Better Life With Steem | The Diary game 6, December |গাছ কিনতে পূর্বাচলে যাওয়া ।-2
গতকালই লিখেছিলাম যে গাছ কেনার উদ্দেশ্য নিয়ে আমি আমার ছেলে আর ওর বাবা এই তিনজন গাছ কিনতে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। তারপর কি হলো সেটাই আজকে লিখবো।
আমাদের মাঝে কথা হলো যে ,আমরা পূর্বাচলের দিকে যাবো। ঐদিকে অনেক নার্সারি আছে। ঐখান থেকে গাছ কিনে নিয়ে আসবো। কিন্তু পূর্বাচল গিয়ে খানিকটা হতাশ হলাম। আগে প্রচুর নার্সারি থাকলেও আজকে সেগুলি দেখলাম না। একদম শেষ মাথায় গিয়ে কয়েকটা চোখে পরলো। তার একটার মাঝে আমরা গেলাম।
Edited by Canva |
---|
গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথেই ঠান্ডার একটা ধাক্কা এসে লাগলো ,যা আমাদের এলাকায় বিরল। তবে আমি যে ধরণের গাছ খুজতেছিলাম সেগুলি পেলাম না। আমার হাবি তিনটা গাদা ফুলের ছাড়া কিনলো বিশ টাকা করে । এরপর কিছুটা সময় কাটিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
বাসায় আসার সময় আমাদের প্ল্যান ছিল আমরা এলিভেটেড ওয়ে দিয়ে এসব। কিন্তু জ্যাম ছিল মারাত্মক পরিমানে। আমরা ভুলে ডানে না গিয়ে বামের লাইনে গিয়েছি। পরমুহূর্তেই আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি কিন্তু তখন আর আমাদের কিছু করার ছিল না। আমরা বসুন্ধরা এলাকাতে ঢুকে পরি।
ওই রাস্তায় কাজ চলতেছে যার কারণে মারাত্মক পরিমানে জ্যাম। এইখানেই আমাদের পৌনে একঘন্টার মতো লাগে যমুনা ফিউচার পার্ক পর্যন্ত যেতে । সত্যি বলতে এই এলাকা আমরা কেউই ভালো চিনি না। এই এলাকা আমার বড়ো ছেলে ভালো চিনে কারণ ওর ক্যাম্পাস কাছাকাছিই। কিন্তু ও আজকেই আমাদের সাথে ছিল না। তাই ধানমন্ডিতে দ্রুত ফেরার জন্য আমাদের ভরসা ছিলো গুগল ম্যাপ।
একটা প্রবাদ আছে যে ,অভাগা যেদিকে চায় ,সাগর শুকিয়ে যায়। অবশ্য আমার প্রবাদটা ভুলও হতে পারে। তবে হুবুহু না হলেও অর্থ যে অনেকটা এমনই এতে কোনো ভুল নেই । আমার ছেলের ফোন পুরোনো হওয়ার কারণে অনেক স্লো হয়ে গেছ। আমার ফোনেও চার্জ নেই। এর মাঝে আমার হাবি সুখবর জানালো যে ,তার ফোন মাত্র ৪% চার্জ আছে।
গুগল আমাদেরকে গুলশানের রাস্তা দেখালো।এরই মাঝে আমার হাবির ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেলো। তাই আমার ছেলের ফোন গুগল ম্যাপ ওপেন করলো। টার্ন নিয়ে ডানের রাস্তায় যাওয়ার কয়েক মিনিট পরেই দেখলাম যে ছোট ছেলে খানিকটা কঁকিয়ে উঠলো।
কি হয়েছে জিজ্ঞেস করার আগেই সে জানালো যে ওর ফোনে ম্যাপ লোড হচ্ছে না।তাই খানিকটা সময় পরে আবারো আমরা আগের রাস্তায়ই ফেরত গেলাম। কিহু সময় পরে ওর ফোনে ম্যাপ লোড নিলো। এর পর সামনে এগিয়ে আবারো আগের রাস্তায় টার্ন নিয়ে আমরা গুলশানের দিকে এগিয়ে চললাম।
এরপর অবশ্য আর আমাদের সমস্যা হয় নাই। আমার হাবি আমাদের জিজ্ঞেস করলো যে ,আমরা কফি খাবো কিনা। কিন্তু রাস্তার এই গুলোকধাঁধায় পরে আর আমাদের কফি খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না ,তাই তাকে নিষেধ করে দিলাম দুজনেই। এরপর দ্রুতই বাসায় চলে আসি। বাসায় আসতে আসতে আমাদের প্রায় আটটার মতো বেজে যায়।
এরপর ছোট ছেলে চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার দেয়। আমি অবশ্য রাতে আর কিছু খাই নাই। ছেলেরা বিরিয়ানি খায় আর ওদের বাবা দুপুরের ভাত ছিল সেটাই খায়। আর এভাবেই আজকের দিনটা কেটে যায়।
Camera | iPhone 14 |
---|---|
Photographer | @sayeedasultana |
Location | Dhaka,Bangladesh |
নার্সারিতে সাধারণত সবসময়ই বিচিত্র রকমের গাছের চারা পাওয়া যায়। তবে বিষয়টি জেনে একটু মন খারাপ হল যে যেটা হিসাব করে গিয়েছিলেন সেরকম নার্সারি সেখানে গিয়ে পান নি। একটা প্রত্যাশা নিয়ে কোনো স্থানে যাওয়া কিন্তু আশানুরূপ দৃশ্য না দেখলে খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক আপু। তবে আপনার লেখাতে উপস্থাপিত প্রথম কাগজ ফুলের দৃশ্যটা কিন্তু দারুণ ছিল। আমি সঠিক না যে এটার অন্য কোনো নাম আছে কি না। তবে শহর কিংবা গ্রাম উভয় স্থানেই বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বাড়ির সদর দরজায় এই গাছ লাগানো হয়।
আমাদের এখানে এই মুহূর্তে শীত আছে কিন্তু আপনি যতোটা বলছেন এতোটা মনে হচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে, স্থান ভেদে আবহাওয়ার তারতম্য লক্ষনীয় যেহেতু আমরা নদী উপকূলবর্তী এলাকায় থাকি এ জন্যই মনে হয়। যাহ্ বাবা! এইরকম পথে ভুল হলে তো মুশকিল। অনেকটা সময়ই অতিবাহিত হয়েছিল যেটা আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম। শহর আমার কাছে ভালো লাগে না বললে ভুল হবে কিন্তু এই যানযটের কারণে বিরক্তিকর মনে হয়।
হায় হায়, এই অবস্থায় যদি মোবাইলে চার্জ না থাকে? আমাদের এখানেও দীর্ঘ এক বছরের ও বেশি রাস্তার কাজ চলছে। কাজের গতি দেখে মনে হয় না খুব শীঘ্রই এটা সমাপ্ত হবে। বিকল্প রাস্তা থাকার কারণে হয়তো একটু সময় অতিবাহিত হলেও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু আমরা গ্রামের মানুষ বড্ড অসহায় যদি একটিমাত্র রাস্তা এবং সেখানেও কাজ চলে।
আপনার লেখা কাগজ ফুল নামটা ঠিকই আছে। তবে একে বাগানবিলাস ,গেট ফুল ইত্যাদি আরো কয়েকটি নামে ডাকা হয়ে থাকে।
আসলে ঠান্ডা যে খুব বেশি ছিল সেটাও না ,কিন্তু আমাদের বাড়িতে আমরা এখনো মাঝে মাঝে ফ্যান ছাড়ি। যার কারণে নার্সারিতে গিয়ে ঠান্ডা লাগার চাইতে ঠান্ডার পরিমান দেখে বেশি অবাক হয়েছিলাম । কারণ এই জায়গার কিছুটা পেছনেই গাজীপুর। ঐখানে শালবন সহ গাছপালা অনেক বেশি। যার কারণে ঢাকার তুলনায় ঠান্ডা অনেক বেশি ছিল।
আমরা আসলে বিকল্প রাস্তা ধরেই বাসায় এসেছিলাম। কিন্তু ওয়ানওয়ে হবার কারণে আর কোনো কাটা না থাকার জন্য আমাদেরকে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল। সাথে ছিল মারাত্মক রকমের জ্যাম। যার কারণে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি সময় লেগেছিলো।
আমার কাছে গ্রাম অনেক ভালো লাগে কারণ সেখানে এত্তো জ্যাম নেই।