RE: Better Life With Steem | The Diary game 6, December |গাছ কিনতে পূর্বাচলে যাওয়া ।-2
নার্সারিতে সাধারণত সবসময়ই বিচিত্র রকমের গাছের চারা পাওয়া যায়। তবে বিষয়টি জেনে একটু মন খারাপ হল যে যেটা হিসাব করে গিয়েছিলেন সেরকম নার্সারি সেখানে গিয়ে পান নি। একটা প্রত্যাশা নিয়ে কোনো স্থানে যাওয়া কিন্তু আশানুরূপ দৃশ্য না দেখলে খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক আপু। তবে আপনার লেখাতে উপস্থাপিত প্রথম কাগজ ফুলের দৃশ্যটা কিন্তু দারুণ ছিল। আমি সঠিক না যে এটার অন্য কোনো নাম আছে কি না। তবে শহর কিংবা গ্রাম উভয় স্থানেই বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বাড়ির সদর দরজায় এই গাছ লাগানো হয়।
আমাদের এখানে এই মুহূর্তে শীত আছে কিন্তু আপনি যতোটা বলছেন এতোটা মনে হচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে, স্থান ভেদে আবহাওয়ার তারতম্য লক্ষনীয় যেহেতু আমরা নদী উপকূলবর্তী এলাকায় থাকি এ জন্যই মনে হয়। যাহ্ বাবা! এইরকম পথে ভুল হলে তো মুশকিল। অনেকটা সময়ই অতিবাহিত হয়েছিল যেটা আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম। শহর আমার কাছে ভালো লাগে না বললে ভুল হবে কিন্তু এই যানযটের কারণে বিরক্তিকর মনে হয়।
হায় হায়, এই অবস্থায় যদি মোবাইলে চার্জ না থাকে? আমাদের এখানেও দীর্ঘ এক বছরের ও বেশি রাস্তার কাজ চলছে। কাজের গতি দেখে মনে হয় না খুব শীঘ্রই এটা সমাপ্ত হবে। বিকল্প রাস্তা থাকার কারণে হয়তো একটু সময় অতিবাহিত হলেও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু আমরা গ্রামের মানুষ বড্ড অসহায় যদি একটিমাত্র রাস্তা এবং সেখানেও কাজ চলে।
আপনার লেখা কাগজ ফুল নামটা ঠিকই আছে। তবে একে বাগানবিলাস ,গেট ফুল ইত্যাদি আরো কয়েকটি নামে ডাকা হয়ে থাকে।
আসলে ঠান্ডা যে খুব বেশি ছিল সেটাও না ,কিন্তু আমাদের বাড়িতে আমরা এখনো মাঝে মাঝে ফ্যান ছাড়ি। যার কারণে নার্সারিতে গিয়ে ঠান্ডা লাগার চাইতে ঠান্ডার পরিমান দেখে বেশি অবাক হয়েছিলাম । কারণ এই জায়গার কিছুটা পেছনেই গাজীপুর। ঐখানে শালবন সহ গাছপালা অনেক বেশি। যার কারণে ঢাকার তুলনায় ঠান্ডা অনেক বেশি ছিল।
আমরা আসলে বিকল্প রাস্তা ধরেই বাসায় এসেছিলাম। কিন্তু ওয়ানওয়ে হবার কারণে আর কোনো কাটা না থাকার জন্য আমাদেরকে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছিল। সাথে ছিল মারাত্মক রকমের জ্যাম। যার কারণে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি সময় লেগেছিলো।
আমার কাছে গ্রাম অনেক ভালো লাগে কারণ সেখানে এত্তো জ্যাম নেই।