ভালোবাসা নাকি স্বার্থ!!!
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করছি আশাকরি আমার আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে!
ভালোবাসা দিবস (সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবস বা সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স উৎসব[১] নামেও পরিচিত) একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ ফেব্রুয়ারি[২] ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়। প্রথম দিকে এটি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন অথবা দুজন খ্রিষ্টান শহিদকে সম্মান জানাতে খ্রিষ্টধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল, পরবর্তীতে লোক ঐতিহ্যের ছোঁয়ার মধ্যে দিয়ে এটি বিভিন্ন দেশে আস্তে আস্তে প্রেম ও ভালোবাসার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়। এই দিনটিতে দম্পতিরা উপহার বিনিময় করে এবং একে অপরের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
সোর্স
ভালোবাসা বলতে একটি তীব্র আকর্ষণ এবং মানসিক সংযুক্তির অনুভূতিকে বোঝায়। ভালোবাসাকে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয়ই মনে করা হয়।এর গুণগুলো মানুষের উদারতা, সহানুভূতি এবং স্নেহের প্রতিনিধিত্ব করে যেমন অন্যের ভালোর জন্য নিঃস্বার্থ থাকা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করা।কিন্তু বর্তমান সময়ে কে কতোটুকু ভালবাসতে পারে তা আমার জানা নেই।আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে যতোটুকু বুঝেছি তাতে করে মনে হয় প্রত্যেকটি সম্পর্কই কোনো না কোনো স্বার্থের সাথে জড়িত।নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বলতে কিছু নেই,যদি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা থেকে থাকে তাহলে সেটা স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির এছাড়া কোনো সম্পর্কের মাঝে স্বার্থহীন ভালোবাসা আছে বলে আমার মনে হয় না।
ব্যক্তিগত জীবনে আমরা সকলেই কাউকে না কাউকে ভালবেসে থাকি।সেটা হতে পারে প্রেমের সম্পর্ক হতে পারে পারিবারিক সম্পর্ক বা আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী বন্ধুবান্ধব।১০০ জন মানুষকে তো আর আমরা ভালবাসতে পারি না নির্দিষ্ট ভালোবাসার কোনো মানুষ থাকে।আর তাকে আমরা অনেক বেশি ভালোবাসি এবং নিজের জীবনের একটা অংশ বানিয়ে ফেলি।তার সাথে ভালো মন্দ নিজের যতো গোপনীয় কথা শেয়ার করি,কিছুটা মানসিক শান্তির জন্য।প্রিয় একজন মানুষের সাথে নিজের দুঃখ কষ্টগুলোকে ভাগাভাগি করলে অনেকটা শান্তি পাওয়া যায় এই ধারণা থেকেই আমরা আমাদের নিজের কথাগুলো অবলীলায় বলে ফেলি।কিন্তু এটা ভাবি না যে আমাদের সেই প্রিয় মানুষটি সব সময় একই রকম থাকবে না!কোনো না কোনো দিন সে আমাদের ক্ষতির কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে।
আমরা যখন আমাদের সেই বিশেষ মানুষটিকে ভালোবাসি তখন তার যত্ন করি।তার ছোট ছোট আবদার গুলো পূরণ করি এবং তাকে ভালো রাখার চেষ্টা করি।অপর পাশের মানুষটি সেগুলোকে খুবই ইনজয় করে এবং ভালো থেকে আরও ভালো থাকার চেষ্টা করে।কোনো একটা সময় গিয়ে হয়তো বা আমাদের বোধ বুদ্ধি ফিরে আসে তখন আমরা বুঝতে পারি আমরা যাদেরকে ভালোবাসি তারা আসলে আমাদের ভালোবাসার যোগ্য নয়।তারা শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের জন্য আমাদেরকে ব্যবহার করে।আর তখনই হয়তো বা আমরা সেই মানুষটির থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি।স্বার্থপর মানুষেরা নিজের স্বার্থের একটু ব্যাঘাত ঘটলেই তারা টের পেয়ে যায় যেখানে ভালবাসার কমতে হচ্ছে।তারমানে সে আমার সকল চালাকি গুলো ধরতে পেরেছে।তখন সে নিজেকে নানান ভাবে ভালো সাজার নাটক তৈরি করে যখন কোনো কিছুতেই সফল হতে পারেনা।তখন সেই ব্যক্তিটি বুঝতে পারে যে এখানে আর আমার স্বার্থ হাসিল হবে না।
আর ঠিক তখনই সেই ব্যক্তিটি আপনার আমার কোনো না কোনো ক্ষতি করে দেবে।তার কারণ হলো মানুষ স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে।তখন দেখবেন সে আপনার এবং আমার উপর এমন একটা দোষ চাপিয়ে দেবে যে আপনি আমি হতভম্ব হয়ে যাবো!নিজেই বুঝতে পারবো না সেখানে কি বলা উচিত!তখন শুধুই আফসোস হবে যে আমরা এই ধরনের মানুষকে ভালোবেসে নিজের সর্বস্ব তাকে উজাড় করে দিয়েছি,এটা ভাবতেও অবাক লাগবে!কিছু করার নেই তার কারণ হলো মানুষরা এরকমই হয়,তারা কখনোই অন্যের ভালোবাসাকে মূল্যায়ন করতে পারে না।তারা শুধু নিজের স্বার্থকেই বেশি মনে করে আর স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে।
পৃথিবীতে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বলতে কিছু নেই সব সম্পর্কে কোনো না কোনো স্বার্থ জড়িত থাকে। গতকাল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালিত হয়েছে,প্রতিবছর এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে আমার মনে হয় ভালোবাসার জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না শুধু মন থেকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসলেই প্রত্যেকটি দিন এই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বলে মনে হয়।বিশেষ একটি দিনে কিছু উপহার ভালোবাসার কথা ঘোরাঘুরি এসব করে সত্যিকারের ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় না,সত্যিকারের ভালোবাসা বলতে আপনি আমি যদি কারো ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে আত্মতৃপ্তি অনুভব করি ঠিক তখনই হয় সেটা প্রকৃত ভালোবাসা।তাই বিশেষ দিনে লোক দেখানো ভালোবাসা না দেখিয়ে,প্রত্যেকটি ভালোবাসার মানুষকে অন্তর থেকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসাই হলো প্রকৃত ভালোবাসা।
স্বার্থবিহীন ভালবাসার সম্পর্কে সবার জীবন ভরে উঠুক এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।❤️
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
টুইটার প্রোমোশন
আমরা এই কথাটা বলি ঠিকই কিন্তু নিঃস্বার্থ ভাবে ঈশ্বরকেও ভালোবাসে না কেউ। কারণ মানুষ যাকে ভালোবাসে তার থেকে কিছু না কিছু আশা অবশ্যই করে। আমার ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়েছে বলে ভালোবাসি বিনিময়ে কিছু পাই বা না পাই ভালো বেসে যাব এমন উদারতা মনুষ্য প্রজাতির মধ্যে নেই৷ ভালোবাসার বিনিময়ে সামান্য কিছু হলেও প্রত্যাশা সকলেরই থাকে। যেখানে আত্মপ্রত্যাশার তুষ্টি উল্লেখিত হয় সেখানে নিঃস্বার্থ শব্দ ব্যবহার করা যায় না।
অনেক ভালো বলেছো বন্ধু সত্যিই তো তাই আমার ঈশ্বরের কাছে কিছু না কিছু তো চাই তাহলে সেখানেও তো স্বার্থ জড়িত আছে।আসলেই নিঃস্বার্থ প্রেম বা ভালোবাসা কখনোই সম্ভব নয়।অনেক সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই তোমাকে।❤️
ভালোবাসা ছারা মানুষ চলতে পারে না আর সব জীবের প্রতি মানুষের ভালোবাসা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সত্যি আমরা কাউকে না কাউকে আলাদা ভাবে ভালোবেসে থাকি আর অনেক সময় ঠকে থাকি সেই মানুষটার কাছে।ভালোবাসার কোন আলাদা দিন লাগে না যদি ভালোবাসাটা নিঃস্বার্থ হয়।পুরা পোস্ট টি পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর বাস্তব কথা গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।