পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। ভালো সময় গুলো খুব দ্রুত অতিবাহিত হয়ে যায় এবং এই বিষয়গুলো আমরা সব সময় অনুধাবন করে থাকি। এই যেমন ঈদ আসলো আবার চলেও গেল। কিন্তু ঈদে কাটানো মুহূর্ত গুলা অনেক ভালোই ছিল এবং সেটা তাড়াতাড়ি অতিবাহিত হয়ে গেছে। এই ঈদে কাটানোর কিছু সুন্দর সুন্দর অনুভূতি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
ঈদুল আযহা মুসলমানদের জন্য বড় ঈদ এবং এই ঈদে নানান ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ রয়েছে। যে সবের মাধ্যমে আমরা আনন্দ পেয়ে থাকি। সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে কোরবানি দেওয়া। যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা সেটা দিতে পারে এবং যাদের সামর্থ্য নেই তাদেরকেও এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হয় না। তবে ঈদ আনন্দের আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। যেমন আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজখবর নেওয়া, তাদের বাসায় বেড়াতে যাওয়া এবং তাদের সাথে ভালো মন্দ কথা বলা। এছাড়াও ছোটদেরকে স্নেহ করা বড়দের কে সম্মান করা এগুলো তো রয়েছেই। সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে ছোটদেরকে সালামি দেওয়া, এই সালামির বিষয়টা অনেকটাই আনন্দময়।
ঈদের দিনে এবার সারাটা দিন কাজ করতে হয়েছে এবং কাজ শেষে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের বাসায় গিয়ে তাদের প্রাপ্য টুকু দিয়ে আসা হয়েছে অর্থাৎ আত্মীয় স্বজনদের খোঁজখবর নেওয়া এবং তাদের জন্য কিছু উপহার পাঠানো।সব মিলিয়ে অনেকটা ব্যস্ত সময় পার হয়েছে ঈদের দিন। তবে ঈদের দিনে নামাজ পড়তে যাওয়ার মধ্যে আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করে। যদিও আকাশ অনেক মেঘলা ছিল তারপরও ঈদগা মাঠে আমরা নামাজ আদায় করেছি। ঈদের দিন রাতেই মেজো মামা আম্মুকে ফোন দিয়েছিল এবং তাদের বাসায় যাওয়ার পাওয়ার জন্য দাওয়াত দিয়েছিল। তাই ঈদের পরের দিন দুপুর বেলায় মামার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাই। একটি বিষয় বলে রাখি আমাদের যত আত্মীয়স্বজন রয়েছে তাদের সকলের বাসা নীলফামারী সদরের মধ্যেই অবস্থি।ত অর্থাৎ আমার নানুর বাসাও আমার বাসা থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের দূরত্বে।
সেখানে গিয়ে সকলের সাথে কুশল বিনিময় হয়েছিল এবং আমাদের মামা এবং কাছের আত্মীয় স্বজন ছিল সবাইকেই সেই মেজো মামা দাওয়াত দিয়েছিল। তাই সকলে মিলে একত্রিত হয়েছিলাম এবং অনেক গল্প গুজব এবং আড্ডা হয়েছিল। সত্যিই এই বিষয়গুলো অনেকটাই মিস করি। আগে ঈদের সময় আম্মু এই কাজটি করত। সবাইকে একত্রিত দাওয়াত করে সকলে মিলে আড্ডা দিতাম এবং বিকেল বেলা কোথাও ঘুরতে যেতাম। বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে নীলসাগর এবং নীলফামারীর আরো বেশ কিছু জায়গা রয়েছে। যেগুলোতে আমরা ঘুরতে যেতাম এবং সময় অতিবাহিত করতাম। এইতো এর আগের ঈদও ঠিক এমনটাই হয়েছিল।
তবে সেই মেজো মামার বাসায় যাওয়ার পরে সেখান থেকেই আমরা বিকেলবেলা ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। তবে এবার বেশি একটা জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হয়নি। নীলফামারীর বড় মাঠে গিয়েই আমরা সবাই মিলে আড্ডা দিয়েছি এবং অনেক চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছি। নীলফামারীর বড় মাঠে অনেকটা মেলার মত হয়েছে সেখানে চারিদিকে চটপটির দোকান এবং বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়ার দোকান ছিল। সেখান থেকে কিছু কিনে সবাই মিলে একসাথে বসে খেয়েছি, কিছু ফটোগ্রাফিও করেছি এবং সব মিলিয়ে অনেক চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছি। যদিও এই ঈদে আমিও ব্যক্তিগতভাবে কোথাও ঘুরতে যাইনি।
আগে ঈদের দিনে বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা হতো কিন্তু এখন কেন জানি সেই আড্ডাটাও আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে গেছে। এবার খুব একটা বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা হয়নি। অনেকেই বাসায় আসেনি। আবার অনেকেই বিয়ে করে নিজের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত, সব মিলিয়ে ফ্রেন্ড সার্কেল একদম নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও মহান আল্লাহতালার কাছে অশেষ অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরাও এবার অনেক ভালোভাবেই ঈদ উদযাপন করতে পেরেছি। ঈদ মানেই আনন্দ আর আমার ঈদ মানেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম খাওয়া-দাওয়া আর ঘুম হাহাহা।। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
খুব সুন্দর করে আপনি আমাদের মাঝে ঈদের তাৎপর্য তুলে ধরেছেন। আপনার আজকের পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনি কিন্তু অনেক সুন্দর করে আপনাদের আনন্দঘন সময়টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আত্মীয়স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টিও খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
ঈদ মানে অন্যরকমের অনুভূতি। সবার সাথে সময় কাটাতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর নীল জামা পড়া মেয়েটিকে কিন্তু বেশ চেনা চেনা লাগছে। তবে সবাইকে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগছে ভাইয়া। সবাই মিলে দারুন মূহূর্ত কাটিয়েছেন। সুন্দর মুহূর্তগুলো সবার মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভালো সময় গুলো খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়। এই যেমন সবাই ঈদের অপেক্ষায় বসে ছিল আর ঈদ এসে আবার চলেও গিয়েছে। কিন্তু সবার মাঝে রেখে গিয়েছে সুন্দর মুহূর্তের স্মৃতি গুলো। আপনি পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ এত সুন্দর ভাবে ভাগ করে নিয়েছেন জেনে খুশি হলাম। একেকজন ঈদ একেক ভাবে উদযাপন করে। এই ঈদে সবাই সারাদিন খুব ব্যস্ত থাকে যার জন্য সেদিন কোথাও যাওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু পরের দিন থেকে ভালোই ঘোরাঘুরি চলে। আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় পার করেছেন তা ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যায় আর সেজন্যই আগের মতো ঈদের দিন বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা দেওয়া হয় না। আপনার মতো আমার কাছেও বর্তমানের ঈদ মানে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া আর ঘুম।
ঠিক বলেছেন আপু, একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে কিন্তু থেকে যাবে এসব মূহুর্ত।
আসলেই ভাই ভালো সময়গুলো খুব তাড়াতাড়ি অতিবাহিত হয়ে যায়। যাইহোক এবারের ঈদে তো দেখছি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। আত্মীয় স্বজনদের সাথে এভাবে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার নানুর বাসা আপনাদের বাসা থেকে একেবারে কাছে বলে, সবার সাথে খুব সহজেই কুশল বিনিময় করতে পেরেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা ভাই, সময়টা বেশ উপভোগ করেছি।
পরিবারের সকলের সাথে একসাথে মিলে ঈদে দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন! আর আত্নীয় পরিজনদের বাসা কাছাকাছি হলে বেশ সুবিধা আছে, চাইলেই সকলে মিলে একত্রিত হওয়া যায় সুবিধামতো। যেটা দূরে থাকলে সম্ভব না। আমরা যারা ঢাকায় পরিবার থেকে দূরে থাকি, তারা এই বিষয় টি ভালোভাবেই ফীল করি! আপনাদের কাটানো দারুণ মুহুর্ত গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার পুরো পরিবারের জন্যই শুভকামনা রইলো।
এই তো সময় এসে গেছে আপু, আবারো ঢাকায় ফিরতে হবে।
পরিবারের সকলের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলে এত বেশি আনন্দ পাওয়া যায় যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এই আনন্দ পরম তৃপ্তির। সেদিনের সময় গুলো সত্যিই দারুণ কেটেছে মনে রাখার মত। 💕