"কাতলা মাছের কালিয়া রেসিপি"
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো ভাবে শুরু হয়েছে এবং সারাটা দিন যেন অনেক ভালো কাটে সেই প্রার্থনা রইলো।
আজ আমি আপনাদের সবার সাথে একটি মাছের রেসিপি শেয়ার করবো। মাছ খেতে আমি একদমই পছন্দ করি না (চিংড়ি ও ইলিশ ব্যতীত)। তবে আমাদের বাড়িতে আমার শাশুড়ি মা বড্ড বেশি মাছ পছন্দ করেন।
শুভও মোটামুটি মাছ খেতে পছন্দ করে। তবে ইদানিং শশুর মশাই আমার মতন মাছ খেতে পছন্দ করেন না। যাইহোক শাশুড়ি মা যেহেতু পেঁয়াজ রসুন কিছুই খান না, সেই কারণে আমি শুধু শুভর জন্য কাতলা মাছের কালিয়া রান্না করেছিলাম।
এর আগে কখনো এভাবে রান্না করিনি, তাই ইউটিউবে ভিডিও দেখেছিলাম ঠিকই, তবে শেষ পর্যন্ত রান্নাটা আমি নিজের মতন করেই করেছি। তবে স্বাদ কেমন হয়েছিল সেটা আমি বলতে পারবো, তবে শুভর বেশ ভালো লেগেছিল।
কিভাবে রান্না করেছি, আর কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছিলাম, সেই সবকিছুই এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো। চলুন তাহলে শুরু করি। প্রথমেই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রেসিপিটি করতে আমি কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি-
|
---|
উপকরন | পরিমাণ |
---|---|
১. কাতলা মাছের পেটির পিস | ২টি( আপনারা আপনাদের প্রয়োজন অনুসারী নেবেন) |
২. পেঁয়াজ | ২টি (ছোটো আকারের) |
৩. আদা | সামান্য |
৪ রসুন | ৮-১০ কোয়া |
৫. কাঁচা লঙ্কা | ৪ টি |
৬. টকদই | ½ কাপ (ফেটিয়ে নেওয়া) |
৭. জিরেগুড়ো | ½ চা চামচ |
৮. ধনেগুড়ো | ⅓ চা চামচ |
৯. হলুদ গুড়ো | ১ চামচ |
১০. কাশ্মীরি লঙ্কা গুড়ো | ½ চা চামচ |
১১. গরম মশলা গুড়ো | ¼ চা চামচ |
১২. সাদা তেল | ½ কাপ |
১৩. তেজপাতা | ১ টি (ফোরণের জন্য) |
১৪. লবন | স্বাদ অনুসারে |
১৫. লবঙ্গ,দারুচিনি,এলাচ,স্টার অ্যানিস | সবকটি সামান্য পরিমাণে লাগবে ফোরণের জন্য। স্টার অ্যানিস নাও দিতে পারেন। |
|
---|
➡️প্রথমেই মাছের পিস দুটোকে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। অন্যদিকে আদা, রসুন এবং কাঁচালঙ্কা গুলিকে ভালও করে বেটে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপর পরিমাণমতো লবণ, হলুদ ও সামান্য পরিমাণে বেটে রাখা কাঁচালঙ্কা ও আদা রসুনের পেস্ট এবং সামান্য সাদা তেল দিয়ে মাছের পিস দুটোকে ভালোভাবে কিছুক্ষণের জন্য মেরিনেট করে রাখতে হবে।
➡️পেঁয়াজ দুটিকে ভালো করে কুচিয়ে নিয়ে, অর্ধেক পরিমাণ পিঁয়াজ শিল নোড়ায় বেটে নিতে হবে এবং বাকিটা কুরানো অবস্থাতেই ব্যবহার করতে হবে।
➡️এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে, তার মধ্যে ম্যারিনেট করে রাখা মাছের পিস দুটো দিয়ে ভালো করে ভেবে নিতে হবে। মাছ ভাজা হয়ে গেলে,সেগুলো রেখে ওই তেলের মধ্যে ফোরণের জন্য রাখার সমস্ত কিছু দিয়ে, তার মধ্যে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজগুলো দিয়ে খুব ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
➡️পেঁয়াজগুলো ভাজা হয়ে গেলে, তার মধ্যে আগে থেকে তৈরি করা পেঁয়াজ বাটা, আদা রসুন ও কাঁচা লঙ্কার পেস্ট দিয়ে, ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। মাছ ম্যারিনেট করে রাখা পাত্রের মধ্যে সমস্ত কিছু গুড়ো মশলা, অর্থাৎ হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে, সেটাও মশলার মধ্যে দিয়ে একসাথে খুব ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে, যাতে মসলার কাঁচা গন্ধ না থাকে।
➡️আগে থেকে ফেটিয়ে রাখার টকদই দিয়ে দিতে হবে এবং তার মধ্যে সামান্য জলও দিতে হবে। এরপর মশলা গুলো খুব ভালো ভাবে কষিয়ে নিতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত একটি সুন্দর গন্ধ না আসে।
➡️এরপর সামান্য পরিমাণে জল দিতে হবে। জলটা একটু আন্দাজ করে দেবেন। কারণ আপনারা কতখানি গ্রেভি রাখতে পছন্দ করবেন, সেই অনুযায়ী জল ব্যবহার করবেন। এরপর আগের থেকে ভেজে তুলে রাখা মাছের পিস দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করতে হবে।
➡️নামিয়ে নেওয়ার আগে সামান্য পরিমাণ গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে, গ্যাস বন্ধ করে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে কাতলা মাছের কালিয়া। রান্নাটা করা কালীন গন্ধটা বেশ ভালোই আসছিল।
গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করবেন এই রেসিপিটি। শুভ খেয়ে ভালোই বলেছিল।
ব্যাস এই ভাবেই আমি তৈরি করেছিলাম কাতলা মাছের কালিয়া। যাইহোক আমি আমার মত করে রেসিপিটি তৈরি করেছি। আপনারা কারা কাতলা মাছের কালিয়া খেতে পছন্দ করেন এবং আপনারা এই রেসিপিতে আরও অন্য কিছু ব্যবহার করেন কিনা, সে বিষয়ে অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আসলে আমি এর আগে কখনো কাতলা মাছের কালিয়ার খাই নাই কিন্তু আজকে আপনার এই রেসিপিটা দেখে অবশ্যই খেতে মন চাচ্ছে, যদি সময় পাই তাহলে আমিও আপনার মতন এভাবে কাতলা মাছের কালিয়া আমার সাথে খালি রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করব। আপনাকে অসংখ্যভাবে ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
রেসিপিটি দেখে স্ত্রীকে একদিন বানাতে বলবেন, আশাকরি খেতে মন্দ হবে না। আমার হ্যাজব্যান্ড খেয়ে ভালোই বলেছিল, সেই জন্য বললাম। তবে আমি খেয়ে দেখি নি। কাতলা মাছ যখন খান, তখন এই রেসিপিটি একবার টেস্ট করে দেখবেন। ভালো থাকবেন।
অনেকদিন পর আপনার পোস্ট ওপেন করলাম মাছের কালিয়া দেখার জন্য শুধু তো দেখতে পারবো খেতে তো আর পারবো না 🤣
পছন্দের খাবার সবাই একটু বেশি খেতেই পছন্দ করে, কিন্তু আপনি মাছ খেতে পছন্দ করেন না চিংড়ি ও ইলিশ ব্যতীত।। আসলে অনেক সময় সংসারে বাকি সদস্যদের জন্য নিজের অপছন্দের জিনিসও রান্না করতে হয়। শুনে ভালো লাগলো আপনার শাশুড়ি মাছ প্রিয় একজন মানুষ।।
আমরা অনেক সময় অনেক কিছু ইউটিউব দেখে করে থাকি যেমন আজকে মাছ আপনি youtube থেকে দেখেছেন পরে নিজের মতো করে করেছেন। খুবই চমৎকারভাবে ধাপে ধাপে রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে দেখতে অনেক ভালো লাগছিল খেতে পারলে আরো ভালো লাগতো।।
হ্যাঁ, বেশিরভাগ সময়ই অন্যের পছন্দের রান্না করতে হয়। নিজের পছন্দের রান্না মেয়েরা করে না বললেই চলে। বিশেষ করে আমি। কারন রান্না করতেই আমি পছন্দ করি না। তবুও বাধ্য হয়ে সবার জন্য করতে হয়। নতুন পদ রান্না করতে গেলে ইউটিউব দেখে নিই একথা সত্যি, তবে সেই রেসিপি সম্পূর্ণ ফলো করা হয় না। কিছু কিছু উপকরণ বাদ দিয়ে দিই, আবার কিছু উপকরণ যোগ করি। মিলিয়ে মিশিয়ে ফলাফল মোটামুটি ভালোই হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। ভাগ্যে থাকলেও কখনো না কখনো নিশ্চয়ই আপনাকে আমার রান্না খাওয়ানোর সুযোগ হবে। ভালো থাকবেন।
যেকোনো রেসিপি মূলক পোস্ট পড়তে বরাবরই আমার খুব ভালো লাগে। মাছ আমার খুব প্রিয়। তবে আমিও আপনার মতে ইলিশ মাছ খেতে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমার ভীষণ এলার্জি এজন্য ইচ্ছে করলেও চিংড়ি মাছ খেতে পারি না।
আজ আপনি কাতলা মাছের কালিয়া তৈরির রেসিপি তুলে ধরেছেন। সত্যি বলতে আপনার রান্না কিন্তু বেশ লোভনীয় হয়েছে, সম্ভব হলে এখনই রওনা হতাম আপনার বাড়ি। ❤️
ইস্ আপনার লেখা শেষ লাইনটি পড়ে আপ্লুত হলাম। কোনোদিন নিশ্চয়ই দেখা হবে আমাদের। তখন নিজের রান্না করা কোনো না কোনো পদ খাওয়ানো চেষ্টা করবো। চিংড়ি মাছ এলার্জির ভয়ে অনেকেই খেতে পারে না। তবে ভাগ্যিস আমি সেই দলে নই। খাওয়ার মধ্যে খাই দুটো মাছ, এলার্জির কারনে যদি একটা বাদ দিতে হয় তাহলে অন্যটিও খাওয়া হবে না, কারন ওর দাম শুনলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার মতো অবস্থা হয়ে যায় 😃। ভালো থাকবেন।
আরে আপনি তো ঠিক আমার মতন। আমিও কোন ধরনের মাছি খাই না। তবে চিংড়ি খুব পছন্দের। আর ইলিশ মাছ যদি ভেজে দেওয়া হয় তাহলে খাই। মাছ খাই না বলে আমার আম্মুর প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন রান্না করতে হয়। যেহেতু মাছ খাই না সেহেতু রান্না করারও তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু আপনার রন্ধন প্রণালী দেখে মনে হচ্ছে রান্নাটা সোজা এবং খেতে সুস্বাদু হবে। আমি প্রায় প্রায় কমিউনিটির রান্না সম্পর্কিত পোস্টগুলো আম্মুকে দেখাই রান্না করার জন্যম এটিও লিস্টে থাকলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বাহ্ আপনার পছন্দের সাথে আমার মিল আছে তাহলে। হ্যাঁ রেসিপি বেশ সোজা। আর খেতেও নাকি বেশ ভালো। যদিও আপনি খান না, তবুও আপনার পছন্দের লিস্টে রেসিপিটিকে জায়গা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মা নিশ্চয়ই কোনো না কোনো দিন এই রেসিপিটি তৈরি করবেন, এই আশায় রইলাম। ভালো থাকবেন।
পছন্দের দিক থেকে আপনি খানিকটা আমারই মতন। মাছ আমিও খুব একটা পছন্দ করি করি না ইলিশ এবং চিংড়ি ছাড়া। অনেকটা বিপদে পরেই খাই বেশিরভাগ সময় অন্য কিছু করতে হবে বলে।
কাতলা মাছটা আমাদের বাড়িতে নিয়মিতই রান্না করা হয়। যদিও কালিয়া খুব কমই রান্না করেছি আমি। অনেকটা আপনার মতো করেই করেছি হয়তো সেটাও ইউটিউব থেকে দেখেই করেছিলাম বলে।
এটি অনেকেই করে, নিজের জন্য আলাদা কিছু রান্না করতে হবে সেই কারণে অপছন্দের জিনিসও খেয়ে নেয়। যদিও মাছের ক্ষেত্রে আমরা এটা করতে পারি না, তবে সবজির ক্ষেত্রে আমিও এই একই কাজ করি। যেহেতু কাতলা মাছটা প্রতিনিয়ত আপনাদের বাড়িতে রান্না হয়, তাই মাঝে মধ্যে এভাবেই করবেন একটু স্বাদ বদল হবে এই আর কি। নতুন রেসিপি রান্না করার জন্য সকলেরই বোধহয় youtube ই ভরসা। ভালো থাকবেন।
আমাদের বাঙালিদের বলা হয়, "মাছে ভাতে বাঙালী", মাছ ব্যতীত আমাদের খাবার যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়, ভাতের সাথে মাছ না থাকলে খাবারের স্বাদ পাওয়া যায় না, ভাতের সাথে যদি এই রকম কাতলা মাছের কালিয়া পাওয়া যায় তাহলে আর কোন কথা নাই, শুধু মজা করে খাও। ধন্যবাদ কাতলা মাছের কালিয়া এই সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হা হা হা.... ঠিক বলেছেন, মাছে ভাতে বাঙালি কথাটি ভীষণ প্রচলিত একটি কথা। আর বেশিরভাগ বাঙালি সত্যিই মাছ প্রেমী হয়ে থাকে। আমি যদিও কিছুটা ব্যতিক্রমী। তবে রান্না করতে হয় প্রতিদিন। আপনি আমার তৈরি রেসিপিটি পছন্দ করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
সত্যি কথা বলতে দিদি খাওয়া কাজে আমি বিশাল পটু আপনাদের এমন নিত্য নতুন রান্নার আইটেম দেখে অনেক লোভ লাগে যদি প্রযুক্তির এমন কোন কায়দা বের করত যে ছবি থেকে তুলে খাওয়া যাবে তাহলে হয়তোবা আমার পক্ষে আরো ভালো হতো, 🤤🤤
আজকে আমরা আপনার মাধ্যমে শিখতে পারছি কাতলা মাছের কালিয়া রান্নার খুব সুন্দর রেসিপি কোন সময় যদি সম্ভব হয় তাহলে একটু চেষ্টা করে দেখব।
যদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনি প্রতিদিন একটি করে রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
😊😊 এমন দিনও হয়তো কখনো আসবে ভাই, তবে কবে, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। যারা খেতে পছন্দ করেন, তাদের খাওয়াতে আমার খুব ভালো লাগে। কোনোদিন সুযোগ হলে নিশ্চয়ই খাওয়াবো। রান্নাটি অনেক সহজ। একটু সময় নিয়ে করবেন, অবশ্যই পারবেন। আর খেয়ে কেমন লাগলো, জানাতে ভুলবেন না। এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।