জীবনযুদ্ধের এক অনন্য উদাহরণ! A unique example of courage! - Himani Bundela!
আমার শারীরিক পরিস্থিতি উন্নতির পরিবর্তে অবনতির দিকে! গতকাল পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে, বাড়িওয়ালাকে ডাকতে হয়েছিল!
শুনে, উনি ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন কিছু ওষুধ এনে দিয়ে যাবার সময়, কেনো আমি আগে জানাই নি?
আসলে কাউকে পারতপক্ষে বিব্রত করতে চাই না, সকলেই নিজের নিজের ব্যক্তিগত লড়াইটা করে যাচ্ছে।
তার উপরে আমার বোঝা আর কারোর উপরে চাপাতে চাই না!
যাইহোক, গতকাল আমার মাথা আরো একটা কারণে গরম ছিল, এমনিতে শুধু ওষুধের উপরে আছি, মুখের ভিতরে এমন ইনফেকশন হয়েছে যে, মুখ খোলার উপায় নেই!
যেমন ব্যথা তেমনি মুখ না খুলতে পারার যন্ত্রণা।
এদিকে, একটা ম্যাগী এনে রেখেছিলাম।
গতকাল উঠে দেখি, ইঁদুরে নতুন প্যাকেট কেটে বেশিরভাগ ড্রেনের মুখে নিয়ে ফেলেছে, আর সারাটা ঘর ম্যাগীর টুকরো ছড়ানো!
এই শরীর নিয়ে ঐ সমস্ত একলা হাতে পরিষ্কার করতে গিয়ে রীতিমতো চোখে জল এসে গিয়েছিল।
এরপর, সন্ধ্যে থেকে দেখি কলে জল আসছে না, নিচের মহিলা ফোন করে বলল পাম্প খারাপ হয়ে গেছে!
এই চার তলায় এই ধরনের সমস্যা তার উপরে শরীরের এই অবস্থা সব মিলিয়ে আমার যখন মনে হতে শুরু করলো আর কেন?
There is a huge distinct between sight and vision! The pride of India once again proved that! |
---|
ঠিক সেই মুহূর্তে টেলিভিশনের পর্দায় একটি পুরনো চেনা মুখের প্রত্যাবর্তন ঘটলো!
জানিনা, সেটা সৃষ্টিকর্তার ইশারা ছিল কিনা?
কারণ, ওই মুহুর্তে আমার মানসিক অবস্থা ছিল তলানিতে!
মেয়েটি প্রথমে যখন এসে ভারতীয় এক কোটি টাকা জিতেছিল, তখন খুব আবছা দেখতে পেলেও, গতকাল এসে জানালো এখন সে আর মোটেও চোখে দেখতে পায় না!
তবে, এই প্রতিকূলতাকে অজুহাত নয়, বরং নিজের কাছে যে জ্ঞানের অপরিসীম ভান্ডার আছে তাই দিয়ে যে অর্থ তিনি উপার্জন করেছিলেন, সেটা দিয়ে তিনি সেই সমস্ত বিকলাঙ্গ মানুষদের শিক্ষার কাজে নিয়োগ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন।
Respected President of India giving award to Himani Bundela! |
---|
তার এই কাজের জন্য তাকে রাষ্ট্রপতি সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে!
যখন মেয়েটির হাসি মুখ দেখলাম, আমি সত্যিই নিজের কষ্ট ভুলে লড়াইকে পুনরায় বেছে নিলাম!
সাময়িক প্রতিকূলতায় হার মেনে নেবো? এই মেয়েটি পারলে আমিও পারবো, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্জন্ত জীবনের লড়াইটা অব্যহত রাখতে হবে!
কষ্ট অনেক পেয়েছি, আরো হয়তো বাকি, তাতে কি? যিনি সমস্যা দেবেন, সৎ এবং সাহসের সাথে যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে পাহাড় ভেঙে রাস্তা তৈরি করাও সম্ভব।
যদিও গতকাল রাতে লিখতে পারিনি, তবে আজকে নতুন সূর্যালোকে নিজের মধ্যের শক্তিকে উজাগর করে নিয়ে এসেছি একটি উদাহরণ, যে শুধু আমার নয় বরং এমন অনেকের জীবনের অনুপ্রেরণার স্রোত যারা অতি সহজেই হার মেনে নেয়, সামান্য প্রতিকূলতার সম্মুখীন হলেই।
মেয়েটি অভিনন্দন পাবার পরে শ্রী অমিতাভ বচ্চন কে জানালেন, স্যার আগের বার আমি আপনাকে আবছা দেখতে পারছিলাম, কিন্তু আজকে আমি কিছুই দেখতে পারছি না!
তাতে কি? আপনার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর তো আমি শুনতে পাচ্ছি!
এরপর জানালেন কিভাবে তিনি খেলায় অর্জিত অর্থকে কাজে ব্যবহার করেছেন সেই সকলের জন্য যারা শারীরিক বিকলঙ্গীতার শিকার!
Must watch the video - I salute the courage of a physically blind but mentally strong girl from India! (ভিডিওটি দেখবেন) |
---|
মেয়েটি ভারতের আগ্রায় থাকেন, এসেছিলেন এই খেলার ১৩ নম্বর সিজনে!
এবছর খেলাটির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে আমন্ত্রিত করা হয়েছিল।
যারা মনে করেন জীবনে অন্যের অনেক আছে, নিজের কিছুই নেই তাদের তুলনায়, তাদের জন্য আজকের এই লেখা সহ ভিডিও রইল।
নিজেদের ব্যস্ত সময় থেকে একটু সময় বের করে আশাকরি দেখবেন ভিডিওটি আর সাথে নিজেদের অভিযোগের যে ভান্ডার জমা আছে তার সাথে তুলনা করে দেখবেন, সত্যি কি কিছু কম দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা?
নিজের প্রাপ্তির সাথে একবার মেয়েটির সংঘর্ষকে মিলিয়ে দেখবেন, আর মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না কি শিখলেন মেয়েটির থেকে?
শেখাটা অধিক মূল্য রাখে জীবনের চলার পথে।
দিদি পোস্টটি পড়ে সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল। জীবনযুদ্ধে হিমানি বুন্দেলার মতো সংগ্রামী মানুষের গল্প আমাদের নতুন করে বাঁচার প্রেরণা দেয়। শারীরিক সীমাবদ্ধতা কখনোই মনের শক্তিকে পরাজিত করতে পারে না এটাই তিনি প্রমাণ করেছেন।
তাঁর এই আত্মপ্রত্যয় ও মানবসেবার মানসিকতা সত্যিই অনুকরণীয়। নিজের জেতা অর্থকে শুধু নিজের জন্য নয়, বরং সমাজের অবহেলিত শ্রেণির জন্য ব্যয় করা এ এক মহৎ উদ্যোগ। রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সম্মান পাওয়াটা তাঁর কর্মের প্রকৃত স্বীকৃতি।
আপনার লেখার শেষের কথাগুলোও ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা প্রায়ই জীবনের ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করি, কিন্তু হিমানির মতো মানুষের গল্প আমাদের শেখায় যে আসল শক্তি হলো ধৈর্য ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।
এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, কারণ এটি শুধু একটি অনুপ্রেরণার গল্প নয়, বরং আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর জন্যও একটি চমৎকার উপলক্ষ।
0.00 SBD,
0.45 STEEM,
0.45 SP
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম। আপনি মানসিক শারীরিকভাবে অনেক পরিমাণে অসুস্থ যা জেনে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে! আপনি যেন অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন এই দোয়ায় রইল।
আপনার পোস্টটি অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক এবং হৃদয়স্পর্শী। হিমানী বুন্দেলার মতো এক সাহসী নারীর গল্প আমাদের শেখায় যে, শারীরিক অক্ষমতা কখনোই মনের শক্তিকে পরাজিত করতে পারে না। তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং মানসিকতা সত্যিই অনুকরণীয়। এটি আমাদের শিখিয়ে দেয়, যে, জীবনকে ভালোবাসা, সংগ্রাম করা এবং প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করাই আসল শক্তি।
এই ধরনের গল্প আমাদের জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর এক শক্তিশালী উপায়। হিমানী বুন্দেলার সংগ্রাম শুধু শারীরিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে নয়! বরং আত্মবিশ্বাস এবং মানবিকতার সঙ্গে তার সংগ্রামের কাহিনী। তাঁর সাহসিকতা এবং মনোবল সত্যিই অসাধারণ! যা আমাদের শিখিয়ে দেয় যে, যখন জীবনে অন্ধকার দেখা দেয়, তখন তার মধ্যেও একটি আলো তৈরি করা সম্ভব।
এই পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে, আমাদের নিজেদের জীবনও যদি একটু পরিবর্তন করে তুলি, তবে আরও শক্তিশালী এবং উন্নত হতে পারি। এমন একটি গল্প শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, যা আমাদের জীবনের মূল্যবোধকে নতুন করে চিনতে সাহায্য করেছে। আপনার দূরত্ব সুস্থতার জন্য দোয়া রইল দিদি ।
মানুষ চাইলেই সবকিছু জয় করতে পারে। অসম্ভব বলতে পৃথিবীতে কিছুই হয় না।আমাদেরকে সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে প্রতিকূল পরিবেশে।
আপনার এরকম পোস্ট দেখলে নিজের মনে আরো অধিক উৎসাহ চলে আসে।আমি প্রায় দেড় বছরের মতো অসুস্থ ছিলাম। ব্ল্যাক ম্যাজিক মানসিক রোগ ইত্যাদি ইত্যাদি সবমিলিয়ে আমার জীবনের বহুকাঙ্খিত জিনিস আমি হারিয়েছি। যার জন্য এখন আমি মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারছি না।আমার এরকম অবস্থার জন্য আমার খুব কাছের মানুষ গুলোই দায়ী।
তবে যাই হোক আমি বিশ্বাস করি ভাগ্যের লিখন কেউ কেড়ে নিতে পারে না। আমরা অবশ্যই আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
আপনার এই একটা জিনিস আমাকে কিছুটা কষ্ট দেয় যে ,নিজের প্রতি খুব বেশি অত্যাচার করেন আপনি। এটা আমি শুরু থেকেই খেয়াল করেছি। নিজেকে ভালোবাসুন ,নিজের প্রতি যত্ন নিন যতটা সম্ভব। আমি এতদিনে এই একটা জিনিস বুজতে পেরেছি যে ,নিজেকে ভালো থাকতে হবে নিজের জন্য। কারণ এতো কিছু দেখেছি যে ,এখন আর কাউকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারি না। তাই মনে হয় ভালো থাকতে হবে নিজের জন্য।
তবে চারপাশে এতো খারাপের মাঝেও দেশে দেশে এই হিমানী বুন্দেলার মতো মানুষগুলি আমাদেরকে আশ্বস্ত করে যে ,এখনো সবকিছু আশা করার মতো অংকে কিছুই আছে ,সব কিছু শেষ হয়ে যাই নাই। এরা আমাদেরকে নতুন করে প্রেরণা জাগায়।
ভালো লাগলো হিমানী বান্ডেল সম্পর্কে আমাদেরকে জানানোর জন্য। এই মহান মানুষগুলি সম্পকে সবার জানা প্রয়োজন।
ভালো থাকবেন সবসময় ও নিজের প্রতি যত্ন নিবেন।