প্রাক্তন স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে যোগদান!🥰
![]() |
---|
Hello Everyone,,,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকের দিনটি ছিল আমার জন্য এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা, কারণ আমি দীর্ঘদিন পর আমার প্রাক্তন স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। প্রাক্তন স্কুলে ফিরে যাওয়ার অনুভূতিটা ছিল একদম আলাদা, মনে হচ্ছিল যেন পুরনো সময়গুলো আবার ফিরে এসেছে। প্রথমে স্কুলের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর, আমার মনের মধ্যে এক অদ্ভুত অনুভূতি শুরু হলো। অনেক দিন পর সেই পরিবেশ, স্কুলের খেলার মাঠ, আমাদের প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখ, সব কিছু একসঙ্গে মিশে যাচ্ছিল।
![]() |
---|
স্কুল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করার পর প্রথমেই চোখে পড়ল বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছে। ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের খেলার মধ্যে মগ্ন, আর তত্পর ছিল তাদের অভিভাবকরা। তাদের মুখে যে হাসি এবং আনন্দ ছিল, তা দেখে আমি একদম ভেসে গেলাম। পুরনো দিনগুলো মনে পড়ে গেল, যখন আমিও এভাবেই খেলার মাঠে দৌড়তাম, বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতাম।
![]() |
---|
স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষকদের মুখেও সেই পুরনো ভালোবাসা ও যত্নের ছাপ ছিল। অনেকদিন পর তাদের দেখতে পেয়ে, তাদের সাথে কিছু মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ পেলাম। তারা আমাদের সকলকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানালেন, যা আমাদের সেই স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলোকে আরও জীবন্ত করে তুলল। বিশেষত, আমার প্রিয় শিক্ষক, যিনি আমাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জীবনের পাঠ দিয়েছিলেন, তাকে দেখে খুবই ভালোলাগল। তার কাছ থেকে কিছু পরামর্শ ও উত্সাহ গ্রহণ করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করলাম।
![]() |
---|
ক্রীড়া অনুষ্ঠানটি ছিল বেশ বড় আকারের। নানা ধরনের খেলার প্রতিযোগিতা ছিল, যেমন ১০০ মিটার দৌড়, রিলে দৌড়, লং জাম্প, দড়ি লাফ, ব্যাডমিন্টন, টমেটো দৌড়, বিস্কুট দৌড় ইত্যাদি। আমার পুরনো সহপাঠী এবং নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এই খেলার মধ্যে ছিল সাহস, দৃঢ়তা এবং সবার মধ্যে একটি ভালো প্রতিযোগিতা।
![]() |
---|
১০০ মিটার দৌড়ের প্রতিযোগিতা চলাকালীন, মাঠের দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমি অনুভব করছিলাম, সেই চিরকালীন উত্তেজনা। আমাদের মধ্যে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা একে অপরকে উৎসাহিত করছিল, এমনকি যারা বিজয়ী হয়নি তারা পরাজয়কে সাদরে গ্রহণ করছিল। এতে আমি দেখতে পেলাম, ক্রীড়া শুধু শরীরের নয়, মনোভাবেরও একটি খেলা।
![]() |
---|
আমার মনে পড়ে, একসময় আমিও এই মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম, আজকের মতো উৎসাহ ও আনন্দ নিয়ে। পুরনো স্মৃতিগুলো আজ আবারও জীবন্ত হয়ে উঠল। বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানটি শুধু একটি খেলার মাঠের সীমায় থাকেনি, বরং এটা ছিল একটি জীবনদর্শন, যেখানে জয়-পরাজয়ের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং একে অপরকে সম্মান দেওয়ার মনোভাব।
সব মিলিয়ে আজকের দিনটি ছিল, একটি অতি সুন্দর এবং স্মরণীয় ক্রীড়া অনুষ্ঠান, যা সেই পুরনো স্কুল জীবনের রেশ ধরে যাওয়ার একটি সুযোগ, যা আমার চিরকাল মনে থাকবে।
সমাপ্ত |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Your post has been supported by THE PROFESSIONAL TEAM. We support quality posts, quality comments anywhere, and any tags
Thank you so much mam for support me.
স্কুল জীবনের স্মৃতি সব সময় হৃদয়ে বিষের জায়গা নিয়ে থাকে আর বার্ষিকী অনুষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার অনুভূতিশ সত্যি অসাধারণ ছিল। পুরনো বন্ধু শিক্ষক ও প্রিয় মাঠের মাঝে কাটানো মুহূর্তগুলো যেন আবার নতুন করে জীবন্ত হয়ে উঠল আপনার। আপনার অভিজ্ঞতা পড়তে দারুণ লাগলো।
স্কুল জীবনের স্মৃতি সব সময় হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান দখল করে থাকে। সেই সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেওয়া মূল্যবান পাঠ এবং প্রিয় মাঠে খেলা বা আড্ডা দেওয়ার স্মৃতিগুলো কখনো মুছে যায় না। যখন বার্ষিকী অনুষ্ঠানে ফিরে যাই, সব কিছু যেন পুনরায় জীবন্ত হয়ে ওঠে—প্রতিটি হাসি, প্রতিটি চঞ্চলতা সবই যেন আবার এক নতুন রূপে ফিরে আসে।
এমনকি সেই পুরনো বন্ধুদের সাথে আবার দেখা হওয়ার সময়ও হৃদয়ের মাঝে এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করে—যেন কতকাল পর সব কিছু পুরনো জায়গায় ফিরেছে, কিন্তু সময়ের সাথে আমরা সবাই একটু বদলে গেছি। স্মৃতি এবং অভিজ্ঞতার এই অদ্ভুত মিশ্রণ অনেক সময় মনের মধ্যে গভীর ছাপ রেখে যায়।
স্কুল জীবনের সবচেয়ে বড় দিক হলো, সেখানকার সম্পর্কগুলো। সেটা বন্ধুদের সাথে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে কিংবা স্কুলের প্রতিটি জায়গার সাথে আমাদের এক নিবিড় সম্পর্ক থাকে। এই সম্পর্কগুলো সময়ের সাথে আরো মধুর হয়ে ওঠে, যখন আমরা সেগুলোর প্রতি ফিরে তাকাই।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।