অকৃতজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২৬শে, রবিবার ।
হ্যালো ইনক্রেটেবল ইন্ডিয়াবাসী। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি, আজকে নিজের কিছু মনের কথায় লিখে দেয়ার চেষ্টা করব, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
অকৃতজ্ঞতা
মানুষ বড়ই বিচিত্র প্রাণী, সঠিক ভাবে মানুষকে বিচার করা কখনই সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বরাবর সবসময়ই সহজ সরল মানুষ কিংবা পরোপকারী মানুষকেই এ সমাজে বোকা বানানো হয়। মানুষ সব সময় নিজের চাহিদা পূরণ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে মানুষ খুব কম সময়েই অপর মানুষের প্রয়োজন মেটাতে কিংবা তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে।
অনেক মানুষ এতটাই চতুর তারা অপর একটা মানুষকে সাহায্য করেই পরবর্তীতে তাকে ব্যবহার করার জন্য, একই মানুষের কতইনা রূপ দেখা যায় যত দিন যায় তত মানুষের ব্যবহার আচার-আচরণ সবকিছুই পরিবর্তন ঘটে।
একটা মানুষকে আপনি দশ দিন সাহায্য করবেন, একটা মানুষকে আপনি দশবার পাশে দাঁড়াবেন কোন একটি বার যখন আপনি তাকে সাহায্য করতে পারবেন না কিংবা তার পাশে থাকতে পারবেন না, মানুষ নামক এই স্বার্থপর প্রাণী আপনার দশ বার উপকার করার কথা ভুলে যাবে। সে সারা জীবন মনে রাখবে আপনি একটা দিন তার পাশে দাঁড়াতে পারেননি।
কিংবা আপনি দশ দিন তার পাশে দাঁড়িয়েছেন আপনি একদিন আপনার প্রয়োজনে তাকে পাবেন কিনা সেটা পরক্ষণে পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখবেন তিনি বিভিন্ন ব্যস্ততা দেখে আপনার কাছ থেকে এড়িয়ে যাবে। অথচ আপনার হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে আপনি তার পাশে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
সত্যি বলতে অপর পাশ থেকে ভালো ফিডব্যাক আসবে এমনটা আশা করে বর্তমান সময়ে নিজেকে কষ্ট দেওয়ার একটা প্রধান কারণ, আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনি যাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন তারাও একটা সময় আপনাকে সাপোর্ট করবে এটা আশা করা যায় কিন্তু যদি সে আশাটা ভঙ্গ হয় তাহলে কষ্টটা বেশি হয়।
তাই সবসময় আমাদেরকে খারাপ এবং ভালো দুটোই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত, কারণ কথায় আছে, মুখে মধু অন্তরে বিষ। গুরুজনেরা এমন প্রবাদ এমনিতেই তৈরি করেনি। তারা তাদের অভিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতা দিয়ে এই জিনিসগুলো দেখেছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন প্রবাদ রেখে গেছেন।
তাই জীবনের চলার পথে কখনো যদি কোন মানুষকে মনে হয় এই মানুষগুলো অকৃতজ্ঞ কিংবা স্বার্থপর, তাহলে বুদ্ধিমানের কাজ হবে তাদের সাথে আগামীতে কোন লেনদেন কিংবা ঘনিষ্ঠতা খুব বেশি করা উচিত নয়। কারণ এরা কোন একদিন আপনাকে ব্যবহার করবে ঠিকই কিন্তু কোনদিন আপনার কাজে আসবে না।
এদেরকে সুসময়ের বন্ধু বলা যেতে পারে, অকৃতজ্ঞ মানুষ কখনোই প্রকৃতপক্ষে একজন ভালো বন্ধু হতে পারে না। অকৃতজ্ঞ মানুষের দ্বারা যে কোন কিছু করা সম্ভব, তারা তাদের স্বার্থের জন্য আপনার পূর্বের সকল কাজের প্রতিদান তো দিবিনা বরঞ্চ আপনার নিন্দা করতে ব্যস্ত হয়ে যাবে।
আমার এই ছোট জীবনে কিছু মানুষের কাজে আসার চেষ্টা করেছি, কিছু মানুষের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাও দেখেছি আবার অনেক অনেক অকৃতজ্ঞ মানুষ দেখেছি। কখনো কখনো খুব বেশি আফসোস হয় অকৃতজ্ঞ মানুষের জন্যই অনেক কিছু করেছিলাম, দিন শেষে তারাই সবার আগে মুখ ফিরিয়ে নেয়। অকৃতজ্ঞ মানুষেরা একটা সময় কোন মানুষেরই প্রিয় হতে পারে না। তাই খারাপ সবসময়ই খারাপ, এজন্য আমাদের সকলের উচিত ছোট ছোট বিষয়ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে প্রথমত নিজের মধ্যে একটা বড় পরিবর্তন আসে এবং আপনি যে মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন সেই মানুষটাও আপনার প্রতি খুশি থাকে। এটা করে অপর মানুষের সাথে ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি হয় এবং সমাজে কিংবা বন্ধু মহলে আপনি একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিতি পাবেন।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। এবং আজকে আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। সত্য বলেছেন, কিছু-কিছু মানুষ আছে তাঁরা সব সময় অকৃতজ্ঞ প্রকাশ করে তাদেরকে কখনো সাহায্য করতে হয় না। তাদের কাছ থেকে দূরে থাকা উত্তম, তা বলে কি মানুষ-মানুষকে সাহায্য করবে না, করবেন যেটা আপনার পক্ষে সম্ভব। ওইটাই করবেন বাড়তি কোন সাহায্যের হাত বাড়াবেন না।আর বন্ধুবান্ধব গুলি এরকমই হয়ে থাকে। এত সুন্দর একটি বিষয়বস্তু নিয়ে, আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এর জন্য,আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মানবিকতার দিক থেকে সবাইকে সাহায্য করা উচিত, তবে সাহায্য করতে গিয়ে অপর পক্ষের মানুষ যেন আপনাকে ব্যবহার না করে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য আমাকে উপহার দিয়েছেন।
আপনার লেখাটি গভীর ও চিন্তাশীল। অকৃতজ্ঞতার বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কৃতজ্ঞতার মূল্য বোঝে না, এবং তাদের আচরণ সত্যিই কষ্ট দেয়। তবে আপনার শেষ কথাগুলো, যেখানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, সেটি অনুপ্রেরণামূলক।
আসলে, কৃতজ্ঞতার মাধ্যমে সম্পর্ক আরও মজবুত হয় এবং আমাদের মনও প্রশান্তিতে ভরে ওঠে। আপনার এই চিন্তাভাবনা আমাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করবে। এমন মানবিক ও শিক্ষণীয় লেখা পড়ে ভালো লাগল। শুভকামনা রইল।
মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে কোন একটা মানুষের উপকারে আসতে পারলে সেইখান থেকে যে তৃপ্তি পাওয়া যায় পৃথিবীতে সবথেকে বড় সুখের অনুভূতি এটাই, কিন্তু এটা যেন অপরপক্ষের মানুষ সরলতার সুযোগ নিয়ে বারবার ব্যবহার না করে সেদিকেও আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে সচেতন হতে হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।
বর্তমান সময়ের মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে অনেক বেশি অনীহা প্রকাশ করে আপনি প্রতিনিয়ত একটা মানুষের উপকার করতে করতে যখন একটা সময় আপনার নিজের কোন কাজের সমস্যা দেখা দিবে বা আপনি তার উপকার করতে পারছেন না তখনই কিন্তু আপনি তার কাছে খারাপ হয়ে যাবেন।
বর্তমান সমাজ এমন একটা অবস্থানে গিয়ে পৌঁছে গেছে যে মানুষ শুধুমাত্র স্বার্থের কারণে আমাদের কাছে আসে যখন স্বার্থ শেষ হয়ে যায় তখন আপনার পরিবার কিংবা আপনার প্রিয় মানুষ সবাই কিন্তু আপনাকে অবহেলা শুরু করে যতদিন প্রয়োজন ততদিন আপনি তাদের প্রিয়জন যখন প্রয়োজন শেষ তখন আপনাকে তাদের আর প্রয়োজন হয় না।
অকৃতজ্ঞ মানুষগুলোকে কখনোই উপকার করা উচিত নয় কারণ তারা উপকার করার কথা মনে রাখেনা আপনি কোন দিন তার উপকার করতে পারেননি সেই কথাটা কিন্তু তারা খুব ভালো মনে রাখে অসংখ্য ধন্যবাদ উপর উপরোক্ত বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
আমি ঠিক বলেছেন বর্তমান সময়ে মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে অনেকটাই অনীহার হয়ে গেছে, তবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা একটি মহৎ গুণ এতে করে সামনের জন খুবই খুশি হয় যখন আপনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলে অনেক সময়ই দ্বিতীয়বার ওই মানুষরা আর পাশে থাকে না। তাই ছোট ছোট কাজেরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অন্তত ধন্যবাদ টুকু জানানো উচিত, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য এবং খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন।