আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -৪১
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
পাড়ার ক্রিকেট নিয়ে মজার কোন কৌতুক বা হাসির অনু গল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
অনুগল্প:
আমি তখন একদম ছোট নই।অনেকদিন পর মাসির ছেলে বেড়াতে এসেছে।বয়সে সে আমার থেকে বড়। তাই মাসির ছেলের সঙ্গে ব্যাট ও বল নিয়ে ক্রিকেট খেলতে লেগে পড়লাম বাড়ির উঠানে।খেলার আগে টস করা হলো ,আমি বলিং এ।তো ঠিকঠাকভাবেই আমি বল করলাম।কিন্তু যখন আমার ব্যাট করার পালা এলো তখন আমার মাসির ছেলে বল করতে লাগলো।দুই তিনটি বল করার পর এমন জোরে বল ছুড়ে মারলো যে সোজা আমার বাম চোখে এসে লাগলো।বলটি ছিল প্রচন্ড শক্ত রবার ডিউসের।আমি ধপাস করে বসে পড়লাম মাটিতে আর কান্না করতে লাগলাম।বাড়ির সবাই ছুটে আসলো তারপর তো কোনো কিছু করেই চোখ থেকে জল পড়া বন্ধ হয় না।চোখ খুলতেই পারছি না ,তার উপর আবার যেমন ব্যথা তেমনি জল ঝরে পড়ছে অঝরে।চোখের নিচে বেশ ফুলে গেল,বিকেলের কয়েক ফোঁটা হোমিওপ্যাথি ঔষুধ খেলাম।দুই-তিনদিন টানা চোখের যন্ত্রনায় ভুগলাম,তখনই ভাবলাম এখন বড় হয়ে গেছি।তাই ক্রিকেট খেলাকে সারাজীবনের মতো ছুটি দিয়ে দিলাম।
ছোটবেলায় ব্যাট বল খেলা নিয়ে ছেলেপেলেদের আসলে এত পরিমাণে মেরেছি যে, এখন সেই শাস্তি যদি কাউন্ট করা হয় তাহলে কমপক্ষে তিন চার বছরের জেল হয়ে যাওয়া কথা আমার। আসলে ব্যাট বল খেলায় মাতব্বরি সবসময় আমার থাকতো। যেহেতু আমাদের জায়গায় সব সময় ব্যাট বল খেলা হত। আসলে আমাদের একটা বড় বাঁশ বাগান ছিল, সেই জায়গা পরিষ্কার করে সেখানে ব্যাট বল খেলতাম। ব্যাট আমার থাকতো, বলও আমার থাকতো, শুধুমাত্র গ্রামের ছেলেপেলেরা খেলতে আসতো। যাই হোক আমাদের গ্রাম এবং অন্য একটা গ্রামের মাঝখান দিয়ে ছোট একটা খালের মত ছিল। আমরা সবসময় টুনামেন্ট খেলতাম খালের এপার এবং ওপার। আর কাপ তৈরি করতাম মাটি দিয়ে। প্রথমে মাটি দিয়ে কাপ বানাতাম তারপর সেটা চুলোর আগুনের ভিতর দিয়ে পুড়িয়ে লাল টকটকে করে ফেলে দিতাম, ওটাই ছিল আমাদের প্রাইস। একবার তো টুর্নামেন্ট খেলতে খেলতে এমন সিরিয়াস ব্যাপার হয়ে গেছিল যে ব্যাট দিয়ে বাড়ি মেরে একটার বা পা ভেঙে দিয়েছিলাম। এরপর দেখলাম ওই গ্রাম থেকে সাত আট জন লোক আমার ঠাকুর দাদার কাছে এসেছিল নালিশ করতে। যদিও তখন আমি বাড়ি ছাড়া, কারণ ওই অবস্থায় বাড়ি থাকলে তো আমারই ঠ্যাং ভেঙে দিত আমার পরিবারের লোকজন।এই জন্য আমি দৌড় মেরে দাদু বাড়ি চলে গেছিলাম। এই ঝামেলার দুইদিন পর আমি বাড়ি এসেছিলাম। যদিও পরবর্তীতে শুনতে পাই যে ছেলেটার পা ভাঙেনি শুধুমাত্র মচকে গেছিল আর ফুলে গেছিল। কারণ আমার মনে আছে আমি অত জোরেও বাড়ি দিয়েছিলাম না।
আমার গল্পটা মাঠ দখল নিয়ে। আমরা প্রতিদিন বিকেলে একটা মাঠে যেয়ে খেলতাম৷ তো একদিন দেখলাম সে মাঠে অন্য এলাকার কিছু ছেলে খেলতেছে। আমরা ওদের খেলা শেষ হতে দিলাম। এরপর আমরা বললাম চলে যেতে। তর্কাতর্কি চলছে। ওরা চলে যেতে বাধ্যই হলো। ওমা! কিছুক্ষন পর ওরা ওদের বড় ভাই নিয়ে হাজির। মজার বিষয় হচ্ছে ওদের বড় ভাই গুলা ছিলো আমাদের জুনিয়র 🤣🤣🤣🤣। যাক ওদের চিনি আমরা। পরে আমরাই প্রস্তাব দিলাম যে এক সাথে বাজি খেলা যাক। ওরা এক কথায় রাজি। ৫০০ টাকা বাজি ধরলাম টিম এর সবাই মিলে। জিতেও গেলাম আমরা। এরপর আর কোনো দিন ওদের এই মাঠে দেখিনি। বেচারারা ৫০০ টাকার শোকে কোমায় চলে গিয়েছিলো মনে হয় 😜😜😜।
পাড়া ক্রিকেট খেলা নিয়ে অনেক মজার স্মৃতি আছে।
হা হা হা অতীতের স্মৃতিগুলো যেন আমার তাজা হয়ে উঠলো, আপনার কথাগুলো পড়ে না হেসে থাকতে পারলাম না, হা হা হা। বিশেষ করে কোদাল দিয়ে মাঠ নষ্ট করার বিষয়টি, সেই রকম উত্তেজনা কাজ করতো যাতে কেউ দেখে না ফেলে।
জী ভাইয়া সেই দিন গুলো খুব মিস করি। মন চাই আবার ফিরে যাই সেই দিন গুলোতে।
একদম বাস্তব ও সত্য
এই সব নিয়ম গুলো আমাদের এখানেও চলতো। হাহাহা🤣
ছোটবেলা থেকেই খেলাধূলা করতে ভীষণ ভালোবাসি।আমাদের ক্ষুদে সদস্যদের একটা টিমও ছিল, যা সারা পাড়ার মানুষকে অতিষ্ট করে দিত। আশেপাশে খুব বেশি বড়ো মাঠ না থাকায় , রাস্তার পাশের ছোট্টো একটা মাঠে আমরা খেলতাম। সেরকমই একদিন ক্রিকেট খেলতে গিয়ে, সোজা বল গিয়ে ছয়ের বদলে এক বুড়ো দাদুর টাকে গিয়ে আলু হয়ে গেলো। দাদু তো ব্যাথা পেয়ে খুব রেগে গিয়ে ধরতে আসছিল আমাদের, কিন্তু আমাদের দৌঁড়ের সাথে দাদু কী আর পারে, দাদু বুঝে উঠতে উঠতে আমরা ব্যাট, বল হাতে নিয়ে দে দৌঁড়,,,,,,, হি হি হি।
অনেকদিন আগের ঘটনা। আমাদের গ্রামের পাশেই একটা স্কুল মাঠ আছে সেখানে আমরা যারা খেলাধুলা করতাম একটা টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতিটা দলের ছয়জন করে খেলোয়াড় ভাগ করে মোট চারটি দলে বিভক্ত করা হয়েছিল। খেলার দিকনির্দেশনা মূলক এবং আইন অনুযায়ী খেলার মধ্যে কোন বকাবাজি হলে তিন রান করে কেটে নেয়া হবে প্রত্যেকটা বকাতে। মোট পাঁচ ওভারের খেলা আমার দল করেছিল ২৯ রান। আমরা যখন ফিল্ডিং দিছিলাম সেই সময়ে বড় দুই ভাই বকা দিয়েই ১১ রান জরিমানা দিয়েছিল। দারুন একটা মজার ঘটনা সে জন্যই আমরা ম্যাচটি হেরে গিয়েছিলাম হাহাহা।
আমাদের বাসাটি ছিল সরকারী কোয়াটারে। তো কোয়াটারের সামনে ছিল এক বিশাল মাঠ। সেই মাঠে সব ধরনের খেলা হতো। এমনকি ক্রিকেট খেলাও হতো। একদিন দুই কোয়াটারের মধ্যে খেলা হচ্ছে। তো সবাই খেলা দেখছে। আর যেহেতু আমাদের কোয়াটারের সাথে খেলাটি হচ্ছে তাই আমরাও জানায় বসে খেলা দেখছিলাম। হঠাৎ খেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আহত হলেন একজন ব্যাটসম্যান। সবাই দৌড়ে গেল তার কাছে এবং তাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো সমস্যা কোথায় হচেছ? তখন সেই ব্যাটসম্যান বলতে লাগলো আমি তো সবকিছু পায়ে ব্যাথা পেয়েছি। দৌড় দিতে পারবো না। আর তখনই তার জন্য একজন রানার আনা হলো। এদিকে সেই ব্যাটসম্যান সেই রান্নার দাড়িঁয়ে ছিল ব্যাটসম্যানের একটু দূরে হঠাৎ ব্যাটসম্যান বলটি এত জোড়ে মারলেন ব্যাটের বাড়ি যেয়ে লাগলো সেই রানার এই গায়ে। তখন যে অনেক আঘাত পায়। আর এই বিষয়টি নিয়ে কি যে অবস্থার সৃষ্টি হলো এলাকায়। প্রায় এক মাসের মতে সেই ব্যাটসম্যান ঘর হতে বের হতেই পারেনি। আর এলাকায় সব ক্রিকেট খেলাও নিষেধ করা হলো। তারপর খোজঁ নিয়ে জানা গেল সেই দিনের সেই ব্যাটের আঘাত সে ইচ্ছে করেই করে ছিল। যাতে খেলা পন্ড হয়ে যায়। কারন তাদের জিতার সম্ভবনা ছিল না। হি হি হি
By: Urdu Community cruated by @yousafharoonkhan
Join our steemit Facebook page steemit community to promote the steemit all over the world, and keep continue your quality writing content on steemit
Stay together
Join the Urdu Community with more confidence.
Steem On
Join our steemit Facebook page steemit community
একেবারে ছোট থেকেই আমি আর আমার ভাই বাসার মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যাট বল দিয়ে ক্রিকেট খেলতাম। একটু যখন বড় হলাম তখন মাঠে প্রায় সারাদিন ক্রিকেট খেলতাম। এমনকি ক্রিকেট খেলার জন্য স্কুলেও যেতে ইচ্ছে করতো না। আম্মুর হাতে মার খেয়েছি অনেক। হাই স্কুলে উঠার পর নেশা ছিলো নতুন নতুন ব্যাট কেনা কয়দিন পরপরই। ঢাকার মিরপুরে মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আসার সময়ই নতুন ব্যাট এবং বল কিনে বাসায় নিয়ে আসতাম। যখন বন্ধুদের সাথে মাঠে যেতাম খেলতে,তখন বলতাম আমার ব্যাট তাই আমি আগে ব্যাট করতে নামবো 🤣🤣। বন্ধুরাও বাধ্য হয়ে আমাকে আগে ব্যাটিং করতে দিতো 😂😂।
ক্রিকেট খেলার কথা মনে পড়লে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে । ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলাই ব্যাটিং করে আউট হয়ে গেলে পরবর্তীতে 🙋আমি বলতাম যা তুই এবার ব্যাটিং এ যা আমি বল করছি। তারপর অন্যরা যখন ব্যাটিং করতো তখন আমি এমন গতিতে বল করতাম তারা বলতো ভাই তোর সাথে আর দ্বিতীয় দিন খেলা খেলবো না🤣🤣🤣।