অনলাইনে কাজের জন্য নিজের পড়াশোনায় যেন পিছিয়ে যাচ্ছে
pexels |
---|
বন্ধুরা অনেকদিন হয় পড়াশোনা থেকে বিরত আছি তাই ভাবতেছি আবারো পড়াশোনা শুরু করে দেব। অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে পড়াশোনা থেকে ধীরে ধীরে যেন পিছিয়ে যাচ্ছি। যেখানে পড়াশোনাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত যেখানে অনলাইনকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলেছি। তাই নিজে থেকেই উপলব্ধি করতে পারলাম যে আমি কোন একটা জিনিস থেকে নিজেকে আস্তে আস্তে সরিয়ে ফেলতেছি তাই পড়াশোনা কে প্রাধান্য দেওয়ার চিন্তাভাবনা করতেছি। অনলাইন থাকলেও পড়াশোনার প্রতি বেশি নিজেকে ফোকাস করতে হবে।
pexels |
---|
আর হ্যাঁ থার্ড ইয়ারে পরীক্ষা দেওয়ার পর এখনো রেজাল্টের কোন খবর পাচ্ছিনা আর এই জন্য পড়াশোনাও করতে ইচ্ছে করে না। আসলে দেশের পরিস্থিতি ও খুব বেশি ভালো না পড়াশোনা যেন দিন দিন মানুষের মধ্য থেকে উঠে যাচ্ছে। আর মানুষ যত পড়াশোনা থামিয়ে দিচ্ছে তত ফোনের প্রতি আসক্ত হচ্ছে যেটা অনেক বাজেভাবে পড়ার উপর ইফেক্ট ফেলছে। আজকাল ক্লাস six থেকে শুরু করে প্রতিটি ছাত্রদের হাতে একটি করে অ্যান্ড্রয়েড ফোন আছে যেটা কিনা পড়াশুনার উপর খুব খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলছে।
pexels |
---|
আমরা নিজেরাই নিজের ক্ষতি করছি পরিবারও সেই ভাবে সচেতন না আর সচেতন হবেই বা কি করে দেশের পরিস্থিতিতে ভালো না। যদি সময় মত পরীক্ষা বা ক্লাস হতো তাহলে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার প্রতি অগ্রসর হতো সেই সাথে পারিবারিক একটি চাপ থাকতো কিন্তু কোন কিছুই সঠিক সময় হচ্ছে না না ক্লাস না পরীক্ষা সেজন্য ছাত্ররা আরো অবহেলা করছে।
আর এভাবে করতে করতে হঠাৎ করেই এনাউন্সমেন্ট চলে আসে পরীক্ষার বা ক্লাসের তখন ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক চাপে পড়ে যায়। আর এই জন্যই ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্ট খুব বেশি ভালো হয় না তারা নিয়মিত পড়াশোনার সাথে যুক্ত থাকে না। যার জন্য বেশিরভাগ ছাত্রদের ক্ষেত্রে রেজাল্ট ভালো করা সম্ভব হয় না। জানিনা কবে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আর পড়াশোনার প্রতি সরকারেরও একটা চিন্তা ভাবনা থাকবে। এখন মনে হয় অন্তবতি সরকার পড়াশোনা দিকে খেয়ালই দিচ্ছে না ছাত্র-ছাত্রীরা দিন দিন যেন এক অন্ধকারের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে।
আমি আমার কথাই বলি অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর থেকে পড়াশোনার থেকে ধীরে ধীরে যেন পিছিয়ে যাচ্ছিলাম। সেটা বিভিন্ন কারণে, বিশেষ করে করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে পড়াশোনার অবস্থা অনেক বেশি অবনতি হয়েছে। আর পড়াশোনা না করতে করতে এখন আর ইচ্ছা করে না। আসলে মানুষ পড়াশোনার না করে ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে গেছে যার ফলাফল খুবই ভয়ানক হচ্ছে। জানিনা কবে অনার্স পাস করতে পারব, নিজের একটা কর্মস্থল খুঁজে পাবো তবে চেষ্টা করছি আবারও সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনতে ।
THE QUEST TEAM has supported your post. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
একদম মনের মত একটা কথা বলেছেন বর্তমান সময়ে পড়ালেখা যেন দিনকে দিন মন থেকে উঠেই যাচ্ছে সবার।।
আর আমার মনে হয় অনলাইন বা অন্য কোন কাজের উপরে বেশি মন দিলে কোন কাজ আর ঠিকমতো করা হয় না,,,
এ সমস্যাটা আমি দিন দিন আমার হাসবেন্ডের ভিতরেও দেখতে পাচ্ছি।। তবে আমাদের সবার উচিত যে কাজের উপরে বেশি মন অন্য কাজের ক্ষতি হয় সেই কাজ থেকে বেরিয়ে আসা কিছুদিনের জন্য।
জী আপু যত সময় যাচ্ছে মানুষ তত পরিবর্তন হচ্ছে আগে দেখতাম সকল বিকাল প্রতিটা ছাত্র পড়াশোনা ব্যস্ত থাকতো আর বর্তমান সময়ে দেখি ফোন নিয়ে ব্যস্ত।। আমার মনে হয়না মানুষ এখান থেকে খুব সহজে ফিরে আসতে পারবে যদি পারিবারিক শিক্ষা না দেওয়া হয়।।
অনলাইনে কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া খুবই ভালো তবে পড়াশোনার ক্ষতি করে অনলাইন কাজ করাটা আদেও ঠিক বলে মনে করি না।
তবে আমার কাছে মনে হয় যে অনলাইন কাজের চাইতে বেশি পড়াশোনা ক্ষতি করে facebook অথবা youtube এর কারনে কেননা যখন মানুষ এগুলো দেখতে বসে তখন ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে যায় পড়তে মনে চায় না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
একদম বাস্তব কথা বলেছেন ভাই অনলাইনে চাইতে পড়াশোনার প্রতি বেশি সময় দেওয়া উচিত।। আর বর্তমান সময়ে ফেসবুক ও ইউটিউবে ঢুকলেই সময় কোন দিক দিয়ে পার হয়ে যায় আমরা বুঝতেই পারি না তাই আমাদেরকে এগুলো ছেড়ে পড়াশুনায় মন দিতে হবে।।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলছেন শেষ জামানায় সময় খুব দ্রুতই পার হবে আমি এই কথাটা আগে বুঝতাম না কিন্তু এখন বুঝতে পারি যে সময় খুব দ্রুতই আমাদের জীবন থেকে চলে যাচ্ছে তার একটি কারণ হলো অনলাইনে যখন আমরা ব্যস্ত থাকি তখন সময়ের প্রতি কোন খেয়াল থাকে না।