এবিবি ফান প্রশ্ন- ৩৬০ || বৃষ্টির দিনে অফিস ফাঁকি দেয়ার জন্য কি কি অজুহাত দেয়া যায়? by abb-fun
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।
আজকের প্রশ্নঃ
বৃষ্টির দিনে অফিস ফাঁকি দেয়ার জন্য কি কি অজুহাত দেয়া যায়?
প্রশ্নকারীঃ
প্রশ্নকারীর অভিমতঃ
আপনাদের মতামত জানতে আগ্রহী।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
বৃষ্টির দিনে অফিস ফাঁকি দেয়ার জন্য যে যে অজুহাত দেয়া যায়--
1.রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ, বৃষ্টির জলে পরিপূর্ণ।
2.একটাও যানবাহন চলাচল করছে না বাড়ির সামনে দিয়ে।
3.বাড়িতে ছাতা নেই,যেটা ছিল ভেঙে গেছে।
4.আমি নিজে সশরীরে তো যেতে পারবো-ই না আর নেটের অবস্থা বেহাল তাই ঘরে বসে অনলাইনেও কাজ করা সম্ভব নয়।বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে, স্যার। ☺️☺️
আপু আপনি তো দেখছি স্বশরীরে যাওয়া তো দূরের কথা অনলাইনেও কাজ করতে পারবেন না। বেশ ভালো কিন্তু বলেছেন। সব ঝামেলা একবারে শেষ।
🤣🤣
আপু ,অজুহাত মানে অজুহাত।কোথাও কাজ করা যাবে না তখন।☺️☺️
বাহ! চমৎকার সব অজুহাত।
অজুহাত বলে কথা ভাইয়া☺️.
এতগুলো সমস্যা একসাথে দেখালে তখন বস বলবে আমার ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করে দেন 😂
☺️☺️.
ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের ঘরের টিনের ছাদে গাছ ভেঙে পড়ে ঘর ভেঙে গেছে। এ অবস্থা অফিসে আসা সম্ভব হচ্ছে না। ঘরের সবাই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে, তাদের একটা বন্দবস্ত করা ছাড়া আমি আসতে পারছিনা বস। 🫣🫣🫣🫣😁😁
অফিসে না যাওয়ার জন্য অজুহাত দেখিয়ে ঘরটাও ভেঙে ফেললেন 😁 অনেক মজা লাগলো আপনার উত্তরটা পড়ে।
হাতের নিচে রসুন রেখে জ্বর আনতে হবে।তারপর ভিডিও কল দিয়ে থার্মমিটারে জ্বর মেপে দেখালেই সমস্যার সমাধান।
হাহাহা!! দারুণ একটা আইডিয়া দিলেন আপু 😂😂
বাহ সত্যিই আপু, বুদ্ধি বেশ জটিল।
হাতের নিচে রসুন রাখলে জ্বর হয় শুনেছি, এই ঘটনাটা কি সত্যি নাকি আপু?
এখন হাইব্রিড রসুন কাজ করে না আগের মত।
বেশ সুন্দর বুদ্ধি করেছেন হাতের নিচেও রসুন দিয়ে জ্বর আনা ব্যাপারটা কিন্তু বেশ জমবে। আপনার বুদ্ধির জবাব নেই।
এমনটা করলে তো আপনার বস পাক্কা এক সপ্তাহের ছুটি দিয়ে দেবে।
হাতের নিচে রসুন রাখলে জ্বর আসে সেটা আগে জানতাম না আজকে জানা হয়ে গেলো। ভিডিও কলে ডাইরেক্ট জ্বর মেপে দেখালে তো বেশ ভালই হবে ছুটি খুব দ্রুত হয়ে যাবে 🤠
স্যার, ভারী বর্ষণ এবং বজ্রপাতে চারপাশের পরিস্থিতি একেবারে অস্বাভাবিক। বাসা বাড়ির সব তলিয়ে যাচ্ছে। তাই জীবন রক্ষার্থে পরিবার পরিজনকে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র চলে এসেছি। তাই স্যার, দয়া করে ছুটি মার্জনীয়।
তখন দেখা গেল আপনার অফিসের স্যার, অফিসের অন্যান্য লোকজন নিয়ে সেই আশ্রয় কেন্দ্রেই চলে আসলো এবং সেখানে বসেই অফিসের কার্যক্রম চালালো। 🤭🤭 পরিস্থিতি যাই হোক, অফিস মিস করা যাবে না। 😁😁
জি ভাই, কি আর করার দেহে প্রাণ থাকা পর্যন্ত অফিস করে যেতে হবে। অফিস না করার কোন সুযোগ নেই।
জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য টাকার প্রয়োজন আর টাকা ইনকামের জন্য অফিস তো করে যেতেই হবে ভাই দেহে প্রাণ থাকা পর্যন্ত।
আচ্ছা ভাই অজুহাত দেখানোর জন্য বাড়িতেই কি আশ্রয় কেন্দ্র বানিয়ে নিয়েছেন নাকি 🤔
একদম সহজ উপায় আছে, আমার এক কাকা সদর হাসপাতালে চাকরি করে,। আমার নামে ১০ টাকা দিয়ে ইমারজেন্সি একটি টিকেট কাটিয়ে রাখবো। সেই প্রেসক্রিপশনে জানাশোনা এক ফার্মেসি থেকে অতিরিক্ত শরীর খারাপের কিছু ওষুধ লিখে নিব।সাইট দিয়ে ১০৬ ডিগ্রি জ্বর, আর প্রেসার একেবারে লো যে মাত্রা আছে সেটা লিখে রাখবো। তারপর ২দিন অফিস বন্ধ করে, তিন দিনের মাথায় অফিস যাব। অফিস বন্ধ করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে প্রেসক্রিপশনটা অফিসের বসের হাতে তুলে দিবো। 🤣🤣🤣😂😂।
বৃষ্টির দিনে অফিসের বসকে ফোন করে বলবো যে, বস আপনাকে নিয়ে একটা দুঃস্বপ্ন দেখেছি তাই এই বৃষ্টির দিনে বের হবেন না, আপনার বিপদ হতে পারে। বস এই কথা শুনে ভয় পেয়ে আর অফিসে আসবে না । আর বস যখন অফিসে আসবেনা তখন সবারই ছুটি হয়ে যাবে। হিহি..এই ভাবে হয়ে যাবে সেদিন অফিস ফাঁকি দেওয়া।
ওয়াও দাদা আপনার উত্তরে তো বেশ লজিক আছে। এত ভয় দেখালে বস আসলেই অফিসে ভয়ে আসবে না।
হেহেহে..🤭🤭 তাহলে তো ভালো ভাই, লজিকে ভয় পেলে কোন সমস্যা নেই।
স্যার, প্রচন্ড বাইরে ঝড় বাতাস হচ্ছে এবং পানিতে পুরা রুম ব্লক হয়ে গেছে।রুমের দরজা খুললেই পানি সব রুমের ভিতর ঢুকে পড়বে? এখন কি করবেন আপনি দেখেন, আমি কি আসবো না আসবো না ? 🤣🤣🤣
স্যার যদি বলে, যেভাবে হোক অফিসে চলে আসেন তখন কেমন লাগবে ভাই? 😄
আপনি তো দেখছি ভালোই অজুহাত বানাতে পারেন ভাইয়া। পানি যদি প্রবেশ করারই হয় তাহলে দরকার নিচ দিয়েই পানি প্রবেশ করবে।🤣🤣
বস বলবে, সমস্যা নাই আপনি ভিজা কাপড়েই অফিসে আসুন, অফিসে আসলে ড্রেস চেঞ্জের ব্যবস্থা রাখবো। 🥴
খুবই সুন্দর একটা অজুহাত দেখিয়েছেন দেখছি ভাইয়া।
আমি কিন্তু কোন অজুহাত দিবো না। আমি আমার অফিসের বস কে দাওয়াত করবো। বলবো স্যার এমন বৃষ্টির মধ্যে মনে হলো একটু খিচুড়ি রান্না করি। আর আপনি যদি আমাদের গেস্ট হন তাহলে কিন্তু মন্দ হয় না। আপনার তো গাড়ী আছে চট করে চলে আসেন তো দেখি। হি হি হি ।
বস বলবে, ঠিক আছে আপনি খিচুড়ি পার্সেল নিয়ে অফিসে আসেন। আজকে আপনার খিচুড়ি দিয়ে লাঞ্চ করব, আপনি অফিসে আসুন আমি অপেক্ষা রইলাম।
আরে না রে ভাই, বস তখন পুরো অফিস নিয়ে বাসায় চলে আসবে।
স্যার আমার বউ বাসার ছাদে কাপড় আনতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিল। তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি, ডাক্তার বলেছে আপনার বউয়ের কোমরের হাড় ফেটে গিয়েছে।
এ কথা যেন আপনার মন জানতে না পারে জানতে পারলে মনে করবে তাকে আপনি ফেলে দিতে চাচ্ছেন।
বস সাজুগুজু করে বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম ঠিকই,কিন্তু রাস্তায় পিছলা খেয়ে পড়ে গিয়ে কোমর ভেঙে গিয়েছে, তাই এখন হাসপাতালে ভর্তি। সেজন্য কয়েকদিন অফিসে যেতে পারবো না। হসপিটালের খরচ এবং সংসার খরচ বাবদ কিছু টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েন🤣🤣। বস এটা শুনে অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে 🤣🤣।