আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -০৭
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
ভৌতিক বিষয়ে মজার কোন অনুগল্প বা জোকস।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
স্বপন বাবু একজন বড় ব্যাবসায়ী কিন্তু তার বউ দজ্জাল মহিলা। সে সারাক্ষণ তার বউয়ের ভয়ে ভয়ে থাকে। তার বউ এতটাই দজ্জাল ও রাগী যে ভুত প্রেত পর্যন্ত তাকে ভয় পায়। একদিন ঘটনা বলি।
স্বপন বাবু : একদিন রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়েছে। সে বুঝতে পারছে আজ রাতে আর তার রক্ষা নেই। ভয়ে ভয়ে এসে কলিং বেল বাজালো।
বউ :দরজা খুলে দিয়ে বললো, আগে ভিতরে ঢুকবে না, এতক্ষন কোথায় ছিলে?
স্বপন : ভয়ে ভয়ে বললো আজ প্রচুর কাজ ছিলো তাই একটু দেরি হয়ে গিয়েছে। এমন টা আর হবে না।
বউ: ঠিক আছে, ফ্রেশ হয়ে খেতে এসো। বলেই খাবার ঘরে চলে গেল।
স্বপন : মনে মনে বললো আজ দেখি শান্ত আছে। তাড়াতাড়ি ঘরে গিয়ে আলমারি থেকে জামা বের করতে গিয়ে তার বউয়ের পছন্দের নেলপালিশ পড়ে ভেঙ্গে গেলো।
স্বপন বাবুর বউ চিৎকার করে বললো শব্দ হলো কেনো? কি ভাঙলে? আমার জিনিস কিছু নষ্ঠ হলে তোমার খবর আছে।
স্বপন: বউয়ের কথা শুনে ভয়ে ভয়ে তাড়াতাড়ি কাচের ভাঙ্গা টুকরো গুলো খাটের নিচে লুকাতে গিয়ে দেখে কে যেনো বসে আছে। তার চোখ দুটো আগুনের মতো জ্বলজ্বল করছে আর সাদা কাপড় পড়ে আছে। এটা দেখেই চিৎকার করতে গেলো।
ভূত: স্বপন বাবুর মুখ চেপে ধরে বললো আমি কিছু বলবো না তোকে। আরে আমি তোর বউয়ের ভয়ে এই খাটের নিচে লুকিয়ে থাকি। তোর বউ জানলে আমাকে আস্ত রাখবে না।
হা হা হা...লেখাটা খুব ভালো ছিল বৌদি। স্বপন বাবু তাহলে বিয়ে করে তো বেশ চাপেই আছে।
আপনি তো চার চারটা করবেন ,এত চাপ কেমনে সামলাবেন 😜😜
বিয়ের প্ল্যান ক্যান্সেল। অন্য কিছু ভাবতে হবে🤣
🤣🤣
😂😂 জাস্ট অসাধারণ হয়েছে বৌদি।
হা হা ,সত্যি সত্যি ভুত ও ভয়ে খাতের নিচে 😜😜.বৌদি আপনি দারুন দারুন কৌতুক লিখেন। বেশ মজার ছিল।
হা হা হা হা, এই বার বুঝেন কেন আমরা বউকে এতো ভয় করি, যারে দেখে ভূতই ভয় পায় তাকে ভয় না পেলে উপায় আছে। আরে বড় ভূততো ঘরের বউ, হি হি হি। এবার আমিও পালাইইইই।
একদিন এক বোকা ভূত শেওড়া গাছের ডালে বসে ছিল, এক দুষ্টু ছেলে শেওড়া গাছের নিচে যাচ্ছিল। ভূত তো ভাবল এইতো সুযোগ। লাফ দিয়ে সামনে গিয়ে তার সামনে দাঁড়াল।
চকচকে বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে বলল, এখন তোর ঘাড় মটকাব।কিন্তু দুষ্ট ছেলেটা বলল, তুই আমার কি ঘাড় মটকাবিরে? জানিস আমি কে?। বোকা ভুত বলল,কে তুই?আমি হলাম ভূতের বাপ টুত।তাই নাকি? তুই টুত। তোর কী আছে যে, তুই আমাকে ভয় দেখাস? দুস্টু ছেলেটা বলল,কারণ আমি যা খেতে পারি তা তুই খেতে পারবি না। তাই নাকি, দেখা তো?”
দুষ্ট ছেলেটা তার পোটলা থেকে দুটো ক্ষুদ্র মাটির পাতিল বের করল। এক পাতিলে ছিল দই, আর এক পাতিলে সাদা চুন। দুষ্ট ছেলেটা দইয়ের পাতিল থেকে এক চামচ দই খেল। আর চুনের পাতিলটা বোকা ভূতের হাতে দিয়ে বলল,এইবার নে, তুই খা দেখি।বোকা ভূত তো আর এত কিছু বোঝেনি। সে যেই এক চামচ মুখে দিয়েছে অমনি ওরে বাবা গো ওরে মা গো, বাঁচাও গো বলে চিৎকার করে হাত থেকে সব ফেলে দিল আর দুষ্ট ছেলেটার পায়ে পড়ে গেল। এবার ছেলেটা জোরে অট্টহাসি দিয়ে বলল, হীরা জহরত যা আছে এখুনি বের কর।
অনেক মজা পেলাম ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি কৌতুক উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
ভালোবাসা নিবেন প্রিয় ভাই
একদিন তিন বন্ধু সাগরে জাহাজে করে ঘুরছিল। এমন সময় হঠাৎ সাগরে ঢেউ উঠল। কোন রকমে তারা তিন জন এক অজানা দ্বীপে এসে পৌঁছল। এমন সময় তারা দেখতে পেল দ্বীপে একটি প্রদীপ পড়ে আছে। তারা প্রদীপটি হাতে নিয়ে ঘঁষতেই প্রদীপ থেকে একটি ভূত বের হয়ে বলল-
ভূত : আমি আপনাদের প্রত্যেকের একটি করে ইচ্ছা পূরণ করব। প্রত্যেকে যার যার ইচ্ছার কথা বলুন।
১ম বন্ধু : আমার সব আত্মীয় ভারত থাকে, তাই আমি সেখানে চলে যেতে চাই। বলার সঙ্গে সঙ্গে সে ভারত চলে গেল।
২য় বন্ধু : আমার সব আত্মীয় বাংলাদেশে থাকে, আমি সেখানে চলে যেতে চাই। বলার সঙ্গে সঙ্গে সে চলে গেল তার দেশে।
এবার ৩য় বন্ধুর পালা। তার ইচ্ছার কথা জানতে চাইলে সে একটু ভেবে উত্তর দিলো-
৩য় বন্ধু : আমার আত্মীয় বলতে কেউ নেই, কেবল ওই ২ বন্ধুই আছে। তাই দয়াকরে তাদের আমার কাছে ফিরিয়ে দিন। বলার সঙ্গে সঙ্গে দুই বন্ধু আবার দ্বীপে ফিরে আসলো।
এইজন্যই কখনো হারামি বন্ধুর আগে কথা বলতে নাই।
হা হা হা... কথা সত্য। 🤣🤣🤣
হা হা ,দারুন তো 😜😜
আমার এই রকম বন্ধু ছিল একজন।😁😁
একদিন আমার ছেলে এসে আমাকে বলল
ছেলেঃবাবা,আমাদের বাড়িতে নাকি ভূত আছে?
আমার বউঃনা বাবা,আমাদের বাড়িতে কোন ভূত নেই। কে বলল তোমাকে?
ছেলেঃআমাদের কাজের মহিলা।
আমিঃবাবা পালাও।আমাদের বাড়িতে কোন কাজের লোক নেই।
একটু পর মনের পড়ল আরে আমার না কোন ছেলে নেই,তার একটু পর মনে পড়ল আরে আমি তো বিয়েই করি নি।তারপর আমি অজ্ঞান।
এই কৌতুকটা কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে। কোথায় যেন শুনেছি। তবে বেশ মজার ছিল। হা হা হা...
হাহাহা।সব শোনা কৌতুক দাদা।
হিহি.. এই কৌতুকটা আমি আমার এক দাদার কাছ থেকে শুনেছিলাম।
ধরে নিন সেই দাদা আমিই।হাহাহাহা
হে হে হে 😂😂 এটা সেরা ছিলো ভাই।
মামা ভাগ্নে দুজনে শীতের রাতে বিল থেকে মাছ ধরে বাড়ি ফিরছে,হঠাৎ ভাগ্নের প্রস্রাবের চাপ এসেছে।
ভাগ্নে মামা কে বলছে, আমার অনেক হিসু পেয়েছে কোথায় করব,মামা ভাগ্নেকে উত্তর দিল,পাশে পুকুর আছে ওখানে করে দে।
ভাগ্নে মামার কথা মত কাজ শুরু করলো, একটু পর পুকুর থেকে জীর্ণশীর্ণ এক ভূত হাহাহা করে বলে উঠলো, যাক ঠান্ডায় জমে গিয়েছিলাম এখন বেশ আরাম পাচ্ছি গরম পানির স্পর্শে।
গভীর রাতে জঙ্গলের মধ্যে পার্টিতে একজন মাত্র লোক বসে আছে। বাকি সবাই বাড়ি চলে গেছে।একটু পর এক সুন্দরী তরুণী এসে তাকে বলল, ‘আপনি কি নাচতে ইচ্ছুক?’
লোকটি উৎফুল্ল হয়ে বলল, ‘অবশ্যই!’
মেয়েটি এবার বলল, ‘তাহলে চেয়ারটা ছাড়ুন। আমি একটু বসব!’
এটা কি ছিল। হা হা হা..🤣🤣🤣
👻👻
🤣🤣
প্রথম বন্ধু : জানিস, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমার আপন চাচা।
দ্বিতীয় বন্ধু : তাই নাকি! তা আগে বলিসনি তো?
প্রথম বন্ধু : আপন বলতে বাবার আপন চাচাতো ভাই আর কি!
দ্বিতীয় বন্ধু : তাই, বারাক ওবামা তোর বাবার আপন চাচাতো ভাই?
প্রথম বন্ধু : ঠিক তেমন নয়। বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর কি!
দ্বিতীয় বন্ধু : কী, বারাক ওবামা তোর বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু?
প্রথম বন্ধু : আরে বাবার সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয়।
দ্বিতীয় বন্ধু : তাই, তোর বাবার সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয়?
প্রথম বন্ধু : আরে দেখা হয় মানে ভূত হয়ে এসে আমার বাবার সাথে প্রতিদিন দেখা করে,,,
♥♥
হা হা,ডোনাল্ড ট্রাম্প আর বারেক ওবামার ভুত হয়েও দেখা করতে আসে।
হা হা হা,,,,
বল্টু সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিল, তখন প্রায় রাত তিনটা বাজে। বল্টুর বুক ভয়ে টিপটিপ করছে। এমন সময় দেখে, তার পাশে আরও একজন লোক হাঁটছে। বল্টু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বলল, ‘ওহ ভাই, আপনাকে দেখে কিছুটা সাহস পেলাম। কী যে ভয় করছিল।’
লোকটা বলল, ‘কেন? ভয় কিসের?’
বল্টু ফিসফিস করে বলল, ‘কিসের আবার? ভুতের! শুনেছি, এখানে খুব ভুতের উপদ্রব।’
লোকটার উত্তর, ‘আরে, নাহ্! কে বলেছে? আমার মৃত্যুর পর প্রায় ৩০ বছর ধরে এখানে আছি, কই, একটাকেও তো দেখলাম না।’
বাড়ির পাশে একটা জায়গা ছিল সেখানে গভীর রাতে মানুষ অনেক ভয় পায়। তো আমরা কয় বন্ধু সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা তো কখনো ভূত দেখিনি তো আজ এই জায়গায় লুকিয়ে থেকে ভয় দেখাবো। দুজন লোক হেটে যাচ্ছিল আমরা গাছের ঝোপের উপর দুই তিনটা ঢিল মারি তারা ভয়ে দৌড়ায় চলে যায় সেখানে গিয়ে বলে ভূত ওখানে গাছপালা ভেঙে ফেলছে।🤩🤩
এই ধরনের কাজ আমিও একবার আমার বন্ধুদের সাথে মিলে করেছিলাম।
নতুন ও পুরাতন ভাড়াটিয়ার মাঝে কথোপকথন।
পুরাতন ভাড়াটিয়াঃ- ভাইয়া আপনি যে ফ্লাটটা ভাড়া নিয়েছেন ঐ ফ্লাটে ভুত আছে। কেউ থাকে না ঐ ফ্লাটে।
নতুন ভাড়াটিয়াঃ- আমি ভুতকে ভয় পায় না।
পুরাতন ভাড়াটিয়াঃ- ভাইয়া ঐ ফ্লাটের ভুতটা অনেক ভয়ংকর। যে কোন সময় আপনার আর ভাবির ঘাড় মটকে দিতে পারে।
নতুন ভাড়াটিয়াঃ- ধোর মিয়া আমি ভুত পেতনির সাথে বসবাস করি।
পুরাতন ভাড়াটিয়াঃ- ভাইয়া কি বলতেছেন এসব, ঠিক ভাবে বুঝিয়ে বলেন।
পুরাতন ভাড়াটিয়াঃ- আমার বউ যখন পার্লার থেকে সাজু গুজু করে আসে, তখন তাকে দেখে ভুতেরা পালিয়ে যায়। কিন্তুু আমি পালাতে পারি না। আমাকে সেই পেতনির সাথেই বসবাস করতে হয়।.......হা হা হা হা হা হা হা.....
বউরা যেন না জানে এসব কথা