নিজের পেশাকে সম্মান করতে শিখুন
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমাদের জীবন থেকে যত সেকেন্ড অতিবাহিত হচ্ছে। আমরা ততই মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছি। এজন্য আমরা সব সময় সৃষ্টিকর্তার উপর শুকরিয়া আদায় করব। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব 'নিজের পেশাকে সম্মান করতে শিখুন'। তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি শুরু করা যাক :
সর্বপ্রথম কথা হলো আমরা মানুষ। আমরা সবাই বিভিন্ন সমাজে এবং পরিবারে বসবাস করি। আমাদের কাছে সবথেকে আপনজন হলো নিজের পরিবার। কিন্তু এই পরিবার এবং নিজের জীবন পরিচালনা করার জন্য আমাদেরকে উপার্জন করতে হয়।
একটা কথা আছে না, পরিশ্রম হলো সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। তেমনি একজন মানুষ কর্ম ছাড়া জীবনে চলতে পারেনা। সমাজে এবং নিজের পরিবারে মাথা উঁচু করে দাড়ানোর জন্য পরিশ্রম করতে হয়।
যে ব্যক্তি অলস এবং পরিশ্রম করতে চায় না, সমাজেও সেই ব্যক্তি অবহেলিত। বিশেষ করে আমরা যারা পুরুষ রয়েছি আমাদেরকে কর্ম করে খেতেই হয়। কারণ একজন পুরুষ মানুষের কর্মের উপর পরিবার চলে।
বর্তমান সমাজে বা শহরে শুধু পুরুষ মানুষ নয়। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই নিজেই কর্ম করে খাচ্ছে। নিজে কর্ম করে খাওয়ার মাঝে একটা আত্মতৃপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়। এজন্য আমি মনে করি, যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে, সেটা ছোট হোক এবং বড়। অবশ্যই সেই কাজকে সম্মান করা উচিত।
আমার কাছে মনে হয়, গ্রামের মানুষের থেকে শহরের মানুষ নিজের পেশাকে বেশি সম্মান করতে জানে। কারণ আমি নিজে এই বিষয়ের সম্মুখীন হয়েছিলাম। কারণ আমাদের গ্রামে অনেকেই আছে যেকোন ছোট ধরনের কাজ করতে লজ্জা পায়। তারা সবসময় চিন্তা করে এই ছোট কাজটা করলে হয়তো অন্য মানুষেরা কি ভাববে। এভাবেই তো গ্রামের মানুষেরা দিন দিন আরো পিছিয়ে যাচ্ছে।
আমার জীবনে ছোট্ট একজন মানুষকে নিয়ে আজকে উদাহরণ দিব। আমি বাইরে থেকে পড়াশোনা করেছি। সেটা অনেক আগেই বিগত পোস্টে জানিয়েছিলাম। আমি কিন্তু ছাত্রাবাস থেকেই পড়াশোনা করেছি। যারা ছাত্রাবাস থেকে পড়াশোনা করে, সবাই জানে ছাত্রাবাসে রান্না করার জন্য কাজের বুয়া রাখতে হয়।
আমি আজকে সেই ছাত্রাবাসের কাজের বুয়াকে নিয়ে কথা বলব। 'বুয়া' বলতে আমরা উনাকে সব সময় খালা বলেই ডাকতাম। তবে খালার বিষয়টাকে নিয়ে পোস্ট লিখতেছি বলে আমি ওনাকে ছোট করতেছি না। পোস্ট লিখতেছি কারণ এর মাধ্যমে যদি কারো উপকার হয়।
যাইহোক, যখন আমি নতুন ছাত্রাবাসে উঠি তখন খালার সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা ছিল না। তিনি সময়মতো তিন বেলা এসে রান্না করে দিয়ে যেত। কিন্তু হঠাৎ একদিন খালা অসুস্থ হওয়ার পর, আমরা সবাই খালার বাসায় খালাকে দেখতে গিয়েছিলাম।
শুধু আমি একা যায়নি, বেশ কয়েকজন মিলেই গিয়েছি। সত্যিই আমরা কেউ ধারণা করতে পারিনি যে, খালার বাড়িঘর এইরকম। আমাদের প্রত্যেকেরই ধারণার বাইরে ছিল। খালার এত বড় বাড়িঘর, নিজের জায়গা জমি থাকার সত্ত্বেও ছাত্রাবাসে রান্না করার চাকরি করে। এমনকি খালার স্বামী ও তেলের পেট্রোল পাম্পে চাকরি করে।
তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম খালার হয়তো টাকা পয়সার অভাব নেই। কিন্তু তারপরেও নিজে একটা কর্ম করে খায়। কমবেশি আমাদের মধ্যে অনেকেরই বাসায় কাজের বুয়া আছে। আবার অনেকের মাঝে দেখা যায়, কাজের বুয়ার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। সবাই যে খারাপ আচরণ করে এমনটা বলতেছি না।
এরকম ছাত্রাবাসেও অনেক ছাত্র থাকে। সবাই যে খালার সাথে ভালো ব্যবহার করে এরকমটা নয়। কিছু কিছু ছাত্র আছে যারা খালার সাথে খারাপ আচরণ করে। তা সত্ত্বেও খালা কিছু না বলেই আমাদের রান্না করে দিত।
সেই দিন থেকে মনের ভেতর একটা ছোট্ট ধারণা হয়েছিল। আসলে গ্রামের মানুষের থেকে শহরের মানুষ নিজের পেশাকে কখনো ছোট করে দেখেনা। শুধু শহরের মানুষ নয়, আমাদের প্রত্যেকেরই নিজের পেশাকে সম্মান করা উচিত।
কারণ, যে পেশা এবং কর্মের মাধ্যমে আমরা নিজের পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জন করি। আর সেই অর্থ দিয়েই আমরা পরিবারে সবাই দু মুঠো ভাত খেয়ে থাকি।
আসুন! আমরা সবাই মিলে নিজের পেশাকে ছোট করে না দেখে সম্মান করতে শিখি। এই সমাজে আমরা প্রত্যেকেই নিজের পেশাকে সম্মান করতে পারলে, আমাদের এই দেশ আরো এগিয়ে যাবে। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমরা সবাই মানুষ, আর তাই সমাজে বসবাস করতে হলে আমাদের কোনো না কোনো পেশাকে বেছে নিতে হয়। যারা অলস বা কোনো কাজই করে না তাদের কেউ পছন্দ করে না। সমাজে সকল পেশার ই গুরুত্ব রয়েছে তবে আমরা ছোট পেশাকে অবহেলা করে দেখি সব সময় ঢ়েটা একদমই উচিত নয়। সৎ পথে থেকে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করাটা সম্মানের। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সর্বপ্রথম কথা হলো আমরা মানুষ। আমাদের নিজের জীবন নির্বাহ করার জন্য আমাদেরকে কর্ম করতেই হবে। যে যেরকমই কর্ম করি না কেন, অবশ্যই সেটা সম্মানের সাথে করা উচিত।
তবে আমার কাছে মনে হয় অসৎ পথে টাকা উপার্জন করার থেকে, সৎ পথে ২ টাকা উপার্জন করা আমাদের তৃপ্তি পাওয়া যায়।
আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আপনার চিন্তা ভাবনার সাথে আমি পুরোপুরি সহমত যে অসৎ উপায়ে লাখ টাকা উপার্জন করার থেকে সৎ পথে ১০ টাকা রোজগার করার মধ্যে অনেক মানসিক শান্তি রয়েছে বলে আমি মনে করি। হ্যা, আমরা মানুষ আর জীবন যাপনের জন্য কোনো না কোনো পেশাকে বেছে নিতে হয় আর এটা অবশ্যই সৎ পথের কাজ হতে হবে। নিজের পেশাকে সম্মান করলে কাজে সফলতা অর্জন করতে সুবিধা হয়। ভালো থাকবেন।
দারুণ ভাবে লেখাটি শেয়ার করেছেন।
আমাদের প্রত্যেকটা ব্যক্তিকে যার যার পেশাকে অনেক সম্মানের চোখে দেখা উচিত,,,
এই সমাজে যত রকমের কাজ আছে আমার মনে হয় কোন কাজ কি ছোট করে দেখা উচিত নয়। সম্মানের সাথে দেখা উচিত।
কারণ, আমরা একটা সমাজে বাস করি একটা পরিবারের বাস করি ।নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সবকিছুই প্রয়োজন আর এ প্রয়োজনে আমরা সবাই নানা ভাবেই জড়িয়ে আছি কাজের সাথে।
তাই আমাদের উচিত প্রত্যেকটা কাজকে সম্মান করা উচিত।
সর্ব প্রথম কথা হলো আমাদের নিজের জীবন নির্বাহ করার জন্য পরিশ্রম করতেই হবে। সেটা ছোট হোক কিংবা বড়। কিন্তু আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে তারা নিজের পেশাকে অনেক ছোট করে দেখে। আসলে এটা ঠিক নয়। সব সময় নিজের পেশাকে সম্মানের সহিত দেখা উচিত।
ইনশাআল্লাহ আমরা নিজের পেশাকে সব সময় সম্মান করতে শিখব।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
অসাধারণ একটা স্টোরি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন বন্ধু।আসলে আমরা গ্রামের মানুষের একটু নেগেটিভিটি বেশি।কিন্তু যারা প্রকৃত অর্থে সুন্দর মনের মানুষ তারা কখনোই।তাদের পেশাকে ছোট করে দেখে না।আপনি যে খালার ব্যাখা দিয়েছেন সেই রকম হাজার হাজার খালা রয়েছে যারা আড়ালে থেকেই এভাবে আমাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।কিন্তু আমাদেএ ভিতর অনেকেই তাদের অসম্মান করে।যেটি খুবই দু:খজনক আর আর ভয়ংকর বেয়াদবি।
আসলে আপনি একদম ঠিক বলেছেন, যারা প্রকৃত অর্থের সুন্দর মনের মানুষ তারা কখনো নিজের পেশাকে অসম্মান করে না। গ্রামের মানুষরা অল্প একটুতেই সম্মান নিয়ে চিন্তা করে। কিন্তু এটা আসলে ঠিক নয় নিজের পেশাকে সবসময় সম্মান করা উচিত। আসলেই আমাদের ম্যাচের খালা অনেক টাকা-পয়সা থাকা সত্ত্বেও এভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আমার কাছে মনে হয় আমরা এ পৃথিবীতে যতদিন আছি। অবশ্যই প্রত্যেকটা মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলা উচিত। তার পোশাক দিয়ে কখনোই তাকে বিচার করা উচিত নয়। একটা মানুষকে বিচার করার জন্য, তার মন সম্পর্কে জানতে হবে। আজকে আপনি আপনার ছাত্রাবাসে থাকা যে খালা আপনাকে রান্না করে দিত, তার সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
আমাদের বাসায় কিংবা আমাদের সাথে যারা কাজ করে, তাদেরকে অবশ্যই সম্মান দেয়া উচিত। তারাও মানুষ দিনশেষে তারাও পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করে। হয়তোবা আমরা ভালো কিছু করি। তারা আমাদের বাসায় কাজ করে। কিন্তু আমরা কাজ করি পরিশ্রম করি, এর চাইতে বড় কথা হয়তোবা আর কিছুই হতে পারে না।
সত্যি কথা বলতে ব্যবহার এমন একটা জিনিস, যেটা আপনার বংশের পরিচয় সবার সামনে উপস্থাপন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারো সাথে উঁচু গলায় কথা না বলে তার সাথে অবশ্যই নম্র এবং ভদ্রভাবে কথা বলা উচিত। সে মানুষটা যেমনই হোক না কেন? আমার কাছে সবচাইতে বড় পরিচয় হচ্ছে আমি মানুষ! ধন্যবাদ চমৎকারভাবে বিষয়টি আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
একদম ঠিক কথা বলেছেন, ব্যবহারই হল মানুষের বংশের পরিচয়। একজন মানুষের পোশাক দেখে কখনো তার সম্পর্কে বিচার করা উচিত নয়। মানুষকে চিনতে হলে মানুষের কাছাকাছি যেতে হবে এবং মনটা কেমন সেটা বুঝতে হবে।
আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি ছোট এবং বড় পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। কিন্তু আমরা অনেকেই বড় পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি বলে ছোট কর্মের মানুষকে খারাপ চোখে দেখি এমনটা করা কখনো করা উচিত নয়।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মানুষের আসল পরিচয় হচ্ছে সে মানুষ তার পরের পরিচয় হচ্ছে সে কি কর্ম করছে। একটা মানুষ যদি সঠিকভাবে সৎ পথে কর্ম করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। তাহলে আমি মনে করি কখনোই তাকে ছোট মনে করা উচিত নয়। কারণ সে কর্ম করে টাকা ইনকাম করছে। আমিও কর্ম করে টাকা ইনকাম করছি। সে যেমন তার পরিবারের পেছনে তার টাকা ব্যয় করছে। আমিও পরিবারের জন্য টাকা ইনকাম করছি। তাহলে আমি কেন তাকে ছোট করে দেখব। একটা কথা কি ভেবে দেখেছেন মৃত্যুর পরে আমাদের প্রত্যেকের জায়গা কিন্তু একটা। তারপরেও আমাদের অহংকার। অহংকার করা মোটেও ঠিক না।
আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন সমাজ বা শহরে বসবাস করি। এবং প্রত্যেককেই বিভিন্ন কর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। কেউ বড় ধরনের কাজ করে আবার কেউ ছোট কর্ম করে। কিন্তু আমরা যে কর্ম করি না কেন, সেটাকে অবশ্যই সম্মানের সাথে দেখা উচিত। একজন মানুষের পরিচয় হলো তার নিজস্ব পেশা কি। এজন্য এই নিজের পেশাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে।
আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।