RE: ভরসা বিক্রিত নয়, উপার্জিত। We can't buy trust, it only can be earned!
আমার আজকাল মনে হতে শুরু করেছে, কাজের জায়গায়, কাজের বাইরে বিশেষ কিছু আশা না করা শ্রেয়।
আমার বিশ্বাস এমন ভাবনা যে শুধু আজকাল মনে আসছে এমন নয়, আরও বেশ কিছু বছর আগে থেকে একই ভাবনা চলে আপনার মনে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা কেউ বেশিদিন আমাদের স্বভাব বহির্ভূত কাজ করতে পারি না। ফলতো অন্যকে বিশ্বাস করাটা যেমন আপনার স্বভাব, আপনি অনায়াসেই কখন, কিভাবে, সেটা করে ফেলেন হয়তো নিজেও বুঝতে পারেন না।
প্রতিবার কষ্ট পেলে মনে হয় আর নয়, এবারই শেষ। এখন থেকে আর কাউকে বিশ্বাস করা যাবে না, কাজের বাইরে আর অন্য কিছু আশা করা যাবে না ,কিন্তু ওই যে বললাম স্বভাব। সেটাকে কিভাবে বদলাবেন?
একই সমস্যা আমার ক্ষেত্রেও। তবে হ্যাঁ ক্ষনিকের জন্য খারাপ লাগলেও, কখনো কখনো এটা ভাবতে ভালো লাগে মানুষকে বিশ্বাস করতে পারার মতো একটি গুণ আছে আমাদের মধ্যে। এমনকি বিশ্বাস রাখতে পারার মতোনও। এই দুটি গুনের সমন্বয় একটি মানুষের মধ্যে খুব কম লক্ষ্যিত হয়। তাই খারাপ লাগাটুকু উপেক্ষা করে, এটা ভাবতে ভালোই লাগে, অনেকে আমাদের বিশ্বাস ভাঙলেও,অন্ততপক্ষে আমরা কারোর বিশ্বাস ভঙ্গ করিনি কখনো। আর এই কারণে বোধহয় সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে খুব বেশি অপছন্দ করবেন না ☺ কি বলো?
হয়তো আমাদের জীবনে বিশ্বস্ত মানুষের সংখ্যা কম। তবে যারা থাকে তারা আজীবনের। ঠিক যেমন আমার জীবনে আপনি, আর আপনার জীবনে আমি। এই বা কম কিসের?
মা মেয়ে মিলে একে অপরের বিশ্বাসই নয় আগলে রাখবো সারাজীবন। ভালো থেকো।
@sampabiswas শিক্ষার তারতম্য এখানেই। আসলে, উপরিউক্ত লেখায় যে শুধু নিজের কথাই লিখেছি তাই নয়, এমনটা যেমন তোর সাথেও হয়েছে, তবে কিছু ঘটনা আমাকে আজকাল ভীষণ বিরক্তিকর জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন!
মাছেদের চোখের পাতা নেই, তাই তারা চোখ খুলে ঘুমায়, কিন্তু মানুষের চোখের পাতা থাকা সত্ত্বেও লজ্জার মাথা খেয়ে, মান সম্মানের বিষয়গুলো বেমালুম ভুলে, যখন বেহিসাবি আচরণ করে, তখন আমার প্রচণ্ড বিরক্ত সাথে তিক্ততায় মন ভরে যায়।
তোর সাথে আমার কিছুক্ষেত্রে মিল থাকলেও একটা বিষয়ে বিস্তর পার্থক্য আর সেটা হলো, আমি প্রথমে ধৈর্য্য ধরে অনেকখানি নিয়ে নি, কিন্তু তারপর যদি মুখ ঘুরিয়ে ফেলি, লক্ষ প্রচেষ্টায় অথবা কোটিবারেও সেই মুখ আর ওইদিকে ঘোরাই না।
আমার এই জেদের বিষয়টি আত্মীয় দের অনেকেই জানে বলে বেশি কিছু বলার সাহস পায় না।
তোকে বলেছিলাম, আমার মাসতুতো দিদি যখন আমাকে ওর বাড়িতে যেতে বলেছিল কি উত্তর দিয়েছিলাম।
পরিস্থিতির শিক্ষাকে কাজে আমি প্রতিনিয়ত প্রয়োগ করি বিশেষ করে অনেক ছ্যাঁকা খাবার পরে।
মানুষের ভান, নকল ব্যবহার, মিথ্যে আমার সবচাইতে অসহ্যের জায়গা, আর আমি সত্যি বলতে নিজের অভিব্যক্তি লুকোতে পারিনা একেবারেই।
সময় আসলে সকল প্রশ্নের উত্তর বিয়ে নিয়ে আসে, যার যেটা প্রাপ্য সেটাই পাবে, তাই মন খারাপ হলেও আজকাল আর বেশিদিন সেটা স্থায়ী হয়না।
এক্ জায়গায় আঘাত পেতে পেতে যেমন সেই জায়গা অবশ হয়ে যায় ঠিক তেমনি।