আমি ও বিড়াল।
নমস্কার,
বন্ধুরা, ইতিমধ্যে আপনারা সকলেই জানেন বিড়াল আমার খুব পছন্দের। যদিও আমার বাড়িতে এই মুহূর্তে কোনো পোষা বিড়াল নেই তবে মা-বাবার অনুমতি পেলে কম হলেও এক হালি (৪টি) বিড়াল রাখতাম বাড়িতে। অনুমতির বিষয়টা একটু বাদেই বলছি। এখন চলুন বিড়ালের সাথে সময় কাটানোটা উপস্থাপন করি।
আমি গতকাল বিকেলে একটু বাজারে গিয়েছিলাম, আইস ক্রিম খেতে ইচ্ছে করছিল। সামনেই শীতকাল এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কোন দোকানে আইসক্রিম আর নতুন করে রাখবে না। তাই ভাবলাম একটা আইসক্রিম খেয়ে আসি।
নামাজের জামাতের সময় বাজারে পৌঁছেছিলাম যে কারণে বাজার ফাঁকা ছিল কারণ সকলেই মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়েছিল। যাইহোক সুবিধাই হলো কারণ ইদানিং বাজারে একটু কম যাওয়া হচ্ছে যে কারণে আমার প্রিয় ব্র্যান্ডের সাথেও দেখা হচ্ছিল না।
এই বিড়ালটি আমার উপস্থিতি বুঝতে পারে এবং আমি গেলেই যেখানেই থাকুক আমার কাছে আসবেই। এই যে দেখুন প্রথমে কাছাকাছি এসে বসে ঘুমানোর ভান ধরেছিল। বিড়ালের গায়ে হাত রাখা মাত্রই সে কোলে উঠে পড়লো। এইবার তো হলো মুশকিল, কারণ সে খাবার খেতে চাচ্ছিল। যে কারণে আমি ওঠার চেষ্টা করলেই সামনে থাকা হাতের সাহায্যে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করছিল।
এটা কিন্তু আমার ভীষণ ভালো লাগে। কারণ বাজারে শত লোকের ভীড়ের মধ্যেও বিড়ালটা আমার কাছেই বিরক্ত করতে ছুটে আসবে। অবলা প্রাণীরাই নিঃস্বার্থভাবে কারো ভালোবাসার মূল্যায়ন করতে পারে। হয়তো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ অর্থাৎ আমরাও ওদের মতো পারি না।
এই বিড়ালটিকে বাজারে গিয়ে আমি মাঝেমধ্যেই কেক কিনে দিই। কারণ বিড়ালের যে প্রিয় খাবার সেইটা শুধু বাড়িতেই খাওয়ানো সম্ভব। তবে গতকাল চিন্তা করলাম বিড়ালকে বার্গার খাওয়াবো। আমি দোকানদারকে অতিরিক্ত একটা ডিম ভাজি ও করে দিতে বলেছিলাম।
কি এক কাণ্ড! আমি তো অবাক সে আবার এই ডিম ভাজি খাবে না। কিছুই করার ছিল না , যেহেতু আমার জন্যই আলাদা করে বার্গারটা তৈরি করা হয়েছিল। আমি বার্গার শেষ করে বিড়ালকে সাথে নিমেই বেরোলাম। তবে বিড়ালটির কোনো আক্ষেপ ছিল না সে খেতে পারিনি। অতপর, তাকে কেক দিয়েছিলাম।
এই প্রাণীর বৈশিষ্ট্য আমাকে মাঝেমধ্যেই ভাবিয়ে তোলে। আমাদের ও এদের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। আমি তো অনেককেই দেখেছি যে চারজনের পরিবার এবং এক কেজি মাংসই যথেষ্ট কিন্তু ঐ পরিবারেরই কোনো এক সদস্য যদি নিমন্ত্রণে খাওয়ার জন্য যায় তখন একাই এক অথবা দেড় কেজি মাংস সেঁটে দেন। এটা কিভাবে! অবাক করা ব্যাপার না।
এখানে অবলা এই প্রাণীরা সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ। এরা এমন যে মনিবের প্রতিটি পদক্ষেপ ও অনুভূতি যেন তাদের নখদর্পণে থাকে। আমার যে বিড়ালটি ছিল সে তো অন্য কেউ কিছু দিলে খেতোই না। অর্থাৎ তাঁর বৈশিষ্ট্য অনেকটা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রাণীদের মতোই হয়েছিল।
আমরা যে পরিবেশ পরিবেশ বলি প্রাণীদের ক্ষেত্রে ও সেইটা প্রযোজ্য। যদি কোনো পোষ্যকে ভালো পরিবেশ দেওয়া হয় তাহলে সে ও ভালো ভাবেই বেড়ে ওঠে। আমাদের বাড়ির কাছেই একটা বিড়াল আছে যে কি না একটু চোর স্বভাবের। সুযোগ পেলেই মাছ ও মাংস নিয়ে পালায়। ছোট থেকেই তার খাদ্যাভাব ছিল যে কারণেই হয়তো এই অভ্যাস তৈরি হয়েছে।
আমি নিজেও অনেক বার খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করেছি। তবে তখন মনে হয়েছে সে লজ্জা পেয়ে পালাচ্ছে। অথচ দেখুন একটু বাদেই চুরি করে মাছ খেতে চলে আসে। মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রে এই পরিবেশটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।
তবে উভয়ের মধ্যে আমি প্রাণীকেই উচ্চ স্থান দিবো। যাইহোক, আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
বিড়াল আমারও ভীষণ প্রিয়। তবে আমাদের বাড়িতে বিড়াল নিয়ে কেউ কিছু তেমন কিছু বলে না তবে মাঝে মাঝে বিড়ালগুলো যখন অতিরিক্ত দুষ্টামি করে তখন মা একটু বকাবকি করে। ছোটবেলা থেকে বাড়িতে একটা না একটা বিড়াল থাকে তবে মাঝে কিছুদিন একটাও বিড়াল ছিলো না কিন্তু এখন আবার দুটো বিড়াল রয়েছে।
এই কথাটা আমিও অনেকবার ভেবেছি। কিছু লোক বাড়িতে একরকম ভাবে চলে কিন্তু অন্যের বাড়িতে গিয়ে তাদের চাহিদা বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বিড়াল কে কেমন পছন্দ করে জানি না তবে আপনার পোস্ট পড়ে এর আগেও আমি জানতে পেরেছি আপনি বিড়াল অনেক পছন্দ করেন এবং আমি যে কেমন বিড়াল পছন্দ করি এটা আপনিও জানেন।
আসলে বাড়িতে বিড়াল সবাই রাখতে চায় না আপনার পোস্ট পড়ে প্রথমেই অনেক হাসি লেগেছিল যদি আপনার বাবা-মা বলতো তাহলে আপনি চারটে বিড়াল কম করে হলেও রাখতেন যাই হোক বিড়ালের সাথে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।