গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া। -1
Edited by Canva |
---|
আজকে ঘুম ভেঙেছে অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা লেট করেই। কিন্তু তাতে কোনো সমস্যায় হয় নাই কারণ আজকে ছিল ছুটির দিন। প্রতিদিন মতোই হাঁটাহাঁটি শেষ করে নাস্তা নিয়ে ভাবি কিন্তু আজকে মাথা থেকে নাস্তা বানানোর চিন্তা পুরোপুরিই বাদ দিলাম। কোন আমার আজকের পরিকল্পনা হলো হাবিকে বাজারে পাঠানো । যদিও তাই গতরাতের কোথায় বুঝতে পেরেছিলাম যে বাজারে যাওয়া সে পাশ কাটানোর ধান্দা করতেছে। কিন্তু আমিও আমার পরিকল্পনাতে অটল।
তার কথাটা যতটা বুঝতে পেরেছি সে সকালবেলাতেই গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার প্ল্যান করেছে ।
সে ঘুম থেকে উঠার পরে বাজারে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিলাম। সে যথারীতি কিছুটা সময় ঘ্যানঘ্যান করে বাজারের দিকে রওনা দিলো।বাজার থেকে ফেরার পথে তাকে নাস্তা নিয়ে আসতে বললাম।
কিছু সময় পরে সে বাজার থেকে ফিরলো। এরপর সবাই মিলে নাস্তা করে নিলাম। নাস্তা শেষ করে রান্না ঘরে ঢুকলাম। মাছ কেটেই এনেছে। শুধু ইলিশ কেটে আনে নাই। ইলিশ আনলে অমিই কেটে আন্তে নিষেধ করি। কারণ কেটে আনলে ফ্রিজে রাখলে মাছের কোনো স্বাদ পাওয়া যায় না।
Edited by Canva |
---|
কিন্তু আস্ত ইলিশকে যদি কমপক্ষে দুইটা পলিব্যাগ দিয়ে ভালো করে পেচিয়ে টেপ দিয়ে আটকে রাখা যায় যাতে কোনোভাবে বাতাস না ঢুকে তাহলে সারাবছর রাখলেও একই রকম থাকে, স্বাদের তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটে না । কিন্তু যদি কোনোভাবে ভেতরে বাতাস ঢুকে তাহলে আর খাওয়া যায় না।
তাই আমি তিনটা ইলিশ কেটে বাকি ইলিশগুলিকে ভালোভাবে সংরক্ষণ করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখলাম। ভাবলাম যে ,আজকে আইরমাছ আলু দিয়ে মাখোমাখো ঝোল করে রান্না করবো আলু আর ধনেপাতা দিয়ে সাথে ইলিশ মাছ ভাজবো একটা। আসলে ইলিশগুলির সাইজ একদমই ছোট ছিল।
রান্না শুরু করবো এমন সময় আমার হাবি রান্নাঘরে ঢুকে আমার ব্রেইনওয়াশ করার চেষ্টায় লেগে গেলো এটা বলে যে ,চলো আমার সাথে তাহলে আর কষ্ট করে তোমাকে রান্না করতে হবে না।
কিন্তু আমি তার এই চেষ্টায় একদমই সারা দিচ্ছিলাম না কারণ আমার ছোট ছেলের পরীক্ষা আর বড় ছেলেও সময় পাই না একদমই। তাই আজকের দিনটাওদের সাথেই কাটাতে চাচ্ছিলাম।
কিন্তু তার এই চেষ্টাতে সে এক সময় সফল হলো। বড়ো ছেলেকে সে তার সাথে যেতে রাজি করিয়ে ফেললো। এরপরে দুইজনে মিলে একসাথে এসে আমাকে রাজি করিয়ে ফেললো একসময়।
আমার অবশ্য এমনিতে গ্রামে যেতে ভালোই লাগে। ঘুরে বেড়াতে আমার ভালো লাগে সবসময়ই কিন্তু এই রাস্তায় আমার কাছে বাড়তি পাওনা হলো আড়িয়াল বিল। এই বিলের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে।এতবার এই বিলের মাঝ দিয়ে সরু আঁকাবাঁকা সাপের মতো রাস্তায় চলাচল করেছি কিন্তু প্রতিবারই নতুন লাগে। বছরের একেক সময় একেক রকম।
আজ তো আপনারা দুজনের কেউই নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারলেন না। না আপনার হাজব্যান্ড পারলেন বাজারে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত অটল থাকতে। আর না পারলে আপনি গ্রামের বাড়িতে যাওয়া না যাওয়ার সিদ্ধান্ত অটল থাকতে। তবে যাই বলুন না কেন এই ধরনের ছোটখাট গৃহযুদ্ধ প্রতিটি সংসারের মূল ভীত বলে আমার মনে হয়। এমন কোনো সংসার আপনি পাবেন না, যেখানে এই ধরনের ছোটখাট গৃহযুদ্ধ না হয়,কারণ এইটুকু নাহলে বোধহয় সংসারটা প্রকৃত অর্থে সংসার হয়েই ওঠে না।
আপনার পোস্ট পড়ে আজ একটা ভালো জিনিস শিখলাম, ইলিশ মাছ কিভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। খুব সুন্দরভাবে আপনি বিষয়টিকে উপস্থাপন করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। অনেকেই আছে ইলিশ মাছ সংরক্ষণ করতে চান, কিন্তু সঠিকভাবে করতে পারেন না।
আড়িয়াল বিল সম্পর্কে অল্প কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন, তবে যেটুকু পড়লাম তাতে করে এই বিলটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ইচ্ছে করছে। সম্ভব হলে পরবর্তী কোনো পোস্টে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ছুটির দিনের খুনসুটির গল্প পড়তে বেশ ভালোই লাগলো। ভালো থাকবেন।
সংসার জীবনে আসলে আমরা খুব একটা নিজেদের সিদ্ধান্তে অতল থাকতে পারি না কেউ-ই। ভালো থাকার জন্য ছাড় দিতে হয় অনেক।
আড়িয়াল বিল নিয়ে আপনি আমার মনের কথাই বলেছেন। আমি অনেক দিন থেকেই চাচ্ছিলাম এই আড়িয়াল বিলনিয়ে লিখতে। কিন্তু লিখি লিখি করে আর লেখা হয়ে উঠতেছে না। তবে লিখবো খুব শীগ্রই আশা করি।।
ভালো থাকবেন সবসময়।