চৌধুরী !! নাটকের রিভিউ
চৌধুরী নাটকের রিভিউ
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আবারো একটি বাংলা নাটককে রিভিও করার চেষ্টা করেছি ও আপনাদের সাথে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
বাংলা নাটক বাংলাদেশের সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয়। আজকে আমি অনেক দিন পর মোশারফ করিম ও শখের নাটক দেখলাম। আমি লাস্ট কবে এই দুইজনের নাটক দেখেছি আমার মনে নেই। আমার কাছে মোশারফ করিমের নাটক গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। যদিও এখন আগের মতো এত নাটক উনার দেখা যায়না। এখন অনেক বেশি আগ্রহ নিয়ে নাটক গুলো দেখি। প্রতিদিন একটা করে নাটক দেখার চেষ্টা করি ও রিভিও করার চেষ্টা করি। আজকে আমি চৌধুরী নাটকটি দেখলাম। আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো তাই নাটকের পুরো কাহিনী সুন্দর ভাবে নিজের মতো করে রিভিউ করার চেষ্টা করলাম।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | চৌধুরী |
---|---|
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
পরিচালক | মাইদুল রাকিব |
অভিনয়ে | মোশারফ করিম, আনিকা রহমান শখ, ফারুক আহমেদ, রিফাত চৌধুরী ও আরো অনেকেই। |
প্রকাশিত | ২১ এপ্রিল ২০২৩ |
সময় | ৪৪:১৫ মিনিট |
নাটকের বিবরণ |
---|
প্রথমে তাদের সম্পর্কে কিছু কথা বলে নেই তাহলে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে। তারা দুইজন হলেন স্বামী ও স্ত্রী। স্বামী হলেন একজন সফল ব্যাবসায়ী। তবে স্বামীর বংশ চকিদার আর এই চকিদার বংশ দেখে স্ত্রী তাকে নানান ভাবে নানান কথা বলে স্বামীকে ছোট করে। আর এই অপমান সহ্য করতে না পেরে ভন্ড উকিল ধরে অনেক টাকার বিনিময়ে বংশের নাম পরিবর্তন করে চোধুরী বংশ করতে চাই। এই নিয়েই নাটকের পুরো কাহিনী।
নাটকের মূল কাহিনী শুরু। |
---|
নাটকের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই স্বামী প্রতিদিন সকালে এক গামলা পান্তা ভাত , একটা ডিম ভাজি , পুরা মরিচ এগুলা নিয়ে খেতে বসে টেবিলে। আর এগুলো দেখে স্ত্রী রাগ করে অনেক গুলো কথা বলে। এটা তাদের নতুন কিছু না এগুলো শুনতে শুনতে স্বামী অভ্যস্ত হয়ে গেছে। স্ত্রী বলে এসব খাবার নাকি টেবিলের সাথে যায় না। তাই সে যখন টেবিল থেকে নিচে নামতে চাই তখনি বংশ নিয়ে কথা বলে। আর এতে স্বামী বেশ রাগ করে।
এরপর স্বামী রাগ করে ঘর থেকে বের হয়ে একটা চায়ের দোকানে গিয়ে বসে। সেখানে বসা ছিল এলাকার এক বড় ভাই। তার কাছে এসব কথা বললে সে তাকে বুদ্ধি দেয় যে কিছু টাকার বিনিময়ে তার বংশের নাম পরিবর্তন করার জন্য। সে আগেও কয়েকজনকে এই কাজে সাহায্য করেছে। এই কথা শুনে সে বেশ খুশি হয় ও বংশের নাম পরিবর্তন করে চোধুরী নাম করার আগ্রহ প্রকাশ করে।
তার পরদিন এলাকার বড় ভাইয়ের সাথে চলে যায় উকিলের কাছে সেখানে গিয়ে উকিলের সাথে বেশ কিছুক্ষন কথা বলে ও বেশ কিছু নিয়ম কানুনের কথা বলে দেয়। কয়েকদিন পর আবার গেলে তাকে অর্ধেক টাকা জমা দেয়ার কথা বলে ও একটা নির্দিষ্ট সময় দেয়া হয় যে তাকে এত তারিখে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার চকিদার বংশ থেকে চোধুরী বংশ হয়ে যাবে। তার যত কাগজ পত্র আছে ও যত জায়গায় তার নাম দেয়া আছে সেখান থেকে তার নামের পাশে চোধুরী লেখাটি যুক্ত হয়ে যাবে। এতে সে অনেক বেশি খুশি হয় ও আনন্দ প্রকাশ করে।
এরপর সে তার অফিসের ভিজিটিং কার্ডে নাম পরিবর্তন করে অফিসের সকল কে ডেকে এই ভিজিটিং কার্ড গুলো নতুন করে আবার দেয়। এবং সে বাসায় চৌধুরীদের মতো পোশাক পড়তে শুরু করে ও খাবার দাবার, কথাবার্তা, চালচলন সবকিছুতে এক রকম পরিবর্তন নিয়ে আসে কারন সে এখন আর চকিদার নেই। সে হচ্ছে এখন চৌধুরী সাহেব এখন তার সবকিছুতে চৌধুরী একটি ভাব প্রয়োজন। তাই সে এখন থেকেই প্র্যাকটিস করা শুরু করেছে।
এর কয়েকদিন পর একটি রেস্টুরেন্টে বসে তারা তিনজন একসাথে হয়। তখন একটি টাকার প্যাকেট উকিলের হাতে দিয়ে বলে এখানে দশ লক্ষ টাকা আছে। আপনি বলেছিলেন অর্ধেক টাকা এখন ও অর্ধেক টাকা কাজ হওয়ার আগের দিন দেয়ার জন্যে। তাই এখানে পুরো অর্ধেক টাকা আমি দিয়েছি বাকিটা সময় মতো পেয়ে যাবেন। টাকা হাতে পেয়ে উকিল বেশ খুশি মনে তাকে অনুষ্ঠানের দিন কি ভাবে কি হবে আর কি কি সে পাবে সবকিছু আরো ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলে। আর বলে অনুষ্ঠানের আগের দিন যেন বাকি অর্ধেক টাকা তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এর কয়েকদিন পর আবারো একটি রেস্টুরেন্টে তারা তিনজন একসাথে দেখা করে এবং বাকি অর্ধেক টাকা সেই উকিলের হাতে বুঝিয়ে দেয়। কারণ পরের দিনই তার বংশের নাম পরিবর্তন হয়ে চৌধুরী বংশের নাম হবে। তাই সে আনন্দে আনন্দিত হয়ে সকল টাকা উকিলের হাতে বুঝিয়ে দেয় ও আরও বেশ কিছু নিয়ম-কানুন জেনে নেয়। এখন সে অনেক খুশি কে আটকাবে তাকে চৌধুরী হওয়া থেকে।
পরের দিন সে উকিলের খুজে সেই অফিসে যায় এবং সেখানে আজ তার অনুষ্ঠান। তাই সে অনেক সুন্দর ভাবে পোশাক পরে সেই অফিসে যাই ও উকিলের খোঁজ করে কিন্তু সেখানে গিয়ে উকিলকে খুঁজে পাইনা। একজনকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে এই নামের কোন উকিলকে চিনে না। সে একটি অফিসার রুমে ঢুকে সেখানের একজন অফিসারের কাছে তার সবকিছু খুলে বলে। তখন সেই অফিসার তাকে বলে যে আপনি একজন ভন্ড প্রতারকের হাতে পড়েছেন যে কিনা আপনার টাকাগুলো মেরে দিয়েছে। আসলে এখানে এমন কোন কিছুই করা হয় না। আর ধ্বংস আসলে কোন বিষয় না নিজের কর্ম ও ভাল ব্যবহারই হচ্ছে তার আসল পরিচয়।
এরপর সে এলাকায় গিয়ে খোঁজ করে সেই বড় ভাইয়ের কিন্তু একজন জানায় যে সেই ভন্ড উকিল ও এলাকার বড় ভাই তারা ছিল শালা দুলাভাই আর এই দুইজন মিলে গত রাতেই চলে গেছে দুবাই। তখন তার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে তার টাকা মেরে দুই শালা দুলাভাই দুবাই চলে গেছে।
ব্যক্তিগত মতামত |
---|
বর্তমান সমাজে টাকা পয়সা হয়ে গেলে মানুষ তার অতীত ভুলে যায়। আর টাকা পয়সা হলেই যে তার বংশের নাম পরিবর্তন করে চোধুরী রাখতে হবে বিষয়টা আসলে তেমন না। এটা আসলেই সত্যি যে কে কোন বংশ এটা আসলে মুখ্য বিষয় না, মূল বিষয় হলো একটা মানুষের সততা , দক্ষতা , পরিশ্রম , ভালো ব্যবহার ও ভালো মনমানুষিকতা। আসলে আমরা এই নাটক থেকে এটা শিক্ষা নিতে পারি যে টাকা দিয়ে সব কিছু করা যায়না। নিজের ভিতরের ময়লা পরিষ্কার করতে কোনো টাকা খরচ করা লাগে না। নিজেকে পরিবর্তন করলেই এখানে সকলের কাছ থেকে ভালো উপহার পাওয়া সম্ভব।
নাটকটির ইউটিউব লিংক |
---|
খুব চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপু। যদিও এই নাটকটির আগে কখনো দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো।আর খুব শীঘ্রই নাটকটি দেখে নেব ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপনি। চৌধুরী" নাটকের রিভিউটি পড়ে সত্যি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ধরনের নাটক গুলো দেখার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারি। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখে নিবো। দারুন একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আমিও প্রতিদিন একটি করে নাটক দেখার চেষ্টা করি। তবে আজকের নাটকটি আমার দেখা হয়নি। যদিও মোশারফ করিমের নাটক আমার ভালই লাগে। নাটকের বেশ সুন্দর একটি রিভিউ করেছেন আপু। দেখার ইচ্ছা রইল।
মোশাররফ করিমের নাকট গুলো বেশ ভালোই লাগে আমার ৷ ওনার নাটক গুলো আমি সময় পেলে ই দেখার চেষ্টা করি ৷ তবে এই নাটকটি আমার দেখা হয়নি ৷ আপনার রিভিউ পড়ে বেশ ভালোই মনে হলো ৷ সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
মোশারফ করিমের নাটক মানেই বিনোদনে ভরপুর।আপনার করা নাটকের রিভিউ পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে আপু।আপনি খুব সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ সাজিয়েছেন।এটা দেখে যে কোনো নাটক দেখার আগ্রহ এমনিতেই অনেকটা বেড়ে যাবে সবার।আমারও আগ্রহ বেড়ে গেল নাটকটি দেখার।ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
রিভিউ টা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আর আলাদা করে দেখতে হবে না। পড়েই বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে গেলো।তবে আরেকটু স্পয়েলার ফ্রী হলে আরেকটু ভালো লাগতো। এটা একদমই ঠিক যে পয়সা হলে মানুষ কোথা থেকে উঠে এসেছে সেটাই ভুলে যায়। যেটা মোটেই উচিত না। আমরা শিকড় ভুলে গেলেই আমাদের সমস্যা।
এই নাটকটি আমি দেখেছি। শিক্ষা মূলক ও সামাজিক একটি নাটক। নিজের নামের পদবি চেন্স করতে গিয়ে অনেক টাকা ধরা খায়। তার পরে মোশাররফ করিম এবং তার ওয়াইফ ভুল বুঝতে পারে।