কুমড়ো বড়ি দিয়ে "মুলার ঘন্ট" নিরামিষ রেসিপি। shy-fox 10%
"হ্যালো"
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার, আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি, সুস্থ আছি।
মুলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম এবং ভিটামিন সি রয়েছে। এতে থায়ামিন, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন, ফলিক এসিড এবং ভিটামিন 'বি৬',এ' এবং 'কে' রয়েছে। এছাড়া এটি আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্কেরও ভালো উৎস। মুলা লিভার এবং পাকস্থলীর জন্য দারুণ উপকারী।
মুলা বাজারে মোটামুটি সবসময়ই কমবেশি চোখে পড়ে,অন্য সময়ে দাম একটু বেশিই থাকে কিন্তু
শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে মুলা পাওয়া যায় তাও খুবই কম দামে।মুলা আমার খুবই প্রিয় একটি সবজি মুলার সব ধরনের তরকারি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি তাই বেশিরভাগ দিনই মুলা দিয়ে কিছু না কিছু রেসিপি তৈরি করে থাকি আজ কুমড়ো বড়ি দিয়ে মুলার ঘন্ট করেছিলাম সেই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এখন।
উপকরণসমূহ
মুলা |
---|
কুমড়ো বড়ি |
কাঁচামরিচ |
শুকনা মরিচ |
আদাবাটা |
জিরাগুঁড়া |
মরিচেরগুঁড়া |
লবণ |
হলুদগুঁড়া |
তেজপাতা |
গোটা জিরা |
গরম মসলা |
ঘি |
সয়াবিন তেল |
প্রথম ধাপঃ
মুলার খোসা ছাড়িয়ে ঝুড়ি ঝুড়ি করে কেটে নিয়েছি। তারপর লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে রেখে দিয়েছি কয়েক মিনিটের জন্য।তারপর লবণ মাখা মুলা গুলো জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।এতে করে মুলার অতিরিক্ত গন্ধ টা চলে যায়।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে অল্প পরিমাণে তেল দিয়ে কুমড়ো বড়ি গুলো দিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছি।তারপর হাত দিয়ে বড়ি গুলো ভেঙ্গে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপঃ
এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি তারপর গোটা জিরা তেজপাতা শুকনা মরিচ আর গরম মসলা গুলো ফোঁড়ন দিয়ে দিয়েছি। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়ে মুলা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপঃ
এবার লবণ হলুদ গুঁড়া আর কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি।তারপর ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে মুলা গুলো ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
মুলা ভাজা হলে আদাবাটা জিরাগুঁড়া আর মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে মসলা গুলো ভেজে নিয়েছি,তারপর ভেজে রাখা কুমড়ো বড়ি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপঃ
এবার সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
সপ্তম ধাপঃ
জল শুকিয়ে গেলে ঢাকনা খুলে দিয়ে অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে মুলা গুলো ভাজা ভাজা করে নিয়েছি।তারপর ঘি দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
"পরিবেশন"
চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে একটা প্লেটের মাঝে তুলে নিয়েছি তারপর মাঝে একটা পুদিনাপাতা দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।
আজ এই পর্যন্তই ছিলো এখন শেষ করছি আবার দেখা হবে অন্য কোনো সময়ে অন্য কোনো নতুন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
ধন্যবাদ।
OR
শীতকালে মোটামুটি সব সবজির দাম কম থাকে। যাইহোক, আপনার আজকের রেসিপি টা আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছে। এর আগে কখনো এরকম মুলার ঘন্ট খাওয়া হয়নি। বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু এবং ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কুমড়ো বড়ি দিয়ে মুলার নিরামিষ ঘন্ট এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি আমার। কুমড়ার বড়ি সংগ্রহ করতে হবে দেখছি আর মূলা এখন সচরাচর পাওয়া যায়, তাই ভাবছি খাবারটি তৈরি করে খেতে হবে। ভালো উপস্থাপনা ছিল আপু। দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀
অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া আশাকরি খেতে অনেক ভালো লাগবে।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এবং সেই সাথে আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
কুমড়ো বড়ি খেতে নাকি অনেক মজার। তবে কখনো খাওয়া হয়নি। মুলা দিয়ে এভাবে কুমড়ো বড়ি রান্না করা যায় তা আজকে প্রথম দেখলাম। আসলে মুলা দিয়ে যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে খেতে ভালো লাগে। বিশেষ করে শীতের সময় মুলা খাওয়ার মজাই আলাদা। নতুন একটি মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
জ্বি আপু কুমড়ো বড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে শীতের সময়ে নতুন বড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে।মুলা খেতে আমারও অনেক অনেক ভালো লাগে আপু।সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপু তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপু মুলার যে এত উপকারিতা রয়েছে এটি আমার জানা ছিল না আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম ।যদিও আমি মুলা খাই না ।যতই উপকারিতা থাকুক না কেন এর গন্ধটাই আমার কাছে সহ্য হয় না ।তবে আপনি মুলা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আইটেম রান্না করেন জেনে ভালো লাগলো। আজকে কুমড়ো বড়ি দিয়ে মুলার ঘন্ট রেসিপিটিও বেশ ইউনিক হয়েছে ।এর আগে কখনো দেখিনি। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি ঠিক বলছেন অন্যান্য সময় মুলার দাম একটু বেশি থাকলেও শীতকালে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাজারের মূল্য থাকায় মুলার দাম সবচেয়ে তুলনা মূলক অনেক কম থাকে।আপনার মত আমিও মুলা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করি যা খেতে ভালো লাগে।এভাবে যদি লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলা হয় তাহলে মুলার গন্ধ চলে যায়।কুমড়োর বড়ি দিয়ে বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।এভাবে কুমড়োর বড়ি দিয়ে মুলার ঘন্ট রেসিপি দেখতে অনেক মজার হয়েছে মনে হচ্ছে।
ঠিক বলেছেন আপু এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে মুলা পাওয়া যায় এবং খুবই সস্তায়। জ্বি আপু লবণ মেখে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললে মুলার অতিরিক্ত গন্ধটা চলে যায় অনেকেই মুলার গন্ধ পছন্দ করে না কিন্তু আমার ভালোই লাগে।ধন্যবাদ আপু।
কুমড়ার বড়ি দিয়ে মুলা ঘন্ট করার দারুণ একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের রেসিপি এর আগে আমি কোনদিন দেখেছিলাম না তার কারণে এটা আমার কাছে একটা ইউনিক রেসিপি বলে মনে হয়েছে।
ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে সাপোর্ট করার জন্য।
কুমড়ো বড়ি দিয়ে মুলার ঘন্ট নিরামিষ রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। সত্যিই আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ভাবে আজকের রেসিপি শেয়ার করে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্বি ভাইয়া খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
কুমড়ো বড়ি আমি একদিন খেয়েছিলাম আপু তবে আমার ভালো লাগেনি। আপনি রেসিপিটি করেছেন দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে।রেসিপিটি ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন দেখে ভাল লাগলো। যে কেউ রেসিপি দেখে করে নিতে পারবে। অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
অনেকেই খেতে পারেনা আপু তার কারন হলো মাসকালাই আর কুমড়ো দেওয়াতে টক টক গন্ধ আসে যা সবার পছন্দ নয় কিন্তু যে খেতে পারে তার কাছে অনেক মজা লাগে যেমন আমার। ধন্যবাদ আপু।
মুলোতে যতই ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন থাকুক না কেন, মুলো কখনোই আমার পছন্দের খাবার না। তবে আপনি যত সুন্দর করে রান্না করেছেন এবং উপস্থাপন করেছেন তাতে মনে হচ্ছে একদিন খেয়ে দেখতে হবে কেমন লাগে। 🤭
হা হা হা, তাই নাকি? তবে যাই বলেন না কেন ভাই মুলা খেতে কিন্তু অনেক পছন্দ করি আর যারা মুলা পছন্দ করেনা তারা কি যে ভালো জিনিস মিস করে সেটা তারা বুঝতে পারে না। 😁😁😁😁😁খেয়ে দেখবেন আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি তো খুব চমৎকার একটি রেসিপি করছেন।কুমড়ো বড়ি দিয়ে এবং মুলার ঘন্ট এভাবে রেসিপি বানিয়ে কখনো আমি খাইনি। তবে মুলা বাজারে সব সময় কম বেশি পাওয়া যায়। আমি যে কোন সবজির মধ্যে মুলা ব্যবহার করি। তবে মুলার মধ্যে অনেক ধরনের ভিটামিন আছে। তবে আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল।