কিন্তু বিশৃঙ্খলা নিরাময়ের নামে শাস্তি যদি হয় নিষ্ঠুর, সমাজবিরোধী এবং সমাজে বিভিষীকার তৈরি করে তবে তা অল্প সময়ের জন্য সফলতা নিয়ে আসলেও সমাজে বিরাজমান অন্যায়কে সমূলে তুলে ফেলতে পারে না।
শাস্তি দেওয়ার সময় যখন বিচারকের মন কাতর হয় তবে তা অপরাধীর হৃদয়কে স্পর্শ করে যায় যা তার হারানো বিবেক বুদ্ধি ফিরে পেতে সহায়তা করে থাকে।
শাসক বা বিচারকের মূল লক্ষ্য আমাদের শাস্তি দেওয়া নয় বরং আমাদের চরিত্রের দোষ ত্রুটি সংশোধন করে দেওয়া।
আপনার লেখা পড়ে খানিক অবাক হলাম! সমাজের কি ভয়ংকর চেহারা হবে আপনার উপরিউক্ত কথা মেনে যদি বিচার ব্যবস্থা চলে!
এখনও যেটুকু শৃঙ্খলা সমাজে আছে, সেটা অপরাধ করলে বিনিময় কি শাস্তি হতে পারে সেটা ভেবেই;
কাজেই আপনার লেখার সাথে আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সহমত প্রকাশ করতে পারছি না।
কেউ কাউকে এমনি এমনি শাস্তি দেয় না, এই সমাজে অনেক মানুষ নিজেদের অতিরিক্ত চালাক মনে করে, এবং তারা ভাবে তাদের অপকর্ম কেউ বুঝতে পারছে না।
ছাড়া পেতে পেতে তারা যখন অতিমাত্রায় নিয়ম লঙ্ঘন করা শুরু করে, ঠিক তখন প্রশাসন এগিয়ে আসে।
তারপর বিচারের পালা, আর যারা সমাজকে কুলষিত করছে তাদের প্রতি কিসের সংবেদনশীলতা?
জ্ঞান পাপীদের জন্য, সমাজের আর পাঁচজনের ক্ষতি কখনোই কোনো বিচারক অথবা প্রশাসন মেনে নেয় নি, নেবেও না।
উদাহরনের অভাবে হয়তো লেখার অর্থই পরিবর্তন হয়ে গেছে । আমি আসলে বুঝাতে চেয়েছিলাম অল্পদোষে অধিক শাস্তি যেন দেওয়া না হয়। পরবর্তীতে আরও ভালভাবে লেখার চেষ্টা করবো।
দোষ অল্প না বেশি সেটা যদি উদাহরণ না দেন তাহলে তো বিষয়টি পরিষ্কার হয় না!
আপনি তো অপরাধের উল্লেখ করেন নি, আপনার অভিমত প্রকাশ করেছেন যেটা ধোঁয়াশা
আসলেই দিদি, উদাহরনের অভাবে আমার কথাগুলি স্পষ্ট হয় নাই। চুরির অপরাধে কাউকে ফাসিতে ঝোলানো হলে তা অবশ্যই কাম্য নয়। পরবর্তী সময়ে লেখার সময় বিষয়গুলো খেয়াল রাখবো।