Grains and vegetables.
source |
---|
নমস্কার,
আশাকরি, আমার সকল স্টিমিয়ান বন্ধুরা, অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আজ চলে এসেছি সবজি ক্ষেত নিয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপন করতে। যদিও এই বিষয়টি আমার মাথাতে ছিল না। তবে সন্ধ্যায় এক কাকুর সবজি ক্ষেত সম্পর্কে কথা শুনেই বিষয়টা নির্বাচন করেছি।
ইতিমধ্যে শীতের আগমন ঘটেছে যেটা এখনো সন্ধিক্ষণে আছে । পাশাপাশি, এই সন্ধিক্ষণ সময়টা কিন্তু আমাদের শরীর অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। যে কারণেই আশে পাশে সর্দি, জ্বর এবং কাঁশি বেশ দেখা যাচ্ছে। এমনি ডেঙ্গুর দেখা ও মিলছে। তাই সকলে সচেতন থাকুন নিজেকে সুস্থ্য রাখতে।
যাইহোক, শীতের কথা বলার ও কারণ আছে। যদিও এখন সবজি, ফল, মাছ ও মাংস বারোমাস পাওয়া যায় তবুও শীতকালে অনেক প্রকার সবজি পাওয়া যায় যেগুলো বারোমাস পাওয়া সম্ভব না। এমনকি যদিও কদাচিৎ পেয়ে যান সেটার স্বাদে ঘাটতি থাকবেই। পাশাপাশি, পুষ্টিকর গুনাগুণ ও কমই থাকবে।
source |
---|
যে বা যারা যেভাবেই সংরক্ষণ করুক একটু হলেও ঋতুকালীন সময়ের থেকে পার্থক্য থাকবে। অন্যদিকে গ্রামের মানুষ সচরাচর এই সতেজ সবজি খেতে পারে যেটা শহরের তুলনায় অধিক।
ঐ যে কাকুর কথা বললাম, তিনি জলকরের পাড়ে প্রসস্থ বাঁধে কোদাল দিয়ে মাটি সবজি বীজ বপনের উপযোগী করেছিলেন এবং বীজ ও বপন করেছিলেন। অথচ বেড়া দিয়ে সেই স্থান সুরক্ষিত করার ব্যবস্থা করেনি। যে কারণে তারই এক ভাতিজা পেয়ারা খেতে গিয়ে মোটামুটি বীজ বপন করা ক্ষেতের অবস্থা বেহাল করে ফেলেছে।
ইতিমধ্যে যা ক্ষতি হবার সেটা কিন্তু হয়েই বসে আছে। এখানে সমস্যা ঐ কাকুরই, তিনি যদি ক্ষেতটা ঘিরে রাখতেন তাহলে আর এই সমস্যা হতো না। যদিও এটা দেখার পরে কাকু ক্ষেতটা ঘিরে দিয়েছেন কিন্তু ইতিমধ্যে ক্ষতি হয়ে গেছে।
source |
---|
বিলম্ব হলেও একটি ক্ষেত প্রস্তুতির সময় যে বিষয় গুলো মাথায় নিয়ে কাজ করতে হয় সেগুলোর মধ্যে প্রথম হলো বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা। নচেৎ সকল পরিশ্রমই জলে চলে যেতে পার। আমি যে ঘটনাটা বললাম এখানেই দেখুন একজন কৃষকের শ্রম এবং অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করা বীজ দুটোই নষ্ট হয়েছে। কারণ ঐ ক্ষেতে আবারো বীজ বপন করার জন্য পুনরায় ক্ষেত প্রস্তুত করতে হবে। তারপরে আবার বীজ বপন করার উপযুক্ত হবে।
আমরা মাঝেমধ্যেই খেটে খাওয়া মানুষ অর্থাৎ কৃষকদের ছোট মনে করি। তবে এটাই সত্য যে কৃষক বাঁচলেই কিন্তু আমাদের অস্তিত্ব টিকে থাকবে। এখানে বাঁচা বলতে আমি কৃষকের মূল্যায়নের কথা বলেছি।
বর্তমানে আমাদের দেশে গোল আলুর কেজি ৭৫.০০টাকা যেটা আমি কখনোই শুনিই নেই দেখা তো পরের কথা। আমি সর্বনিম্ন ০৫.০০টাকা গোল আলুর কেজি ও দেখেছি। এখানে আমি বর্তমান দেশের পরিস্থিতি, কৃষিজ উৎপাদন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগককে দায়ী করছি। তবে এই সব কিছুর নেপথ্যে আমরাই অবস্থান করছি। প্রতিবছর ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেটা মানবসৃষ্ট পরিবেশের কারণেই হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা তো সম্ভব না। তবে কিছুটা পরিবর্তন করা সম্ভব। প্রথমত, আমদানি ও রপ্তানি যেটার পরিস্থিতি ঠিক করতে হবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকবে সেটা মাথায় রেখে আমাদের পরিবেশের যত্ন নিতে হবে।
অন্যদিকে, বর্তমান আবহাওয়া বা জলবায়ুর কথা মাথায় রেখে কৃষি কাজে নিয়োজিত কৃষকদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শস্য উৎপাদন করতে হবে। এখানে মাটি উপযোগী বীজ, সার ওষুধের কথাটা প্রথমে চলে আসছে। এমনি সবার আগে মাটির গুনাগুণ ঠিক রাখার কথাটা ও ভাবতে হবে। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মাটির উর্বর ক্ষমতা হ্রাস করে যে কারণে দিন দিন ফসলের উৎপাদন ও হ্রাস পাচ্ছে।
যাইহোক, আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
কেউ অনৈতিক কাজ করছে বলে নিজের লেখার গুণমান নিম্নমুখী হবে, এটা কখনই অভিপ্রেত নয়।
এমনটা নয়, কেবলমাত্র আপনি এই অনভিপ্রেত পরিস্থিতির শিকার, আমার পুরোনো পোস্ট দেখলে বুঝবেন, অসাধু মানুষ আমার ধৈর্য্য তথা সহ্যকে খুব একটা আচর কাটতে কোনোদিন পারে নি!
আমি আগেও বিশ্বাসী ছিলাম একজন অলক্ষে সকলের কার্য্য পর্যবেক্ষণ করছেন, তথা মনের কুৎসিত রুপ দেখছেন;
কাজেই, সেই সকল কিট রুপি মানুষের অনৈতিকতা পায়ে দলে এগিয়ে যাবার সাহসিকতা দেখানোটাই আসলে সঠিক যোগ্যতায় সামিল।
শত্রু আর মিত্রের মধ্যে পার্থক্য একজন ক্ষতি করতে সিদ্ধহস্ত, অপরজন শত্রুর মঙ্গল কামনা করে।
যাইহোক, আপনার লেখা পড়ে আমি বুঝেছি এটা আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী লেখা নয়, তাই আমার মতামত পোষণ করলাম। অবশ্যই বাকিটা আপনার বিষয়। @piya3
আপনার উপস্থিতি দেখে খুব ভালো লাগলো দিদি। অবশ্যই, আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো।