আমার বাগানের নতুন সদস্য
নমস্কার সবাইকে,
আমার বাংলা ব্লগ এর সকল সদস্যদের জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলেই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি ঈশ্বরের কৃপায়।
আসলে সত্যি বলতে বাগান করা আমার অনেক পছন্দ। ছোট থেকেই আমি আমার টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে অনেক ধরনের ফুলের গাছ কিনে এনে আমার বাগান সাজাতাম। অভ্যাসটা এখনো পরিবর্তন হয়নি।
এর আগের একটা পোস্ট এ আমি আমার শখের বাগানের কিছু ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম।
আর আজ আমি আমার বাগানের নতুন কিছু সদস্য যুক্ত হয়েছে সেগুলো আপনাদের সংগে পরিচয় করিয়ে দিবো।
আমার শখের বাগান
ফুলের গাছের সঙ্গে এইবার কিছু সবজিও লাগিয়েছি। আসলে সকল ধরনের গাছ লাগাতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ফ্রি সময় যেটুকু পাই তা আমি গাছ এর পরিচর্যার কাজে লাগাই।
একে একে আমার বাগানের নতুন সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দিবো এখন।
আমার বাগান এর নতুন সদস্যঃ
এইগাছ টার নাম এ্যালোভেরা।
অনেক ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছ এটা।
এটা বেগুন গাছ।
বেগুন কিন্তু আমরা প্রায় সবাই চিনি। অনেক ধরনের রান্নায় বেগুন ব্যবহার হয়। বেশ সাদের সবজি বেগুন।
ক্রিসমাস ট্রি এ গাছটার নাম।
এটা এক ধরনের পাতাবাহার গাছ। ঘরের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য আমরা এই গাছ রেখে থাকি।
নাম না জানা একটা ফুল গাছ এটা।
অনেক সুন্দর ফুল হয় এই গাছ এ। হলুদ কালার এর ফুল হয় এই গাছে।
এটা লিলি ফুলের গাছ।
মার্চ এবং এপ্রিল মাসে এই ফুল ফোটে। দেখতে বেশ সুন্দর লাল কালারের হয়ে থাকে।
মিষ্টি কুমড়ার গাছ এটা।
এই গাছ টা আমি বিজ থেকে করেছি। অল্প সময়ে গাছ টা বেশ বড় হয়ে গিয়েছে।
এটা বারোমাসি মরিচের গাছ।
একটা কাজে আমি গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ীতে গিয়েছিলাম সেখানে এক নার্সারি থেকে এই গাছের চারা টা নিয়ে আসি। বেশ ভালো লেগে উঠেছে গাছগুলো।
এটা মোরগ জবা ফুলের গাছ।
এটাও আমি বিজ থেকে করেছি। লাল হলুদ কালারের ফুল হয়ে থাকে এই গাছে। দেখতে ঠিক মোরগের মাথার ফুল এর মতো। যার কারণে এই গাছ কে আমরা মোরগ জবা বলেই চিনি।
এটা লেমন গ্রাস।
এই পাতার অনেক সুঘ্রাণ। বিশেষ করে এই পাতা আমরা রং চা তে ব্যবহার করে থাকি। এতে চা এর টেস্ট অনেকটা পালটে যায়। এই গাছ এর পাতা কিন্তু স্যুপ এও ব্যবহার করে থাকি আমরা। বড় বড় রেস্টুরেন্টে খেয়াল করবেন স্যুপের মধ্যে এক ধরনের পাতা থাকে এটাই সেই পাতা।
এই ফুল গাছটার নাম মনে নেই।
সাদা এবং পিংক কালার এর হয়ে থাকে এই ফুল। দেখতে বেশ সুন্দর।
এটা সন্ধ্যামালতী ফুলের গাছ।
এই ফুল ঠিক সন্ধ্যাই ফোটে। কয়েকটা কালার হয় এই ফুলের। হলুদ, সাদা, গোলাপি, ইত্যাদি।
এটা কাকরোল এর গাছ।
অনেক সাদ এর সবজি এটা। অনেকেই পছন্দ করে না এই সবজি। কিন্তু এটার ভাজি আমার খুব ভালো লাগে।১ মাস হয়েছে গাছ এর বয়স। গাছ এ ফুল ও ফল এসেছে।অনেক আনন্দ লাগছে। প্রথম লাগিয়েছি এটা। ভাবতেও পারি নি যে এতো তাড়াতাড়ি ফল আসবে।
এটা চাল কুমড়া গাছ।
আসলে নার্সারি থেকে আমাকে বলেছে এটা শসার গাছ আমি শসা গাছ মনে করে লাগিয়েছি। কিন্তু বড় হওয়ার পর বুঝতে পারলাম এটা চাল কুমড়ার গাছ। ভালোই লাগছে কারণ এই গাছ এও ফুল এসেছে।
এটা মে ফুল।
বছরে এক বারি এই ফুল আসে। তা আবার শুধু মে মাস এই। ফুলটা দেখতে অনেক সুন্দর। সারা বছর এই গাছ এ কিছু থাকে না শুধু কয়েকটা পাতা ছাড়া।
অনেক কাঙ্খিত ফুল এটা। অনেক আশায় ছিলাম ফুল কেন আসে না ফুল কেন আসে না বলতে বলতে মে মাসের একদম শেষ পর্যায়ে এসে ফুলটা এসেছে।
এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আশা করছি সবার ভালো লেগেছে।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
বিষয় | আমার বাগানের নতুন সদস্য |
---|---|
ফটো ক্রেডিট | @amitroy |
ডিভাইস | রেডমি নোট ৮ প্রো |
লোকেশন | মিরপুর -১২, ঢাকা। |
এই রকম একটি বাগান থাকলে ফ্রী সময় কেন অন্য যেকোনো সময়ে পরিচর্যা করা যায়। আপনার বাগানে তো দেখছি আপনি অনেক ধরনের গাছ লাগিয়েছেন ।প্রত্যেকটা গাছই অনেক সুন্দর ছিল । কুমড়া গাছগুলো খুব সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছে। রেইনলিলি ফুল গাছের ফুল গুলো অনেক সুন্দর লাগে। আর যে সাদা ও পিঙ্ক ফুলটি হয় সেই ফুল গাছের নাম সম্ভবত দোপাতি। বিভিন্ন ফুল ও অন্যান্য আরো গাছ লাগিয়েছেন। প্রত্যেকটা গাছই সুন্দরভাবে বেড়ে উঠেছে মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপু নাম না জানা গাছের নাম বলে দেয়ার জন্য। হ্যা আপু সবগুলো গাছ অনেক সুন্দর ভালে বেড়ে উঠেছে। ঠিক বলেছেন বাগান থাকলে সব সময়ই পরিচর্যা করা যায়। অনেক শখের বাগান আমার। আমি যখন বগুড়ায় ছিলাম তখনও বাগান করতাম। আমার বাড়িতে এখন অনেক গাছ যেগুলা বাবা দেখা শোনা করেন।
আমারো ছোট একটা বাগান রয়েছে আর গাছগুলোর পরিচর্যা করতে দারুন লাগে। আপনার গাছের ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি ভীষন যত্ন করেন ওদের। এটা ভীষণ ভালো একটি কাজ। ধন্যবাদ ভাই আপনার গাছগুলোর সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।
আপনিও বাগান করেন শুনে খুব ভালো লাগলো। বাগান আসলে মনের প্রশান্তি যোগায়। আজকের গাছ গুলো আমার বাগান এর নতুন সদস্য। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এতো সুন্দর করে বলার জন্য।