খাসির মাথা ও মগজ রান্নার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
- প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি বাসায় খুব সহজে খাসির মাথা ও মগজ রান্না করেছি। তাই ভাবলাম যে এত সুন্দর একটি রান্না আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
খাসির মাথা ও মগজের রান্না অত্যন্ত সুস্বাদু একটি পদ, যা সঠিক মসলা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে আরও মজাদার হয়ে ওঠে।কিন্তু আজ আমি রান্না করার আগে অনেকবার ভেবেছি অনেকদিন পর খাসির মাথা ও মগজ রান্না করব কেমন হবে না হবে।
আসলে প্রত্যেকটা রান্নার আগেই অনেক চিন্তা হয় যে রান্নাটা আসলে কেমন হবে ভালো হবে কিনা। তবু হাজার চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে প্রত্যেকটা দিন রান্নাবান্না করতেই হয়।আমার তো এরকমটাই চিন্তা হয় আপনাদের কারো এরকম হয় কিনা অবশ্যই জানাবেন ।
নিচে খাসির মাথা ও মগজ রান্নার একটি সহজ এবং সুস্বাদু রেসিপি দেওয়া হলো।
|
---|
নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | **খাসির মাথা ** | ১ টি। |
২. | **খাসির মগজ ** | ১টি |
৩. | **পেয়াজকুচি ** | ২ কাপ |
৪. | রসুন বাটা | ২ চামচ |
৫. | আদা বাটা | ২চামচ |
৬. | **বড় সাইজের আলু ** | ১ টি |
৭. | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
৮. | হলুদ গুঁড়ো | ১চা চামচ |
৯. | জিরে বাটা | ১ চা চামচ |
১০. | ধনে গুঁড়ো | ১ চা চামচ |
১১. | **শুকনো মরিচ গুড়া ** | ৩ চা চামচ। |
১২. | লবন | স্বাদ মতো |
১৩. | **ধনে পাতা কুচি **সাজানোর জন্য। | |
১৪ | **সাদা এলাচ ও গোলমরিচ বাটা ** | ৮ টি |
১৫. | **তেজপাতা **২ টি। |
|
---|
প্রথমে খাসির মাথা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।
ধোয়া শেষ হলে পানি গুলো ঝরিয়ে নিতে হবে।
|
---|
মগজ গরম পানিতে কয়েকবার ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
সামান্য হলুদ ও লবণ দিয়ে ৫ মিনিট সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হলে সাবধানে টুকরো করতে হবে।
|
---|
একটি বড় করাইয়ে তেল গরম করতে হবে।
পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে।এবার আদা ও রসুন বাটা যোগ করতে হবে।এবং মসলা থেকে সুগন্ধ বের না হওয়া পর্যন্ত কষাতে হবে।
হলুদ, মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে কষাতে হবে।
ভালো করে কষানো হয়ে গেলে মাংসগুলো দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে । মাংসের সঙ্গে মসলাগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে ঢেকে ১৫ মিনিট রান্না করতে হবে।এরপর সেদ্ধ করা মগজ দিয়ে নেড়ে হালকা মিশিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, মগজ যেন বেশি ভেঙে না যায়। আলুর টুকরো গুলো দিয়ে দিতে হবে।
এবার ভালো করে নাড়াচাড়া করে এই পর্যায়ে গরম পানি দিতে হবে।গরম পানি দিলে তরকারিটা খুব সুস্বাদু ও মজাদার হয়। ঢাকনা দিয়ে আবারো ১৫ মিনিট রান্না করতে হবে। এবার গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে ৫ মিনিট চুলার উপর রাখতে হবে।
চুলা থেকে নামিয়ে উপর দিয়ে ধনেপাতা ছড়িয়ে দিলে অনেক সুন্দর দেখা যাবে।
|
---|
গরম ভাত, রুটি বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করলে অনেক মজাদার ও সুস্বাদু হয় ।
যাইহোক কেমন লাগলো আজকের রেসিপিটি অবশ্যই আপনারা কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভাল থাকেন সুস্থ থাকেন আল্লাহ হাফেজ।
@samima1 বেশ অনেক মাস্ হয়ে গেলো, আমার না মাছ বাজার করা হয় আর না মাংস কেনা হয়।
প্রথম কারণ, সকালে না গেলে কোনোটাই ভালো পাওয়া যায় না, আর আমি ঘুমোতেই যাই ভোরবেলা, কাজেই সময়ের স্বল্পতা একটি কারণ।
আরেকটি কারণ হলো, আমি যে ফ্ল্যাটে থাকি সেখানে কোনো ব্যালকনি নেই, এবং পৌরসভার গাড়ি আসে সেই সাত সকালে মানে ওই সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার দিকে, এবং ওদের বাঁশির শব্দ না আমি শুনতে পাই আর না তখন আমি জেগে থাকি, তাই নিজেকেই উচ্ছিষ্ট ফেলতে বেরোতে হয় নিজের সময় মতো।
আর আমিষ খাবার ঘরে রাখলে যে দুর্গন্ধ বের হয়, সবজির খোসার ক্ষেত্রে সেটা হয় না, তাই চাইলেও এই সমস্যার কারণে আমিষ কিছু (ডিম ছাড়া) কেনা হয় না।
নইলে, মাটন খেতে আমার বেশ ভালই লাগে, এবং আমি খানিক ভোজন রসিকদের দলভুক্ত। তাই যদি উপরিউক্ত অসুবিধাগুলো না থাকতো হয়তো বাজারের ধরন বদলাতে পারতাম।
আপনার রান্না দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে, করবীর মত যদি পাশে থাকতাম, একটা খালি বাটি সঙ্গে নিয়ে গিয়ে বেল বাজিয়ে নিয়ে আসতাম। যাক সে আর হবার নেই, তবে আপনার ঘরোয়া পদ্ধতিতে রান্নাটি বেশ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো।
প্রথমে জানাই দিদি আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এত ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন।দিদি আপনার এই মন্তব্যটা পড়ে আমার সত্যিই অনেক ভালো লাগলো।
আপনি যে ভোরবেলা ঘুমাতে যান আর সময়ের অভাবে মাছ-মাংস কেনা হয় না,সেটা পুরোপুরি বুঝতে পারছি। আমিষ খাবার ঘরে রাখলে যে দুর্গন্ধ হয়, সেটাও অনেকের ক্ষেত্রেই সমস্যা হয়। তাই আপনার সিদ্ধান্ত বেশ বাস্তব সম্মত। তবে মাটন খেতে আপনার ভালো লাগে শুনে মনটা খুশি হলো।
আপনার ইচ্ছাটা খুব মিষ্টি পাশে থাকলে খালি বাটি নিয়ে বেল বাজিয়ে নিয়ে আসতেন, এটা পড়ে সত্যিই মনে হল,দূরত্বের কারণে কত ছোট কিন্তু মধুর জিনিস মিস করি আমরা।
আপনার এই আন্তরিক মন্তব্যের জন্য আবারো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনার জীবনযাত্রার গল্প শুনে মনে হলো আপনি বেশ রুচিশীল এবং ভোজনরসিক। আর আমি চেষ্টা করব আরো ঘরোয়া রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে,যাতে সময় স্বল্পতা থাকলে আপনি যেন কোনটা বানিয়ে নিতে পারেন। দিদি আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খাসির মাংস অধিকাংশ মানুষের কাছে অনেক প্রিয় তবে আমার কাছে কেন জানি খুব বেশি ভালো লাগে না৷ তবে খাসির মাংস যে খাইনি তেমনটা নয়৷ বাড়িতে শুধুমাত্র বাবা খাসির মাংস পছন্দ করে তাই আমি না খেলে বাড়িতে আনতে পারে না , তাই বাধ্য হয়ে আমাকে খেতে হয় মাঝে মাঝে। আপনি খুব সুন্দর করে খাসির মাংসের রেসিপি শেয়ার করেছেন। ভালো থাকবেন।