথা তো অনেক বলেছি। বলে কখনও শেষ করা যাবেনা। আমার ক্যাম্পাসের পরেই আমার সবচাইতে পছন্দের জায়গা কুমারখালী এম এন স্কুলের বাঁধ। গড়াই নদীর পাড় এই জায়গাটা আমার শহরের সবচাইতে পছন্দের স্থান আমার। এই জায়গাটার সাথে আমার পরিচয় প্রায় ১১ বছরের। সেই ২০১৪ সাল থেকেই এখানে আমার যাতায়াত। বাড়িতে প্রায় আজ পাঁচদিন রয়েছি। এরমধ্যে চারটা দিন বিকেল কেটেছে এই জায়গায়।
এখানে বসে থেকেই বিকেল থেকে সন্ধ্যা হয়ে যায়। একা থেকেও যেন আমি একা থাকি না। আমাকে সঙ্গ দেয় এই প্রকৃতি টা। এবার বাড়িতে এসে পুরোটা সময় একাই কাটিয়েছি। যদিও কিছু বন্ধুর সাথে দেখা করেছিলাম আমি। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র একটা মূহূর্তের জন্য। আগামীকাল আবার চলে যেতে হবে সেই ব্যস্ত ঠিকানায়। আবার বাড়ি আসতে আসতে সেই ঈদের সময় চার মাস পরে। এই সময়ে মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল। এই শহর ছেড়ে এখন আর যেতে ইচ্ছা কর না। অল্প সময়ের ব্যবধানে এটার অভাব আমি বুঝতে পেরেছি। আমি আবার খুব দ্রুতই ফিরে আসতে চাইব এখানে। আমার এই ২২ বছরের পুরোটা সময়ের সাক্ষী আমার এই শহর। পাওয়া না পাওয়া হাসি কান্না সবকিছুই এদের সাথে মিশে আছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Daily work proof
এই অনুভূতিটা আমাদের প্রত্যেকেরই হয়। একটা সময় আমিও আমার বাড়িতে অত্যন্ত দম বন্ধ অনুভব করতাম, মনে মনে চাইতাম বাড়ি থেকে এত দূরে থাকি যেন প্রয়োজনও কখনো আসতে না পারি। কিন্তু আজ দীর্ঘ জীবন প্রবাসে কাটানোর পর বারবারই বাড়ির কথাই মনে হয়। মনে হয় সেই আমার সবথেকে প্রিয় জায়গা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জায়গা আমার কাছে।