সাঁওতাল পল্লীতে একদিন।।বর্তমান সময় :১০ মে ২০২২।।সময় :পহেলা বৈশাখ এর দিন ।।
হ্যালো ,বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার একটি সাধারণ দৈনন্দিন জীবনের ব্লগিং তুলে ধরবো।আশা করি আপনাদের খারাপ লাগবে না।আমি আগেই পোস্ট করেছি যে কিছু দিন আগে মানে পহেলা বৈশাখ এর সময় পরিবারের সাথে আমরা শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলাম।সেই সময় গরমের তীব্রতা অনেক ছিল।তবুও সেই খর তাপের মধ্যেও একটা ভালোলাগা কাজ করছিলো।কারণ প্রথমবার আমি বাঙালি হয়ে শান্তিনিকেতনে যাচ্ছি।প্রত্যেক বাঙালির নাকি একবার হলেও শান্তিনিকেতনে যাওয়া উচিত।যাই হোক বেশ দেরিতে হলেও যাওয়া হলো এটাই বড় কথা।আর আমরা খুবই উপভোগ করেছি ঐদুটি দিন।যদিও কোভিড এর কারণে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস দর্শনার্থীদের জন্য এখনো উন্মুক্ত করা হয়নি।তাই তাড়াতাড়ি আরেক বার যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
সোনাঝুরির হাট সম্পর্কে আগেই পোস্ট করেছি।বিশাল সোনাঝুরির জঙ্গলে এই ঐতিহ্যবাহী হাট বসে।শনি ও রবিবার কোলকাটা তো বটেই সারা বাংলার লোক এই শান্তিনিকেতনে আসে।এই দুইদিন পুরো শান্তিনিকেতনে জমজমাট করে।সোনাঝুরির পাশেই শালবন।শালবন সংলগ্ন আদিবাসী গ্রাম।এই আদিবাসী মূলত সাঁওতাল সম্প্রদায়।এরা মনের দিক দিয়ে খুব সরল হয়ে থাকে।যদিও সভ্য শিক্ষিত মানুষের লোভ ও স্বার্থ এদের কে ও পরিবর্তিত করে দিচ্ছে।আস্তে আস্তে এদের সারল্য হারিয়ে যাচ্ছে।আর এটাই বিশাল আফসোস ও দুঃখের বিষয়।আমরা নিজেদের স্বার্থের জন্য আর কত নিচে নামবো!
তো শালবন এ যাওয়ার আগে আমরা সেই সাঁওতাল পল্লী তে গেলাম।তাদের বাড়ি ঘর অবশ্যই স্বতন্ত্র তবে একটা জিনিস আমাকে খুব অভিভূত করেছে।সেটা হলো এদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা।সাঁওতাল পল্লীর রাস্তা ও বাড়ি খুবই পরিচ্ছন্ন।আর এদের মাটির ঘর এর দেয়ালে অনেক শিল্পকর্ম রয়েছে,যেগুলো তাদের শৈল্পিক মনের পরিচয় দিয়ে থাকে।শুনেছি এই সাঁওতাল রা খুব অতিথি পরায়ণ হয়।কেউ তাদের বাড়ি এলে তারা তাদের সাধ্যমতো সব কিছু দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করে।
সেই সাঁওতাল পল্লীর কয়েকটি ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চলেছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।তাহলে আসুন ফটো গুলো একটু দেখে নিন-
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
সাঁওতাল পল্লীতে খুবই দারুণ সময় কেটেছেন দাদা। সত্যিই এই সাঁওতাল পল্লী ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাদের ঘরগুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। কত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দিলেন, আসলে ঘর দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল।
চমৎকার একটি দিন কাটিয়েছেন, সাঁওতাল পল্লীর এদিনটি খুব চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের সাথে, ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে একটি গ্রামীন পরিবেশের অনুভূতি পেলাম।
আপনার সাঁওতালদের নিয়ে পোস্ট দেখে আমার এক সাঁওতাল বান্ধবীর কথা মনে পড়ে গেল। আমার সাঁওতাল বান্ধবীর নাম ছিল মারিয়া টুডু। তার সাথে ভালো মিল ছিল আমার তাদের ভাষা শুনতে হবে দেশ ভালো লাগতো। বাংলাদেশের রংপুর-দিনাজপুর রাজশাহী অঞ্চলে সবথেকে বেশি সাঁওতাল বসবাস করে। সাঁওতালদের কৃষ্টি-কালচারের সাথে আমি বেশি পরিচিত। কারণ দিনাজপুরে আমার খালামনি বাসার পাশেই একটি সাঁওতাল গ্রাম আছে। আমি সেখানে গেলে বেশ কয়েকবার ওই গ্রামে গিয়েছিলাম। তাদের সংস্কৃতির প্রতি আমার বেশ আগ্রহ ছিল সেজন্য আরকি। সাঁওতাল মেয়েরা অনেক কাজ করে বিশেষ করে তারা ফসলের জমিতে ফসল রোপণ করার কাজও করে। সাঁওতালদের বাড়িঘর খুব পরিষ্কার থাকে। সাঁওতাল নিয়ে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা
শান্তি নিকেতনে যাওয়ার ইচ্ছে আমার নিজেরও খুব দাদা। জানিনা কবে এই ইচ্ছে পূরণ হবে। বৌদির পোষ্টে সাঁওতাল পল্লীর কিছু ছবি দেখে খুবই ভালো লেগেছিল। আজ আবার নতুন করে দেখলাম। একদম অন্যরকম একটা জীবন ধারা। মাটির গন্ধ টা যেন খুব কাছে থেকে পাওয়া যায়।
সাঁওতাল পল্লী ভ্রমণে গিয়ে সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছিল , সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছে । তোমার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দুর্দান্ত হয়েছে দাদা । সাঁওতালিদের বাড়িঘর গুলো দেখে খুব সুন্দর লাগলো। তাদের বাড়িঘর নির্মাণের কৌশল আমরা যেমন ধরনের বাড়িঘর তৈরি করে থাকি সেরকম না একটু অন্যধরনের। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।আজ নতুন কিছু দেখতে পেলাম তোমার ফটোগ্রাফিতে।

সাঁওতাল আদিবাসীদের জীবন সহজ সরল ও অতিথিপরায়ণ ,বিশেষ করে তারা খুবই পরিশ্রমী আর তাছাড়াও আমি নিজেই প্রমাণিত কারণ আমার গ্রামের চেম্বারের খুব কাছেই একটা সাঁওতাল পল্লী আছে ,বেশ কয়েকবার সেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল । তবে আপনাদের শান্তিনিকেতনের পর্ব গুলো অনেকটাই পড়েছি ,বিশেষ করে বৌদির পাঁচটা ছিল এবং আপনিও বিগত সময়ে একটা পর্ব শেয়ার করেছিলেন , সেটাও পড়ার আমার সৌভাগ্য হয়েছিল।
বাড়ির কারুকাজ গুলো মুগ্ধ করার মতো।তবে নিজেদের স্বার্থ সবার পরিবেশ আমরা সত্যিই নষ্ট করে ফেলছি।
এটা নির্মম সত্য দাদা, সভ্য ও শিক্ষিত শ্রেণীর মানুষরগুলোর এহেন কর্মকান্ডে এবং তাদের স্বার্থমন্ডিত আগ্রাসী মনোভাবের কারনে চারপাশের সবকিছুই দারুণভাবে পরিবর্তিত হতে বাধ্য হচ্ছে। সাঁওতাল পল্লীর গ্রামীন পরিবেশের আরো কিছু দৃশ্য দেখতে চাই।
সাঁওতাল পল্লীতে আপনি খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন দাদা। খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো আসলে দেখতে খুবই ভালো লাগছে। আর সাঁওতালদের ঘরগুলো দেখতেও কিন্তু খুবই ভালো লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে আপনি তো উপভোগ করেছেন আবার আমাদের উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
দাদা আপনি খুব দারুণ সময় কাটিয়েছেন পড়ে বুঝতে পারছি। আর দাদা আমিও বেশ কয়েক বছর আগে গিয়েছিলাম দিনাজপুর নবাবগঞ্জ শাল কাঠ বাগানে আর সেখানে বসবাস করে সাওতাল পরিবারের লোকজন ওদের দেখতে অনেকটাই চাকমাদের মত লাগে। আমার জীবনের প্রথম সাওতাল লোকজন দেখি কিন্তু ওদের সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। ধন্যবাদ দাদা।