শীতকালে পা গরম করার উপায়।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, শীতকালে পা গরম করার উপায় এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ষড়ঋতুর মধ্যে শীতকাল অন্যতম। পৌষ এবং মাঘ এই দুই মাস মাস শীতকাল। শীতকাল অনেকের খুব পছন্দের। শীতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই দুর্দান্ত হয়ে থাকে। শীতকালে প্রচুর পরিমাণ নানা রকমের শাকসবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। মানুষের নিকট শীতকাল পছন্দের অন্যতম কারণ হলো শীতের সময় নবান্ন উৎসব হয়ে থাকে। যা নতুন ধানের নানা রকম বৈচিত্রময় বাহারি রকমের পিঠা খাওয়ার সুযোগ হয়ে থাকে। শীতের সকালে গরম গরম নানা রকমের পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া শীতে কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। শীতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে।
বিশেষ করে শীতের সকালে কুয়াশা ভেজা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই দুর্দান্ত হয়ে থাকে। শীতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন মানুষকে আনন্দ দেয় ঠিক তেমনি শীতের ঠান্ডা প্রকৃতি মানুষকে কষ্ট দিয়ে থাকে। শীতের সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ে। এতে করে শিশু এবং বয়স্ক লোকদের বেশ কষ্ট হয়ে থাকে। শীতের সময় তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। শীতের তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়। এতে করে নানা রকম রোগ দেখা দেয় মানবদেহে। বিশেষ করে ব্যাপক হারে শীতজনিত রোগ দেখা দেয়। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, টনসিলাইটিস, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ অনেক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
শিশু এবং বয়স্ক মানুষ অসুস্থতা বেশ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত শীতের সময় ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা গুলো বেশ দেখা যায়। কাশি, অ্যাজমার প্রকোপ বেড়ে যায়। ঠান্ডার মধ্যে না থেকে গরমের মধ্যে থাকলে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে এসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শীতকালে আরেকটা ব্যাপক সমস্যা অনেকের দেখা দেয় তা হলো শীতের সময় পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। বেশির মানুষের এই সমস্যাটা রাত্রে বেলায় দেখা দেয়। অনেকের জন্য এই বিষয়টা খুবই অস্বস্তিকর এবং কষ্টের বিষয়। পা অতিরিক্ত ঠান্ডা হওয়ার কারণে অনেকের রাতে ঘুমাতে পারে না।
পা অতিরিক্ত ঠান্ডা হওয়ার কারণে পা বেশ ব্যথা হয়। পা ঠান্ডা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পায়ের মোজা, কাঁথা, কম্বল মুড়িয়ে রাখে তবু গরম হয় না। মনে হয় যেন পা বরফের পানিতে ভিজিয়ে রেখেছে। রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে যায়, তবু পা গরম হয় না। এই বিষয়টা সত্যি খুব কষ্টের। শীতে ঠাণ্ডার কারণে পায়ের রক্তনালি সংকুচিত হয়। ফলে শরীরের পায়ের অংশে রক্তপ্রবাহ অনেকটাই কমে যায়। এ কারণে শরীরের পায়ের অংশে ঠাণ্ডার অনুভূতি বেশি থাকে। পা সহজে গরম হতে চায় না। আমাদের পা গরম রাখার উপায় জানতে হবে। হাত-পা গরম রাখার উপায় গুলো হলো:-
ভালো মানের কাপড়ের মোজা ব্যবহার করা। রাতে ভালো করে পায়ে সরিষার তেল মাখা। তেল মালিশ করার ফলে পায়ে রক্তপ্রবাহ বাড়বে। শরীরেই রক্ত সঞ্চালন বাড়ার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। শরীরচর্চার প্রতি আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা হলে হাত-পায়ে হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন সেঁক দিতে হবে। এই বিষয়টা আমাদের খুবই লক্ষ্য রাখতে হবে। বাজারে অনেক ধরনের হিটিং প্যাড হয়েছে। হিটিং প্যাড ব্যবহার করা ফলে পা তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যাবে। শরীরে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে পা অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে যায়। তার জন্য রক্ত প্রবাহ বাড়াতে আয়রন যুক্ত খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে সবুজ সতেজ শাকসবজি, মাছ খেতে হবে। এই বিষয় গুলো মেনে চললে আশা করি শীতকালে পা তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যাবে।
নৌ
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/MdAgim17/status/1873817980062322880?t=5KKA8IU9tadnRw3XleD3Hw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাই শীত আমাদের দেশের বর্তমান সময় খুব বেশি পড়ে না। আর পড়লেও সেই প্রচন্ড শীত নেই আর। তবে তারপরও আমাদেরকে শীতের জন্য বেশ সাবধান থাকতে হয় বিশেষ করে বাচ্চাদেরকে বেশি রাখতে হয়। গরম কাপড় পড়ে ঠান্ডা থেকে বাচা সম্ভব।
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন। ঠান্ডার সময় টা আমাদের কাছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো লাগে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ অসহ্য নেয়া হয়ে ওঠে। বিভিন্ন রকমের সর্দি কাশি জ্বর ইত্যাদি লেগে থাকে। আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়লে হাত-পা ব্যথা হয়। তবে এই মুহূর্তগুলো আমাদের বুঝে শুনে চলতে হবে এবং পরিবারের অন্যান্য মানুষদেরকে সুস্থ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
শীতকালে পা ঠান্ডা হয়ে গেলে খুব সহজে ঘুম আসতে চায়না। একথা আপনি একদম ঠিক বলেছেন। আর সেক্ষেত্রে আপনি খুব সুন্দর করে পা গরম করার প্রসেস গুলি বলে দিলেন। শীতকালে পাই মোজা করাটা খুব প্রয়োজন। যদিও অনেকে বলে মোজা করে শুনে শরীর গরম হয়। তাই কম্বলে ঢুকে গেলে মোজা খুলে ফেলা উচিত। আবার সকালে উঠে মোজা পরে নিলে পা গরম হয়ে যাবে।
এই বিষয়টা আমিও লক্ষ্য করেছি যখন রাতে ঘুমোতে যাই তখন খুব সহজে পা গরম হয় না। দেখা যাচ্ছে ২ ঘন্টা হয়ে গিয়েছে কম্বল এর নিচে থাকতে থাকতে নিজের গা গরম হয়ে গিয়েছে কিন্তু পা আগের মতই ঠান্ডা। হ্যাঁ পায়ে যদি ভালোভাবে তেল দিয়ে মালিশ করা যায় সে ক্ষেত্রে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় তখন দ্রুত পা গরম হয়ে যায়।