Online is my Dream.
Hello Friends,
অনলাইনটা বরাবরই আমার স্বপ্ন কিন্তু হ্যাঁ সেই পর্যায়ে পৌছানো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। বিশেষ করে যদি আপনার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকে। তবে অনলাইন বা অফলাইন উভয় সেক্টরেই শুধুমাত্র অর্থ থাকলেই সব কিছু হয় না। বরং অর্থের থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দক্ষতা।
যেটা আজকেও আমি একবার বাস্তবে উপলব্ধি করতে পারলাম। যে কারণে বলছি:- সপ্তাহ খানেক পূর্বে ভারতীয় এক দাদার সাথে পরিচিত হয়েছি যিনি অনলাইনে ব্লকচেইন সেক্টরে অনেক দক্ষ। পাশাপাশি, তিনি বর্তমানে যে প্রজেক্টের সাথে সংযুক্ত সেটা বিশ্বব্যাপী একটা সমালোচিত প্রকল্প। যেখানে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ও উপস্থিতি এবং বিচরণ দেখা যাচ্ছে।
যাইহোক, কথা বলার পরে এক পর্যায়ে কাজ সম্পর্কিত কথায় ঐ দাদার সাথে কাজ করতে খুব ইচ্ছে হয়েছিল। অবশেষে Ambassador হিসেবে কাজের একটা সুযোগ ও হয়েছে। তাছাড়া এই কাজে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। যেহেতু, আমি AI এর একটা প্রকল্পে ও Ambassador হিসেবে কাজ করেছি, তাই কিছুটা বোধগম্য ও মনে হচ্ছে। যদিও আগেরটা শুধুমাত্র টেলিগ্রাম ছিল কিন্তু এখনকারটা অনেক ধাপ এগিয়ে।
👉**কাজ যাচাইকরণ:- **
এই ধরনের কাজ যাচাইকরণ করার সর্বাগ্রে যেটা প্রাধান্য দিতে হয় তা হলো প্রকল্পের white paper - যেখানে প্রকল্পের বিস্তারিত বর্ণনা থাকে। পাশাপাশি, আমরা প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ও একটা সুস্পষ্ট ধারনা পেতে পারি। এই প্রকল্প সফল হতে পারে যেটা প্রকল্পের ব্যাকগ্রাউন্ড এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। তাছাড়া, এখানে কেন Whale রা আসবে? সেইভাবে যদি Algorithm থাকে তাহলে সেই প্রকল্পের সাথে এগিয়ে যেতে পারাটা ও সৌভাগ্যের।
এই সেক্টরে নিজের একটা প্রোফাইল গ্রো করাটা অতীব জরুরি। কারণ এই প্রোফাইল অনেক মূল্যবান। এটা খুব সহজে অর্জন করা যায় না। আবার অর্জন করতে পারলে সেইটা অনেক সম্মানের ও বটে।
👉অনলাইন পছন্দের কারণ:-
প্রথমত, আমি স্বাধীনতা প্রিয় মানুষ। আমার কাছে এটাই মনে হয় শ্রেয় অর্থাৎ অনলাইন। যেখানে আমি স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে পারবো। কারণ যেখানে ভালোবাসা থাকে সেখানেই থাকে সফলতা। কাজকে ভালবাসলে ফিডব্যাকে কাজ ও ভালো ফলাফল দেয় যেটা প্রমাণিত।
👉ভালো দিক:-
✅ অনলাইনের কাজ ঘরে বসেই করা সম্ভব যেটা অফলাইনে সম্ভব না।
✅এখানে একদমই পুঁজির প্রয়োজন নেই যদি আপনার থাকে দক্ষতা এবং ডিভাইস।
✅ বেকারত্ব দূর করতে অনলাইন আমাদের জন্য উত্তম। এমনকি এই অনলাইনে কাজের সুযোগ যেন আমাদের জন্য সম্ভাবনার এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে যেটা ইতিবাচক।
✅ পরিবার, দেশ ও দশের উন্নয়নে অনলাইনের বিকল্প নেই। সেখানে যদি নিজের সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে তো আরো মজা।
✅ অনলাইনে উদ্যোক্তা হিসেবে অন্যকে স্বাবলম্বী করা সম্ভব যেটা অফলাইনের থেকে সহজ বলে আমার মনে হয়।
👉খারাপ দিক:-
প্রতিটি সেক্টরের খারাপ এবং ভালো উভয় দিক আছে। তবে আমি মনে প্রাণে এটা বিশ্বাস করি যে "মন্দ আছে বলেই তো ভালোর এতো মূল্য।" সব কিছুর ভালো এবং মন্দ নির্ভর করবে আমাদের ব্যবহারের ওপর। এখানে ব্যবহার বলতে অনলাইন সেক্টরের কাজকে আমি তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।
👉 অনলাইনে এমনও সেক্টর আছে যেখানে চেইনাকারে ফার্মিং চলে কিন্তু সাধারণ ব্যবহারকারীদের কোনো পারিশ্রমিক নেই। এটাকে কাজ বা ক্ষমতার অপব্যবহারই মনে হয় আমার কাছে। কারণ আমি অর্থের পাহাড় তৈরি করবো আর বাকিরা গাধার মত পরিশ্রম করবে সেটা একদমই সঠিক না।
👉 অনলাইন প্রকল্প আগে যাচাই করতে হবে। হয়তো পিঁপড়ের মতো ধীরে ধীরে হলেও অনেককে সাথে নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব।
যাইহোক, এই লেখাটা আমি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সময় র আত ০৪. ১৪ বাজে, তাই কথা না বাড়িয়ে এখানেই লেখাটা সমাপ্ত করছি।
এই ছবি গুলো আমি পূর্বে ও ব্যবহার করেছি। তবে লেখার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নতুন ছবি না থাকায় এগুলো আবারো উপস্থাপন করেছি।
@lirvic, ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সমর্থনের জন্য।
দিদি আপনার পোষ্টটি পড়ে মনে হচ্ছে যেন, আপনি সকল বেকারদের মনের কথা তুলে ধরেছেন। সত্যি অনলাইন মাধ্যম গৃহিনীদের জন্য ও সকল বেকারদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করে দিয়েছে।
অনলাইন হল স্বাধীন একটা মাধ্যম যেখানে আমি আমার মন খুশি মতো কাজ করতে পারবো ।
ফুলে যেমন কাটা থাকে তেমনি অনলাইন মাধ্যমেও ভাল/ মন্দ দু'টো দিক আছে। তবে কে কোনটা গ্রহণ করবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে অনলাইন ব্যবহারকারী ব্যক্তির উপর ।
যারা জেনেশুনে অনলাইন মাধ্যমে কাজ করতে আসে আশাকরি তারা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে আর নতুনদের অনেক কিছু শিখতে হয়। হয়তো অজানা কারণে কোন ব্যাক্তি জড়িয়ে যেতে পারে তবে যারা সঠিক পরিশ্রম দিয়েছে তারা এই অনলাইন মাধ্যম থেকে অবশ্যই সফল হয়েছে ।
তার অনেক উদাহরণ আমরা দেখেছি ।গৃহিণীদের পক্ষে যেমন বাইরে গিয়ে কোন কাজ করা সম্ভব নয়। বাসায় বসে থেকে সময় গুলো নষ্ট করতেও ভালো লাগেনা সেই ক্ষেত্রে অনলাইন মাধ্যম গৃহিণীদের নতুন পথ দেখতে সহযোগিতা করেছে । যেখানে তিনি নিজে স্বাবলম্বী হতে পারছে তার সাথে সাথে তার সন্তান ও স্বামীকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে পারছে । টাকা পয়সার চাহিদা কখনই কারো কম থাকেনা আমারও বিশ্বাস স্বামীর যতই টাকা থাকুক না কেন স্ত্রীর নিজের শক্তি হলো বড় শক্তি ।
আপনার এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনলাইনের কাজ যেকোনো মানুষের জীবন গড়ে দিতে পারে যদি নিজের মধ্যে সততা থাকে। আপনি একদম ঠিক কথা উল্লেখ করেছেন টাকা থাকলেই সব কিছু হয় না দক্ষতারও অনেক প্রয়োজন আছে যার মধ্য যেমন দক্ষতা আছে ঠিক সে ততটাই জীবনে উন্নয়ন করতে পারে।